ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার সেরা ২০ আইডিয়া

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে বলবো কিভাবে আপনারা ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কে।

ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসার সেরা ২০ আইডিয়া

তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেয়া যাক কিছু অনলাইন ব্যবসা সম্পর্কে। তার আগে আমাদের জানতে হবে অনলাইন ব্যবসা কিঃ

অনলাইন ব্যবসা কি?

অনলাইন ব্যবসা হল মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে পরিচালনা করাই হলো অনলাইন ব্যবসা। অল্প টাকায় ব্যবসা করতে পারবেন আপনারা খুবই সহজে অনলাইনের মাধ্যমে।

বর্তমানে অনেক মানুষ অনলাইনে ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছে। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। তাহলে চলুন এবার জেনে নেয়া যাক অনলাইন ব্যবসার কয়েকটি আইডিয়া।

১. ওয়েব বিনার

ওয়েব বিনার অর্থাৎ ওয়েব সেমিনার হোস্ট করতে হলে আপনার যে কোন একটি মেশিন সম্পর্কে গভীর জানা-বোঝা থাকতে হবে। সেটা হতে হবে এমন বিষয় যা মানুষকে আকৃষ্ট করবেন এবং মানুষ সেই বিষয়টি টাকা খরচ করে দেখতে চাইবে। 

সাধারণ ভিডিও ব্রডকাস্তের থেকে মিনারের পার্থক্য হল এখানে দর্শক সরাসরি ভিডিও দেখার মাধ্যমে কমেন্ট করতে পারবেন চ্যাটের মাধ্যমে তাছাড়া বক্তার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারবেন।

কয়েকটি ফ্রি ওয়েবিনার করে দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে তার ভিত্তিতে আপনার পেইড ওয়েবিনার ব্যবসা পরিকল্পনা করতে হবে।আপনি যদি এক্ষেত্রে একবার অনেক জনপ্রিয়তা তাহলে এক্ষেত্রে অনেক বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।

২. সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ব্যবসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। কেননা এর মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করে পরিচিত পেয়েছে অনেক জন এবং সাফল্য পেয়েছে।

তাছাড়া আপনি চাইলে ফেসবুক ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম গুলোর মাধ্যমেও  আপনার ব্যবসার প্রসার চালাতে পারেন। এরমধ্যে টিকটকও ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমানে আপনারা অনেকেই জানেন টিকটকের মাধ্যমে স্বল্প দৈর্ঘ্যের কিছু ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে অনেকেই  হয়ে গিয়েছেন তারকা। 

তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন আপনারা এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর ব্যবহার করে কিভাবে অনলাইন ব্যবসা করতে পারবেন। 

৩. ফিলিপিং ডোমেইন এর ব্যবসা

বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার মধ্যে ফিলিপিং ডোমেইনের ব্যবসাটি খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। ফিলিপিং ডোমেইনের ব্যবসাটি হচ্ছে মূলত একটি ডোমেইন কিনে সেটিকে বেশি দামে বিক্রি করা। সাধারণত এজন্য আপনাকে প্রথম ক্ষেত্রে একটি ডোমেইন কিনে নিতে হবে। 

আপনি চাইলে এই ক্ষেত্রে এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ডোমেইনগুলো কিনতে পারেন। এসব পুরাতন ডোমেইন কেনা বেশি লাভজনক হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই ডোমেইন নেমের ওপর গবেষণা করতে হবে। 

আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কোন ডোমেইন নেম আপনি কিনবেন এবং কোন ডোমেইন নেমের বর্তমানে চাহিদা খুবই বেশি। অনেক সময় এমন হয় আপনি একজনের কাছ থেকে ডোমেইন কিনবেন এবং তার পরপরই কিছু কাস্টমার পেয়ে গেলেন এবং তার কাছে ভাল মূল্যে আপনি ডোমেইনটি বিক্রি করে দিলেন। 

