বিবাহ পড়ানোর নিয়ম | বিবাহ পড়ানোর সুন্নতি পদ্ধতি

 

বিবাহ পড়ানোর নিয়ম | বিবাহ পড়ানোর সুন্নতি পদ্ধতি


বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে একসঙ্গে থাকার সামাজিক বৈধতার একটি সুন্দর নাম বিবাহ। আর এই বিবাহের সঠিক নিয়ম রয়েছে। হয়তো ধর্ম ভেদে কিছুটা ভিন্ন নিয়ম রয়েছে এর মাঝে। তবে প্রত্যেক ধর্মে বিয়ের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। 



অনেকেই বিবাহ পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে অনেক বেশি জানতে আগ্রহী। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা বিবাহ পড়ানোর সুন্নতি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা বিবাহের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানতে চান তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেল স্কিপ না করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়ে ফেলুন। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসুন শুরু করি। 


বিবাহ পড়ানোর নিয়ম


বিবাহ পড়ানোর জন্য মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা তাদের নিজ নিজ নিয়ম অনুসরণ করে। তবে আপনি যদি সঠিক নিয়মে বিবাহ করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আর বিবাহ সুন্নত সম্মত পদ্ধতিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। কেননা বিবাহ যদি সঠিক নিয়মে পড়ানো না হয় তাহলে এর সওয়াব ও বরকত থেকে বঞ্চিত হয় সেই ছেলে অথবা মেয়ে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাই। তাই বিবাহ করানোর নিয়ম জেনে পরবর্তীতে বিয়ে সম্পন্ন করাটা জরুরী ও বুদ্ধিমানের কাজ।



অন্য পোস্ট:শবে বরাতের নামাজ পড়ার নিয়ম 

ইসলামে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম



ইসলামে বিবাহ পড়ানোর পদ্ধতিটা অত্যন্ত সুন্দর ও মাধুর্যপূর্ণ। কেননা সহীহ শুদ্ধ সালামতে বিবাহ ইসলাম সমর্থন করে। ইসলামিক দৃষ্টিতে বিয়ে করা ফরজ। আর এই বিয়ে করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখা হয়। যা আমরা পর্যায়ক্রমে আপনাদেরকে অবগত করব। 


যানা যায়– বিবাহ মজলিস অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মোহর নির্ধারিত হয়ে থাকে। কেননা মেয়ের অভিভাবক মেয়ের নিকট থেকে আগেই দুই বিষয়ে অনুমতি গ্রহণ করেন। আর সেই দুটি বিষয় হচ্ছে:


  1. প্রথমত: তার জন্য বাছাইকৃত ছেলেটি তার পছন্দ কিনা। এক কথায় প্রস্তাবিত ছেলের সঙ্গে মেয়ে বিবাহের সম্মত আছে নাকি নেই।

  2. দ্বিতীয়তঃ উক্ত অভিভাবক মেয়ের উকিল হিসেবে বিয়ের মজলিসে ছেলের নিকট মেয়ের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবেন। এরপরে বিবাহের মজলিসে যদি সম্ভব হয় তাহলে মেয়ের পিতা অথবা তার বড় ভাই নিজেই খুতবা পড়ে মেয়ের উকিল হিসেবে ছেলেকে প্রস্তাব দেবেন। আর এক্ষেত্রে মেয়ের পিতা যদি খুতবা পড়তে না পারেন তাহলে ছেলের পিতা বা অন্য কোন আলেম বিবাহে খুতবা পড়ে থাকেন। 



সুন্নত তরিকায় বিবাহ করানোর নিয়ম


সুন্নত তরিকায় বিবাহ করার নিয়ম হল ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন করা। আপনি যদি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সুন্নতি পদ্ধতিতে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। এতে করে আপনি হালাল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারবেন এবং আপনার দাম্পত্য জীবন মহান আল্লাহতালা বরকতময় করে দেবেন। 

মুসলিম বিয়ে নিয়ে ইতোমধ্যে কাজী অফিসের কাজী আলহাজ্ব মাওলানা আবু বকর চাখারী বলেছেন– 

