প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

 

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়


প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় নারীরা যুগ যুগ ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাছে। এখনকার দিনে নারী এবং পুরুষ উভই চেষ্টার কোন কমতি রাখে না।কে না চায় গায়ের রঙ ফর্সা করতে ও পুতুলের মত লম্বা ঘন কালো চুল বানাতে। আপনারা যারা ভাবতাছেন সুধু ক্যামিকেল দিয়েই ঘায়ের রঙ ফর্সা করা যায় তারা এখনো স্বর্গে বাস করছেন। কেউ কেউ জানেনা যে প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়া যায়। এখন কেমিক্যালের মাধ্যমে ফর্সা হতে চাইলে আপনাদের মুখে অনেক প্রব্লেম দেখা দিবে। আপনি রদে যেতে পারবেন না। রান্না করতে পারবেন না।আপনার মুখে দাগ হবে এবং ঠুসা পড়ে যাবে। সে সমাধান নিয়েই আজকের আমাদের এই ব্লগ টি। চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।


লেবু দিয়ে


আপনাদের মুখের কালো কালো দাগ দূর করার জন্য আপনি একটি লেবু দু ভাগ কেরে নিন। লেবুর রস আপনার মুখে হালকা করে ঘসে লাগাতে থাকেন।এই লেবুর রস আপনার মুখের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।লেবুর রসে আছে  ব্লিচিং এজেন্ট। আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর হতে চাইলে এটি একটি কার্যকারী প্রাকৃতিক ঔষধ। আপনি ব্যাবহার করতে পারেন।


আলু



প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে এটি একটি কার্যকারী ঔষধ যা আপনার মুখ ফর্সা করতে সাহায্য করবে। প্রথমে একটি পাত্রে আলুগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর আলুর রস বের করে নিন। একটি পাত্রে আলুর রসগুলো নিয়ে আপনার মুখে এটি লাগান। সারা মুখসহ লাগিয়ে দেন। লাগানোর ফলে ধীরে ধীরে আপনার মুখের রং প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দর হতে থাকবে।


টমেটো


টমেটো হল প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে একটি। আপনার মুখে যদি গোলাপি রঙের অভাব হয় তাহলে টমেটো গোলাপি রঙ দিতে সাহায্য করবে। টমেটো মুখের ফর্সা রং দেওয়ার জন্য উপযোগী একটি প্রাকৃতিক ঔষধ। আপনার মুখে যদি ছিদ্র দাগ থাকে তাহলে টমেটো সেই দাগ গুলো পূরণ করতে সাহায্য করবে এবং আরও ফর্সা করে তুলবে। যদি আপনার মুখ তেল তেল হয়ে থাকে। তাহলে টমেটো তেল সরিয়ে নিতে সাহায্য করবে এবং আপনার মুখ আরও ফর্সা ও উজ্জ্বল দেখাবে। আপনি এটি লাগিয়ে দেখতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।



অন্য পোস্টঃশসা দিয়ে ফর্সা হয়ে ওঠার উপায়
 

লেবু ও মধু 


প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে লেবু ও মধু হল একটি ভালো মানের প্রাকৃতিক ঔষধ। লেবু আপনার মুখের দাগ গুলো দূর করতে সাহায্য করবে এবং মধু আপনার মুখে কোমল করতে সাহায্য করবে। আপনি লেবু ও মধু সমপরিমাণ রস নিয়ে একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে আলতো করে আপনার হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে সারা মুখে কিছুক্ষণ ধরে মারতে থাকুন। তারপর কিছু সময় রেখে দিন। কিছু সময় হওয়ার পর সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখের রং প্রাকৃতিক ভাবে পাল্টে গেছে। আরও কিছু টিপস এন্ড টিপস পড়তে থাকুন। আশা করি উপকৃত হবেন।


দারুচিনি ও মধু


সামান্য পরিমাণ দারচিনি নেন। এবং সেটাকে ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন। তারপর এক চামচ পরিমাণ মধু নিন। এই দুটো আইটেমকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার আপনার সমস্ত মুখে লাগাতে থাকেন। এভাবে কিছুদিন লাগাতে থাকেন। প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হলে আপনার মুখের রং কোন সময় নষ্ট হবে না। প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার এটি একটি ভালো টিপস। দারচিনিতে আছে এন্টিবায়োটিক, এনটি ইনফ্রেমেটরি, অ্যান্টি-অক্সিজেন, এবং এন্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য গুলো রয়েছে।


লেবু ও শসা


আপনার যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত মুখ হয় তাহলে আপনি এই প্রাকৃতিক উপায়টা কাজে লাগাতে পারেন। এই উপায়টা আপনার ত্বক কে হালকা করবে। লেবুর রসের সাথে শসার রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর আপনার সমস্ত মুখে একবার আলতোভাবে মেসেজ করে নিন। আপনার তৈলাক্ত মুখ ফর্সা করার জন্য এটি একটি ভালো উপায়।


দই


আপনি যদি ফর্সা ত্বকের আশা করেন তাহলে দইয়ের কোন বিকল্প নেই। দই আপনার ত্বককে দুর্দান্ত ফর্সা করবে। দই দস্তা এবং ল্যাকটিক এসিডের আপনার জন্য ভালো। আপনার ত্বক হালকা করতে সাহায্য করবে।