৪. ই-বুক বিক্রির ব্যবসা

আপনি চাইলে যেকোন বিষয় নিয়ে ইবুক লিখতে  পারেন এবং সেগুলো বাজারে বিক্রি করতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে আপনাকে এমন বিষয় নিয়ে ই-বুক লিখতে হবে যেটি বর্তমানে বাজারে খুব চাহিদা রয়েছে। আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা করে তারপর লিখুন কেননা ওই টপিকে নতুন কিছু না থাকলে পাঠকরা পড়তে সমাদৃত হবে না। 

আপনার ই-বুক তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি আমাজনের কিন্ডল ডিরেক্ট পাবলিশিং ওখানে আপনার ই-বুকটি পাবলিশ করতে পারেন। তাই আপনি যদি ই-বুক লেখায় দক্ষ হয়ে যান তাহলে নিয়মিত ইবুক লেখার মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

৫. অনলাইন কোর্স তৈরি

বর্তমানে অনলাইন কোর্সগুলোর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।আপনি অনলাইনে এমন বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইন কোর্স তৈরী করুন যে বিষয়গুলোতে ছাত্রদের খুবই চাহিদা রয়েছে। তবে অবশ্যই আপনি এমন বিষয় নিয়ে অন্যদের কোর্স করাবে যে বিষয়ে আপনার যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞান  রয়েছে। ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করার একি দারুন পদ্ধতি।

কোর্সটি তৈরি করার আগে ভাবুন আপনি নিজে এই কোর্সটি পয়সাদিয়ে কিনতেন কিনা, আপনি নিজে এই কোর্স থেকে উপকৃত হতেন কেনা যদি আপনার মনে হয় যে কোর্সটি ভালো এবং এখান থেকে অনেকেই উপকৃত হবে এবং কোর্সটি কেনা যায় তাহলে আপনি কোর্সটি তৈরি করুন। 

কোর্সটিতে নতুনত্ব আনতে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগান। সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে এক সাধারণ বিষয়টি আরো অভিনয় এবং কার্যকারী ভাবে মানুষের মধ্যে উপস্থাপন করা সম্ভব।করছেন বিষয়টি যাইহোক তা সবার কাছে সহজভাবে স্থাপন করুন।

আপনি চাইলে নিজের ব্লগের মাধ্যমে অনলাইন কোর্স বিক্রি করতে পারেন বা নিজের কোন ফেসবুক গ্রুপ থাকলে তার মাধ্যমে এই কোর্স গুলো বিক্রি করতে পারেন।যা ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার দারুন একটি উপায়। 

৬. ঘরে বসে শিক্ষকতা করা

ঘরে বসে শিক্ষকতা করা এটিও ঘরে বসে অনলাইন থেকে আয় করার দারুন একটি পদ্ধতি। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনলাইনে বিরাট একটি বাজার রয়েছে। তাছাড়া আপনি চাইলে অনলাইনে অন্যান্য বিষয়ের উপর শিক্ষকতা করতে পারেন।

আপনি যদি কিছু বিষয়ে দক্ষ হন তাহলে আপনার অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের অভাব হবে না। টিচার ওয়ান, টিউটর ইন্ডিয়া আপনি ঐ সকল জায়গাগুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা করতে পারবেন। 

৭. ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা

ড্রপ শিপিং এর ব্যবসা ও খুবই জনপ্রিয় একটি ব্যবসা।এই ব্যবসায় মূলত আপনার নিজের পণ্য থাকার কোন দরকার নেই।আপনাকে এই ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে এবং সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে অন্য কোম্পানির পণ্য আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।

খুচরো ব্যবসায় মত প্রাথমিক বিনিয়োগ এখানে নাই, তাছাড়া আপনাকে এই ক্ষেত্রে মালামাল সংগ্রহ করেও রাখতে হবে না। তাই আপনারা চাইলে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণে অর্থ আয় করতে পারেন।

৮. ব্লগিং করে আয়

অনলাইন থেকে দীর্ঘমেয়াদি আয় করার জন্য এটি হচ্ছে সবই কার্যকারী একটি পদ্ধতি। আপনি যদি লেখালেখিতে পারদর্শী হন এবং সঠিকভাবে ব্লগিং প্লাটফর্ম এ কাজ করে যেতে পারেন তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জন্য অনলাইনে সেরা একটি ব্যবসা।

