ভাগ অংক করার নিয়ম

ভাগ অংক করার নিয়ম


অংক করতে আমরা সকলেই ভয় পাই।বিশেষ করে যারা শিক্ষাজীবনের প্রথমার্ধে পরীক্ষা দিতে যেতেন তখন তাদের অংক পরীক্ষাটা অনেক কঠিন মনে হতো এবং এই অংক পরীক্ষায় কতজন যে ফেল করে তার হিসাব নেই।তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন যে অংক সকল সময়ই খুবই কঠিন একটি সাবজেক্ট। 


তবে অংকর কিছু সূত্র রয়েছে যে সূত্রগুলো অবলম্বন করে অংক করতে পারলে অংক অনেকটা সহজ হয়ে যায়। অংক যদি কঠিন হয়ে থাকে তার মধ্যে  খুবই সহজ একটি পার্ট হচ্ছে ভাগ। ভাগ করার নিয়ম যদি জেনে যান তাহলে যেকোনো ধরনের ভাগ আপনি নিমিষের মধ্যেই খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন।আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে ভাগ অংক করার নিয়ম বা কিভাবে ভাগ অংক করতে হয় সেই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।



ভাগ কি?


ভাগ অংক করার নিয়ম জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে ভাগ কাকে বলে সেই বিষয়টা সম্পর্কে সর্বপ্রথম জেনে নিতে হবে।সাধারণত ভাগ হচ্ছে বীজগণিতের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় কোন একটি বৃহত্তম সংখ্যা থেকে ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকে বারবার বাদ দেওয়ার মাধ্যমে ভাগ করা হয়ে থাকে।


ভাগ করে একটি বড় সংখ্যার মধ্যে একটি ছোট সংখ্যা কতবার রয়েছে সেটি খুব সহজেই নির্ণয় বা নির্ধারণ করে নেওয়া সম্ভব। গণিতের মধ্যে ভাগ হচ্ছে খুবই সহজ এবং অনেক মজাদার একটি অংশ। ভাগের সঠিক নিয়ম জানা থাকলে যেকোনো ধরনের ভাগ আপনি নিমিষের মধ্যেই করে দিতে পারবেন।




অন্য পোস্ট:যোগ কাকে বলে এবং যোগ করার নিয়ম
 

ভাগ অংক করার পদ্ধতি কয়টি


ভাগ অংক করা যেমন সহজ তেমনি এর পদ্ধতি ও খুব সহজ। ভাগ অংক করার দুইটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। যেকোনো ব্যক্তি চাইলে এই দুইটি পদ্ধতিতে যেকোনো ধরনের ভাগ খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন। ভাগের ক্ষেত্রে যেমন বৃহত্তম সংখ্যাকে ক্ষুদ্রতম সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা যায় তেমনি ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকেও বৃহত্তম সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা সম্ভব।



অন্য পোস্টঃগড় উপযোগ কি বা কাকে বলে

ভাগ অংক করার নিয়ম


ভাগ শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ভাগ অংক করার নিয়ম গুলি সম্পর্কে জানতে হবে। নিচে ভাগ অংক করার নিয়ম উল্লেখ করা রয়েছে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন:-


১.যেকোনো বৃহত্তম বা ক্ষুদ্রতম সংখ্যাকে এক দিয়ে ভাগ করা যায়।


২.যে সকল সংখ্যার শেষে জোড় সংখ্যা দিয়ে শেষ হয় সেই সকল সংখ্যা সমূহ দুই দ্বারা বিভাজ্য হবে।


৩.যে সকল সংখ্যার শেষে গুণ রয়েছে তা অবশ্যই দশ দ্বারা বিভাজ্য হবে।


৪.যে কোন সংখ্যার শেষে তিন অংক আট দ্বারা বিভাজ্য হলে ওই সংখ্যাটি ও সাধারণত আট দ্বারা বিভাজ্য হবে।



ভাগ অংক করার শর্টকাট নিয়ম


আমরা এবার আপনাদেরকে ভাগ করার শর্টকাট নিয়ম বা কিভাবে খুবই সহজ নিয়মের ভাগ করা যায় সেই নিয়ে জানাবো। অর্থাৎ জানতে পারবেন ছোট সংখ্যাকে বড় সংখ্যা দিয়ে ভাগ করার নিয়ম সম্পর্কে। 


ভাজ্য যদি ভাজকের থেকে ছোট হয় তাহলে অবশ্যই ভাগফল অনেক বেশি ছোট হবে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে ভাগ করার সময় ভাজ্য অবশ্যই ভাজকের থেকে বড় হতে হবে। তাই এই ক্ষেত্রে যখন ভাগ করা হবে তখন ভাগফলটির সামনে একটি দশমিক বসাতে হবে।এখানে দশমিক বলতে দশমাংশ বোঝানো হয়েছে। 



অর্থাৎ ভাজ্যর শেষে একটি শূন্য আপনাদেরকে বসিয়ে দিতে হবে।এই নিয়ম অনুসারে আপনাদেরকে প্রত্যেক ধাপেই অবলম্বন করতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত অংক না মিলে। যখন ১০ দিয়ে গুন করার পরও ভাজকের থেকে ভাজ্য ছোট থেকে যায় তখন আর এই নিয়মটি কাজ করে না।



তখন আপনাদেরকে ফলো করতে হবে শতাংশ হিসাব দিয়ে অর্থাৎ ভাগফলের সাথে তখন একটি শূন্য রাখতে হয় এবং ভাজ্যের  সাথে একটি শূন্য দিতে হয়। আর এটাই হচ্ছে সাধারণত ছোট সংখ্যাকে বড় সংখ্যা দ্বারা ভাগ করার সঠিক নিয়ম। 



অন্য পোস্টঃসেবাগত উপযোগ কি বা কাকে বলে
 

শেষ কথা, ভাগ অংক করার নিয়ম বা কিভাবে খুব সহজেই যেকোনো ধরনের ভাগ অংক করা যায় আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সেই বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে বা কোন বিষয় সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে তাহলে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post