স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম।স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার সহজ প্রক্রিয়া

 

স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম।স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার সহজ প্রক্রিয়া



স্মার্ট কার্ড চেকঃস্মার্ট কার্ড (Smart Card) হচ্ছে বাংলাদেশীও নাগরিকদের স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র। এটিকে পকেট সাইটের সার্কিট যুক্ত কার্ড ও বলা হয়, যেটি বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি।

মূলত ডিজিটাল সংস্করণের জন্যেই এটাকে স্মার্ট কার্ড নামে অবহিত করা হয়েছে। এতে দেশের নাগরিকদের সব ধরনের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। দেশের নাগরিকদের পরিচয়পত্র দেখে একজন নাগরিকের সম্পর্কে জানা যাবে। ব্যক্তিগত বিভিন্ন সেবা এই কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যাবে।

যাহোক, যদি আপনি নতুন বা ইদানিং এর মধ্যে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই চেক করে নেওয়া দরকার যে আপনার আইডি কার্ড এসেছে কিনা।

এক্ষেত্রে যদি আপনি স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় সম্পর্কে না জানেন তবে আর্টিকেলটা আপনার জন্য।

স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় কি সেটা আপনাদের ক্লিয়ার করে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায়


আগে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে কিনা সেটা চেক করার জন্য ৩ ধরনের মেথড ছিল। তবে বর্তমানে কেবল ২ টি মেথড রয়েছে যার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের আইডি কার্ড চেক করতে পারেন।

এই আইডি কার্ড চেক করার মাধ্যমে বক্স নম্বর এবং কম্পার্টমেন্ট নম্বর জেনে নেওয়া যায় এবং কত নং বক্সের কত নং কম্পার্টমেন্ট এ আপনার আইডি কার্ড আছে সেটাও জেনে নিয়ে পারবেন।

মূলত আপনি তখনই নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার আইডি কার্ড তৈরি হয়েছে যখন আপনি বক্স এবং কম্পার্টমেন্ট নম্বর জানতে পারবেন। এগুলো জানলে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

এসএমএস দ্বারা স্মার্ট কার্ড চেক


যারা নতুন ভোটার ও যাদের কাছে ভোটার নিবন্ধন এর স্লিপ আছে তারা মোবাইল ফোন থেকে একটি এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমে স্মার্ট আইডি কার্ড চেক করতে পারেন।

কিভাবে পাঠাবেন?


প্রথমে চলে যান আপনার মোবাইল ফোনের মেসেজ অ্যাপে। এরপর 'Write New Message' ক্লিক করে লিখবেনঃ

NID<একটি স্পেস দিন>ভোটার নিবন্ধন স্লিপের নম্বরটি দিন<একটি স্পেস দিন>জন্ম তারিখ দিন

এরপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিন ১০৫ নম্বরে।

মেসেজটি সফল ভাবে সেন্ড হলে আপনাকে পুনরায় মেসেজ দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনার স্মার্ট কার্ডের বক্সে নাম্বার এবং কম্পার্টমেন্ট নম্বর। যদি আপনার স্মার্ট কার্ড তৈরি না হয়ে থাকে তাহলেও আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ডটি তৈরি হয়নি।

স্মার্ট কার্ড তৈরি করার উপায় এর মধ্যে প্রথম উপায়টি হচ্ছে এটি যেখানে আপনারা মেসেজ পাঠিয়ে আপনার আইডি কার্ড এর তথ্য জানতে পারেন।

দ্বিতীয় উপায় হিসেবে আপনারা স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস বা বাংলাদেশ নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে গিয়ে আপনার স্মার্ট কার্ড চেক করে নিতে পারবেন।

অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক


অনলাইনে স্মার্ট কার্ড চেক করার জন্য চলে যেতে হবে নিচের লিংকে।

স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস


https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/

একদম সিম্পল একটি ওয়েবসাইট। ছোট একটি ফর্ম থাকবে সেটিতে তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই আপনি আওন আইডি কার্ড এর তথ্য চেক করে নিতে পারবেন। তবুও আমি আপনাদের শিখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে তথ্য গুলো পূরণ করবেন সেটা।

স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম।স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার সহজ প্রক্রিয়া


ফর্মের প্রথম বক্সে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরে/ফ্রম নম্বরটি দিন। নতুন ভোটার হয়ে থাকলে ফর্ম নম্বর দিবেন এর পুরনো ভোটার হয়ে থাকলে পুরনো আইডি কার্ডের নম্বরটি দিবেন।

আপনার জন্মের তারিখ, মাস এবং সালটি সঠিক ভাবে বক্সে দিয়ে দিন।

এখানে আপনাকে ক্যাপচা ভেরিফিকেশন করতে বলা হবে। যার জন্য একটি বক্স থাকবে এবং উপরে একটি ছবি থাকবে। বলা হবে ছবিতে প্রদর্শিত কোডটি খালি বক্সে বসাতে। তাই উপরে ছবি ভালোমতো লক্ষ করুন এবং সেখানে প্রদর্শিত কোডগুলো দিয়ে দিন খালি বক্সে এবং নিচে সাবমিট লেখায় চাপ দিন।

আপনার দেওয়া সব তথ্যগুলো যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে নতুন একটি ওয়েব পেজে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং আপনি সেখানে আপনার আইডি কার্ডের সব তথ্য দেখে নিতে পারবেন।

স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় দুটি আমাদের বলে দিলাম আশা করছি এই দুটি উপায়ে আপনারা সহজে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড টি চেক করে নিতে পারবেন।


স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করা যায়?