"ন্যূনতম তিনজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। মুসলিম বিবাহতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ছেলের আর্থিক সামর্থ্য ও অবস্থা অনুযায়ী। আর যখন মেয়েটি সম্পন্ন হয় তখন সেখানে একজন উকিল উপস্থিত থাকেন। যিনি যে কোন পক্ষের হতে পারেন। হতে পারেন সেই মেয়ে পক্ষের আবার হতে পারেন ছেলেপক্ষের। 


তবে সচরাচর মেয়ে পক্ষ থেকেই উকিল এসে থাকেন। আর এরপর উকিল ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী কনিকে জিজ্ঞাসা করেন, তার সঙ্গে যার বিবাহ হচ্ছে তাকে তিনি বিয়ে করতে রাজি কিনা? পরবর্তীতে এই একই প্রশ্ন বর কেও করা হয়। তারপর দোয়া করলাম করে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয় বিয়ে। 



অন্য পোস্টঃসালাতুত হাজত নামাজের নিয়ম 

মসজিদে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম


মসজিদ একটি পবিত্র স্থান। তাই অনেকেই বিয়ের মতো পবিত্র বন্ধন মসজিদে সম্পন্ন করতে চান। অনেকের ধারণা মসজিদে বিয়ে করার নিয়ম আলাদা সেইসাথে তার আলাদা ফজিলতও রয়েছে। তবে প্রকৃত সত্যি কথা হচ্ছে:- সঠিক নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করে যে কোন স্থানে বিবাহ করা ফরজ এবং একই সোয়াব পাওয়া যাবে। 


তবে মসজিদে বিয়ে করলে সেখানে একজন মাওলানা উপস্থিত থাকেন যিনি খুব সুন্দর ভাবে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। সেখানে বরপক্ষের লোকজন এবং কোন পক্ষের লোকজন উভয়ে উপস্থিত থাকবেন এবং সকল পক্ষ উপস্থিতির মাধ্যমে সম্পূর্ণ হবে বিবাহ। 


আর হ্যাঁ, অনেকের মনে আরেকটি প্রশ্ন থাকে মসজিদে আসলে কোনে উপস্থিত থাকতে পারবেন কিনা? তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলব হ্যাঁ পারবেন। কেননা মসজিদে সচরাচর পর্দার ব্যবস্থা থাকে। আর কোণে যদি পর্দার সাথে সেখানে উপস্থিত থাকতে চান তাহলে পর্দার আড়ালে থাকতে পারবেন এবং কবুল বলার এই অনুষ্ঠানে তাকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ প্রদান করা হবে। 


কিন্তু একটা বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখবেন বিয়ের এই অনুষ্ঠানে কেউ যদি বেপর্দার সঙ্গে মসজিদে আসে তাহলে খুবই গুনাহগার কাজ হবে। তাই মসজিদে বিয়ের ব্যাপারে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন।


মোবাইলে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম

বর্তমান যুগ অনেক বেশি আধুনিক। আর আজকাল মোবাইলে প্রেম হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তাই মাঝে মধ্যেই অনেকেই মোবাইলে বিবাহ পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। অনেকেই অনেক উদ্বিগ্নতার সাথে জানতে চান– মোবাইলে বিয়ে করলে কি সেই বিয়ে বৈধ হয়? আর যদি বৈধ হয়ে থাকে তাহলে মোবাইলে বিবাহ পড়ানোর সঠিক নিয়ম কোনটি?


এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়ে থাকে– কেউ যদি সুন্নতি পদ্ধতিতে বিয়ে করতে চায় তাহলে অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। মূলত দুজন আজাদ প্রাপ্তবয়স্ক বিবেকবান দুজন মুসলিম সাক্ষের সামনের পাত্র অথবা পাত্রীর প্রস্তাব দেবে আর অপরপক্ষে পাত্র পাত্রী তা কবুল বলবে। আর অবশ্যই সাক্ষীগণ উভয়ের কথা সুস্পষ্টভাবে শুনবে। কিন্তু শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার সম্ভব নয় মোবাইল অথবা টেলিফোনের মাধ্যমে বিয়ে করে। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। 


তবে যদি উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানে কোন ব্যক্তিকে সাক্ষী বানানো হয় এবং পরবর্তীতে বিয়ের সম্পন্ন করা হয় সঠিক নিয়ম অনুসরণ করে তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হবে এমনটাই বলে থাকেন অনেক স্বাভাবিক গন। নয়তোবা সরাসরি মোবাইলে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহিহ হবে না। 



অন্য পোস্টঃগর্ভবতী ভাতা পাওয়ার সহজ নিয়ম 

নিজে নিজে বিয়ে করার নিয়ম


নিজে নিজে বিয়ে করার কোন নিয়ম নেই। বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন। তাই আপনি যদি বৈধ উপায়ে সুন্নতি পদ্ধতিতে বিয়ে করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই সব শর্তাবলী মেনে চলতে হবে যা কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ্য। অবশ্যই আপনি নিজে নিজেই বিয়ে করবেন কেননা এখানে আপনার মতামত কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে আপনার এবং আপনার জীবনসঙ্গের সাথে বিয়ের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সাক্ষীস্বরূপ অবশ্যই তৃতীয় ব্যক্তিকে থাকতে হবে।


বিবাহ পড়ানোর খুতবা


বিবাহ পড়ানোর খুতবা আরবিতেঃ 


إن الحمد لله نحمده ونستعينه ونستغفره ونؤمن به ونتوكل عليه .ونعوذ بالله من شرور انفسنا ومن سيئات اعمالنا. من يهده الله فلا مضل له ومن يضلل فلا هادي له. واشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له.واشهد ان سيدنا ومولانا محمد عبده و رسوله. الذي أُرسل الى الناس كافةً بشيرا ونذيرا. وداعيا الى الله بإذنه سراجا وقمرا منيرا . ‏اما بعد . فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسم الله الرحمن الرحيم. يا أيها الذين أمنوا اتقوا الله حق تقاته ولا تموتن إلا وأنتم مسلمون. وقال تعالى يا ايها الناس اتقوا ربكم الذي خلقكم من نفس واحده وخلق منها زوجها وبث منهما رجالا كثيرا ونساء. واتقوا الله الذي تساءلون به والارحام .ان الله كان عليكم رقيبا. وقال تعالى يا ايها النبي يا ايها الذين امنوا اتقوا الله وقولوا قولا سديدا .يصلح لكم اعمالكم ويغفر لكم ذنوبكم ومن يطع الله ورسوله فقد فاز فوزا عظيما. وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم. اذا تزوج العبد فقد استكمل نصف الدين فليتق الله فی النصف الباقي. وقال عليه الصلاه والسلام .النكاح سنتي فمن رغب عن سنتي فليس مني .