বাংলাদেশের অনেক ব্লগার আছে যারা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকার ওপরে ইনকাম করে থাকেন। তাছাড়া বর্তমানে ব্লগিং থেকে আয় এর অনেক ধরনের মাধ্যম সৃষ্টি হয়েছে যা ব্লগিংকে মানুষের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। তাই আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগিং এর ব্যবসা করতে পারেন।

৯. ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয় 

আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের কথা বলতেই হবে। বর্তমানে ইউটিউবে হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যের পণ্য প্রচার এর জন্য সেরা একটি মাধ্যম। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে আয় করতে পারবেন।

বর্তমানে ইউটিউব থেকে আয় করার অসংখ্য উপায় সৃষ্টি হয়েছে। তবে আপনি যেভাবেই ইউটিউব থেকে আয় করার কথা ভাবুন না কেন অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি খুবই জনপ্রিয় হতে হবে তাহলে শুধুমাত্র আপনি এর মাধ্যমে ভালো অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। তাই আপনি ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করতে চাইলে এটাকে টার্গেট করতে পারেন। 

১০. মেম্বারশিপ সাইট

মেম্বারশিপ সাইট হল মূলত এমন একটি সাইট যে সাইটের সদস্যপদ নেওয়ার জন্য অর্থ খরচ করতে হয় এবং অর্থ খরচ করে সাবস্ক্রাইব করার মাধ্যমেই সেই সাইটের বিষয়বস্তুর পড়া যায়। এরমধ্যে ই-বুক ওয়েবিনার, অনলাইন কোর্স বা পডকাস্ট যেকোনো কিছুই হতে পারে। 

তবে প্রথম অবস্থায় নতুন পাঠকদের উৎকৃষ্ট বা উৎসাহ দেয়ার জন্য সাইটে কিছু বিনামূল্যের সামগ্রী রাখুন এর ফলে পাঠক আপনার সাইট সম্পর্কে উৎসাহী হবে এবং টাকা দিয়ে আপনার সাইটটি সাবস্ক্রাইব করবে। ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার এটাও দারুণ একটি উপায়। 

১১. অনলাইনে থিম তৈরি

আপনি যদি একজন ভাল ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের থিম তৈরি করতে পারেন। আপনার থিম যদি ভাল হয় আপনি বিভিন্ন কাস্টমার ফেসবুক গ্রুপ বা আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জোগাড় করতে পারেন এবং তাদেরকে আপনার থিম নেওয়ার জন্য বলতে পারেন।

তাছাড়া আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যেখানে আপনি আপনার তৈরি করা থিম গুলো বিক্রি করতে পারবেন। ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করার এটি একটি পদ্ধতি।

১২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইনে যারা ব্যবসা করছেন তারা অবশ্যই জানেন যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং টা কি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে অনলাইনে ব্যবসা করে টাকা আয় করার সবচেয়ে কার্যকরী একটি উপায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে আপনি কোন ইনভেস্ট না করে ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন। 

তাছাড়া আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে, তাছাড়া আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে চলেছেন অনেকে।তাই আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে।

১৩. ভার্চুয়াল সহকারি

বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য নির্ভর করে থাকে ভার্চুয়াল সসহকারীর ওপর,অর্থাৎ আপনি ঘরে বসেই সেই কাজগুলো করে দিবেন যা সিকিউরিটি ম্যানেজার বা অন্যান্য পদস্থ লোক গুলো করে থাকে। 

এসব কাজের মধ্যে রয়েছে মেইল করা,গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, বিল পেমেন্ট, কোম্পানির কর্মীদের অফিস ট্যুরে টিকিট কাটা সবকিছুই এর মধ্যে থাকতে পারে। এতদিনে এই কাজটা করতে পারেন এবং ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

১৪. ভয়েস ওভার আর্টিস্ট

আপনার কণ্ঠস্বর এবং বাচনভঙ্গির যদি ভাল হয় তাহলে আপনি এই অনলাইন ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। আপনি এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন খুব সহজেই।ভয়েস 123,ভয়েসবানী ইত্যাদি জায়গায় আপনি ভয়েস ওভার আর্টিস্ট হিসেবে আপনার নাম আখ্যায়িত করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যদি আপনি চান। 