কিভাবে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করা যায়? স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার উপায় কি? এরকম নানান প্রশ্ন আপনাদের মাথায় হর হামেশা আসতে থাকে। এরকম প্রশ্ন গুগলে প্রচুর মানুষ জিজ্ঞেস করে থাকেন।

অনেকে ভাবেন অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের স্মার্ট কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। তো এইটা হচ্ছে আপনাদের সবার এক প্রকারের ভুল ধারণা বলা যায়।

কারণ হচ্ছে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড আপনি কখনো অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন না। কেবল নতুন ভোটাররা তাদের সাময়িক পরিচয় পত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড করতে পারে। আর এই পরিচয় পত্র রঙিন পিডিএফ আকারে দেওয়া থাকে।

সাধারণত এই ডাউনলোড করা সাময়িক রঙিন স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডটি প্রিন্ট এবং লেমোনেটিং করে সেটিকে নানান কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এটা ভাববেন না যে আপনারা সরাসরি স্মার্ট এনআইডি কার্ডটি ডাউনলোড করে ফেলতে পারবেন।

এট সম্ভব নয় তার কারণ হচ্ছে এই স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডে এক ধরনের মেশিন রিডেবল চিপ দেওয়া থাকে, এখানে একজন ভোটারের প্রায় ২৮ প্রকার তথ্য সংরক্ষিত থাকে। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে অনলাইন থেকে স্মার্ট ভোটার আইডি ডাউনলোড করা যায় না।


স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো?


ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা আসতে থাকে। বিশেষ করে নতুনদের একটু বেশি মাথা ব্যাথা থাকে এই বিষয়ে যে কখন এনআইডি পাবো, ভোটার আইডি কার্ড পাবো কিভাবে আরো ইত্যাদি।

যদি আপনি স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এটি পাবেন। তো আপনি যদি এটির উপযুক্ত হোন তবে আপনার নিজ ইউনিয়ন এর কার্যালয়ে বা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্মার্ট বিতরণ কর্মসূচি থেকে আপনি আপনার স্মার্ট কার্ডটি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

এছাড়া যদি আপনি পূর্বে কোনো ধরনের কার্ড তুলে না থাকেন তবে ইসি এর সূত্র অনুসারে আপনাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে এবং আপনার সঙ্গে আপনার ভোটার ফর্ম টিকে নিয়ে যেতে হবে।

আর যারা পুরনো ভোটার আছেন তবে এখনও পর্যন্ত স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড তুলতে পারেননি তারা যাওয়ার সময় অবশ্যই পুরনো জাতীয় পরিচয় পত্রের এক কপি ফটোকপি নিয়ে যাবেন।

এই কাজটি করার পর আপনাকে, আপনার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস কর্মকর্তার একটি স্বাক্ষর নিতে হবে এবং সেটি নিয়ে আপনাকে ঢাকায় নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটউটে যেতে হবে।

নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে গিয়ে সেই কাগজটি এবং আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিস থেকে দেওয়া অন্যান্য কাগজগুলো আপনাকে তাদের দেখাতে হবে।

কাগজপত্র দেখানো হলে তারা আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য নিবেন এবং আপনাকে যাচাই করবেন। যাচাই কৃত বিভিন্ন তথ্যগুলো আপনার ফটোকপি করা আইডি এবং অন্য কাগজগুলোতে লিখে দেওয়া হবে।

এরপর আপনার ঢাকার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কার্য শেষ এখন আপনাকে এসব কাগজপত্র নিয়ে পুনরায় আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে সেগুলো দেখাতে হবে। সব কিছু ঠিক হলে আপনাকে স্মার্ট আইডি দিয়ে দেওয়া হবে।তথ্যসূত্রঃjagonews

তো এইভাবে আপনারা স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি এই সম্পর্কে আপনার সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে বিস্তারিত বুঝে আসতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা


আজকে আমরা স্মার্ট কার্ড চেক করার উপায় গুলো সম্পর্কে যাতে পারলাম। আশা করছি আর্টিকেলটা আপনাদের উপকারে এসে থাকবে। যদি আইডি কার্ড চেক করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই জানাবেন। পোস্ট সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানতে অবশ্যই মন্তব্য করবেন।

Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post