নারকেলের পানি


ফর্সা হওয়ার জন্য আরেকটি উপায় হল নারকেলের পানি। আপনার ত্বকে যদি উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে চান তাহলে নারকেলের পানি ব্যবহার করুন। নারকেলের পানি আপনার মুখের কালো কালো দাগ কেউ হালকা করতে সাহায্য করবে। আপনার জন্য এই উপায়টি একটি বেস্ট উপায় হতে পারে। প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর জন্য নারিকেলের পানি প্রয়োগ করতে পারেন।



বাদাম তেল



আপনি যদি ফর্সা এবং নরম ত্বক পেতে চান। তাহলে আপনার জন্য বাদামের তেল এর কোন বিকল্প নেই। আপনি বাদামের তেল মুখে মালিশ করলে মুখ আরও ফর্সা দেখাবে। আপনি যদি আরও ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে কিছু পরিমাণ জাফরান যুক্ত করতে পারেন। এটি আপনার জন্য খুব ভালো ফলাফল দিবেন। এটি যে  কেউ ব্যবহার করতে পারে। আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন কিন্তু নিয়মিতভাবে কাজটা করতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়।



অন্য পোস্টঃ৩ দিনে ফর্সা হয়ে উঠার উপায় 

গুঁড়ো দুধ, লেবু, তেল মিশ্রণ


এক চামচ পরিমাণ দুধের গুড়া, এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। তারপর এটি আপনার ত্বকের উপর মেসেজ করে নিন। মেসেজ করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর সেটাকে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে লাগাতে থাকুন। ভালো ফলাফল পাবেন। প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে এটি আপনার জন্য বেস্ট হতে পারে।


মধু ও শসা


আপনি যদি আপনার শুকনো ত্বকে ফর্সা করতে চান তাহলে মধুর সাথে শসার রস মিশ্রণ করে আপনার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এরপর কিছু সময় রেখে দিন যাতে করে প্রাকৃতিক মেডিসিন গুলো আপনার ত্বকের ভিতরে   প্রবেশ করতে পারে। এটি সপ্তাহে একবার করে লাগাতে পারেন। ভালো ফলাফল পাবেন। আপনি লাগিয়ে ট্রাই করতে পারেন। প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়।


জলপাই তেল


আপনি যদি আকর্ষণীয় ফর্সার অধিকারী হতে চান তাহলে জলপাই তাহলে কোন বিকল্প নেই। কিছু পরিমাণ জলপাই তেল নিয়ে আপনার মুখে ভালো করে মেসেজ করে নিন। এবং কিছু সময় রেখে দিন যাতে জলপাই তেল গুলো আপনার ত্বকের ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি এভাবে চালিয়ে যেতে থাকুন।



হলুদের ব্যাবহার


আপনি যদি আরও ফর্সার অধিকারী হতে চান তাহলে হলুদের ব্যাবহার অবশ্যই করতে হবে। এক চামচ পরিমাণ কাচা হলুদ অথবা হলুদের গুড়ো নিন। এর পরে তার সাথে ২ চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার আপনার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে নিন। 15 থেকে 20 মিনিট পর  ভালোভাবে আপনার ত্বকে ধুয়ে ফেলুন।হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আনটি ইনফ্লামেটরি হিসেবে কাজ করে যা ত্বককে সমস্ত রকম জীবাণু হতে রক্ষা করে। এছাড়াও হলুদের ভিতরে থাকা উপকরণ ত্বককে ফাস্ট প্রক্রিয়ায় ফর্সা করে তোলে। এটা ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। এছাড়া ত্বক থেকে বার্ধক্যের ছাপ সরিয়ে কর্তৃক ত্বককে সবসময় টান টান ও দীপ্ত রাখার জন্য সহায়তা করে। হলুদ মুখে লাগানোর একসাথে দৈনন্দিন খালি পেটে এক অংশ করে খাওয়া গেলে তা স্বাস্থ্যকে ভিতর থেকে শুদ্ধিকরণ ঘটায়


পেঁপের ব্যাবহার


অর্ধেক পাকা পেঁপেটি মিক্স করে  চমৎকার করে বেটে নিন।এরপর মিশ্রণ করা পাকা পেঁপেটির মধ্যে মধু ও লেবুর রস দিয়ে অনেক ভালো করে মিশিয়ে ১টি প্যাক প্রস্তুত করুন।এবার প্যাকটি মুখে, গলাইয় , ঘাড়, হাতে,ভাল করে লাগান।এবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।১৫ মিনিট পর কমন পানি দিয়ে এগুলো ধুয়ে ফেলুন। পাকা পেঁপে সরাসরি আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। দৈনিক স্নানের প্রথমে হাতে মুখে একবার যদি পাকা পেঁপে ব্যবহার করে নিতে পারেন তাহলে সান ট্যানের সমস্যা কমবে ও আপনার ত্বক এইরকম ঝলমলে হয়ে উঠবে।পেঁপের এ প্যাকটি সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া কেবল পাকা পেঁপে প্রত্যহ স্নানের প্রথমে ব্যবহার করতে পারেন।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post