১৫. অনলাইনে ফটো বিক্রি

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সুন্দর সুন্দর ফটো তুলতে খুবই পছন্দ করেন। কেমন হয় যদি আপনি এই ফটো তোলার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি একজন ভাল ফটোগ্রাফার হন তাহলে অবশ্যই অনলাইনে ফটো বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

অনলাইনে অনেক কাজ আছে যেসব কাজে স্টক ফটো কেনার প্রয়োজন হতে পারে যার ফলে ক্রেতারা অনলাইনের বিভিন্ন সাইট থেকে ফটো ক্রয় করে থাকে। আপনি অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন যে ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার তোলা ফটো গুলো খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। তাই ঘরে বসে অনলাইন ব্যবসা করতে চাইলে আপনি এই কাজটি করতে পারেন। 

১৬. অনুবাদ বা ট্রান্সলেশন

আপনি যদি ইংরেজিতে খুবই দক্ষ হন বা যেকোনো ভাষায় যদি আপনি পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই অনুবাদের কাজটি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

কেননা অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে অনুবাদের জন্য লোক খুঁজে থাকে। আপনার যদি এই দিক থেকে তেমন দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি এই কাজগুলো করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে। 

১৭. কনটেন্ট রাইটিং

অনলাইনে কনটেন্ট রাইটিংকে সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। বর্তমানে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে ইন্টারনেটের আওতায় যাদের প্রতিদিন কনটেন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাদের ওয়েবসাইটের জন্য। আপনি চাইলে সেইসমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে আপনার পার্ট টাইম ইনকাম করতে পারেন। 

তাছাড়া আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং কে ব্যবসা হিসেবে নিতে চান তাহলে আপনি একটি কনটেন্ট রাইটিংয়ের টিম তৈরি করতে পারেন এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য অর্ডার নিতে পারেন। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যবসা করে অনলাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করে চলেছে অনেকে। আপনিও চাইলে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে পারেন।

১৮. ক্যাপচা লিখে আয়

বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা ডাটা এন্ট্রি বা ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে তাদের কর্মীদের পেমেন্ট করে থাকে। আপনি চাইলে সেইসমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ডাটা এন্ট্রি ক্যাপচা পুরন এর কাজগুলো করতে পারেন।

আপনি অনলাইনে এসব কাজের জন্য অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন এবং আপনি দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় দেওয়ার মাধ্যমে মাসে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন এর মাধ্যমে। তাই ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য এটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি মাধ্যম।

১৯. ডাটা এনালিস্ট

ডাটা এনালাইসিস এর কাজ যদি আপনি শিখতে পারেন তাহলে ঘরে বসেই ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। তবে এই অনলাইন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনি যদি সঠিক দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গ্রাহকের সাথে আপনি খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন।

২০. অনলাইন লাইব্রেরী

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে যদি টাকা আয় করতে চান তাহলে অনলাইন লাইব্রেরী ব্যবসা টি করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথম ক্ষেত্রে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে যার ফলে আপনি বইগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন আপনার লাইব্রেরীতে।

আপনি চাইলে এক্ষেত্রে সাবস্ক্রিপশন সদস্যপদের জন্য নির্দিষ্ট একটি মূল্য ধার্য করতে পারেন এবং যারা আপনার লাইব্রেরী থেকে বই ধার করবে তাদের জন্য একটি মূল্য নির্ধারণ করে দিবেন। আপনি এইভাবে যদি আপনার অনলাইন লাইব্রেরী চালাতে পারেন তাহলে ঘরে বসে অনলাইনে আপনি ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন অল্প সময়ের মধ্যে। 

আমাদের শেষ কথা 

আমরা আপনাদেরকে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার সেরা কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি।বর্তমানে ইন্টারনেটের উন্নতির এই সময়ে এখন সবাই চাই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য। সবাই চাই অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য।

আপনারা চাইলে আমাদের দেওয়া আইডিয়া সমূহের মধ্যে যেকোনো আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।আর এই বিষয়ে যদি আপনাদের আর কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাবেন। পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।