জেনে নিন আন-অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের মূলত মোবাইল ফোন সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে বলবো কিভাবে আপনারা আনঅফিসিয়াল ফোন খুব সহজেই চিনতে পারবেন।

জেনে নিন আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়
আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তারা মোবাইল কেনার আগে জানতে চান এই ফোনটি অফিশিয়াল না আনঅফিসিয়াল। অনেকে এই ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকেন আমাদের মধ্যে। আজকের এই পোস্টটি যদি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন। 

তাহলে আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার গুলো সম্পর্কে আপনারা খুব সহজেই জেনে যাবেন। তাহলে চলুন  প্রথমে জেনে নেওয়া যাক আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনে অফিসিয়াল মোবাইল কি।

অফিসিয়াল মোবাইল কি?

যেসব মোবাইল ব্রহ্মদত্ত সরকারকে নির্দিষ্ট পরিমান ট্যাক্স দিয়ে আমাদের দেশে এসেছে সেই সকল মোবাইল গুলো হল অফিশিয়াল মোবাইল। এই সকল মোবাইলগুলো বাংলাদেশি আপনি বৈধ ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

আনঅফিসিয়াল মোবাইল কি?

যে সকল মোবাইল গুলো আমাদের দেশের সরকারকে ট্যাক্স না দিয়ে এসেছে এবং মানুষজন সেগুলো ব্যবহার করছে ঐগুলাই হচ্ছে আনঅফিসিয়াল ফোন। আনঅফিসিয়াল ফোন গুলো বাংলাদেশে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

আন অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়?

আপনাকে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল মোবাইল চেক করার জন্য সরাসরি আপনাকে ডায়াল প্যাডে চলে যেতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে আপনাকে উক্ত *#০৬# কোডটি ডায়াল করতে হবে।আপনি যখন এই কোডটি ডায়াল করবেন তখন পেয়ে যাবেন ১৫ ডিজিটের একটি আই এম আই কোড।

তারপর আপনাকে আপনার ফোনের ম্যাসেজ অপশনে চলে যেতে হবে এবং সেখানে গিয়ে kyd স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আই এম আই কোড দিয়ে ১৬০০২ নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা আপনাকে ফিরতি মেসেজ করবে এবং জানিয়ে দেবে আপনার ব্যবহার করা ফোনটি আনঅফিসিয়াল নাকি অফিশিয়াল ফোন।

আপনি এইভাবে খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার ফোনটি অফিশিয়াল আনঅফিসিয়াল এটি চেক করতে পারবেন। আপনি যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছেন সেটি সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে দেশে এসেছে নাকি ট্যাক্স দিয়ে আসেনি সেটা জানতে পারবেন। 

তাছাড়া বিটিআরসি থেকে ঘোষণা এসেছে আনঅফিসিয়াল যত  মোবাইল রয়েছে সেই  স্মার্টফোন গুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। কিন্তু আপনারা যদি চান এই মোবাইল গুলো বন্ধ হওয়া থেকে বাঁচতে কিছু পরিমান ট্যাক্স সরকারকে দিয়ে আপনার এই মোবাইলটি বৈধ করে নিতে পারেন। 

আর এর জন্য অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে আপনি যে ফোনটি ব্যবহার করছেন সেটি আনঅফিশিয়াল নাকি অফিশিয়াল।আর আমরা পুকুরে আলোচনা করে নিয়েছি যে আপনারা কিভাবে আনঅফিসিয়াল মোবাইল চেক করবেন।

আমাদের শেষ কথা

আশা করি আপনারা যারা আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ  সহকারে করেছেন তারা বুঝতে পড়েছেন তারা বুঝতে পেরেছেন আনঅফিসিয়াল ফোন কিভাবে চিনবেন এবং আনঅফিসিয়াল এবং অফিশিয়াল ফোন কি। তাছাড়া এই বিষয়ে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। 
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post