বিবাহ পড়ানোর খুতবা আরবি উচ্চারণঃ 


ইন্নাল হামদা লিল্লাহি নাহমাদুহু ওয়া নাস্তাইনুহু ওয়া নাস্তাগফিরুহু ওয়া নাঊযুবিল্লাহি মিন শুরুরি আনফুসিনা ওয়ামিন সায়্যিআ-তি আ’মালিনা, মাই ইয়াহদিহিল্লাহু ফালা মুদ্বিল্লালাহ, ওয়া মাই ইউদ্বলিল ফালা হাদিয়া লাহ। ওয়া আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ, আল্লাযি উরসিলা ইলান্না-সি কা-ফ্ফাতাম বাশীরাও ওয়া নাযিরা। ওয়া দা-ইয়ান ইলাল্লা-হী বিইযনিহী ওয়া সিরাজাও ওয়া ক্বামারাম মুনীরা। আম্মা বা’দ: ফাআঊযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম। বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানুত তাকুল্লাহা হাক্কা তুকাতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন। ওয়াক্বালা তা’য়ালা—ইয়া আইয়্যুহান্নাসুত তাকু রাব্বাকুমুল লাযি খালাকাকুম মিন নাফসিও ওয়াহিদাতিও ওয়া খালাকা মিনহা যাওজাহা ওয়া বাসসা মিনহুমা রিজালান কাসিরাও ওয়া নিসা, ওয়াত তাকুল্লাহাল্লাযি তাসা আলুনা বিহি ওয়াল আরহাম, ইন্নাল্লাহা কানা আলাইকুম রাকিবা। ওয়াক্বালা তা’য়ালা—ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানুত তাকুল্লাহা ওয়া কূলূ কাওলান সাদিদা। ইউসলিহ লাকুম আ’মালাকুম ওয়াগ ফির লাকুম যুনুবাকুম, ওয়ামাই য়ূতিয়িল্লাহা ওয়া রাসূলাহু ফাকাদ ফাযা ফাওযান আযিমা। ওয়াক্বা-লা আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম: ইযা তাযাওয়াযাল আব্দু ফাকাদ ইসতাকমালা নিসফাদ দ্বীন‚ ফালইয়াত্তাক্বিল্লাহা ফীন নিসফিল বাক্বী। (সহীহ হাদীস শুয়াবুল ইমান) ওয়াক্বা-লা আলাইহিস সালাতু ওয়াসসালাম: আন্নিকাহু সুন্নাতী, ফামান রাগিবা আন সুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী। (সহীহ)



বিবাহের খুতবা পড়ার নিয়ম


সহীহ ও শুদ্ধভাবে আরবি পড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কোরআন ও হাদিসে। তাই বিবাহের খুতবা পড়ার নিয়ম হচ্ছে সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে পাঠ করা। তবে হ্যাঁ কখনো কখনো ভিন্ন একটি খুতবা পড়া হয়ে থাকে বিবাহ সম্পন্নের ক্ষেত্রে। তাই উপরে উল্লেখিত খুতবা পড়া ছাড়াও আপনি বিয়ে করতে পারবেন নিম্ন বর্ণিত খুতবা বা দোয়াটি পাঠ করে। 

বিবাহের খুতবা: 

اما بعد! فيا ايها المسلمون. قال الله تعالى. ومن اياته ان خلق لكم من انفسكم ازواجا لتسكنوا اليها وجعل بينكم موده ورحمه ان في ذلك لايات لقوم يتفكرون (سُوْرَةُ الرُّمِ ٢١) وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم النكاح من سنتي فمن لم يفعل بسنتي فليس مني. و تزوجوا فاني مكاثر بكم الامم . قال رسول الله صلى الله عليه وسلم. ِيا معشر الشباب، من استطاع منكم البأءة فليتزوج فإنه أغض للبصر وأحصن الفرج ومن لم يستطيع فعليه بالصوم. (الكتاب صحيح مسلم) ايها الشباب بارك الله لك وبارك عليك وجمع بينكما في خير

উচ্চারণঃ 


আম্মা বা’দ, ফা ইয়া আইয়্যুহাল মুসলিমুন, কালাল্লাহু তায়ালা, ওয়ামিন আয়াতিহি আন খালাকা লাকুম মিন আনফুসিকুম আযওয়াজান লিতাসকুনূ ইলাইহা ওয়াজা আলা বাইনাকুম মাওয়াদ্দাতাও ওরাহমাহ, ইন্না ফি যালিকা লা আয়াতিল লিকাওমিই ইয়াতাফাক্কারুন। সূরা রূম ২১ ওয়াকালা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আন নিকাহু মিন সুন্নাতি, ফামান লাম ইয়াফআল বিসুন্নাতি ফালাইসা মিন্নী। ওয়াতাযাওয়াজু ফাইন্নি মুকাসিরুন বিকুমুল উমাম। ক্বলা রাসূলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ইয়া মা’শারাশ শাবাব, মানিস তাত্বায়া মিনকুমুল বায়াতা ফালিয়াতাযাওয়াজ। ফাইন্নাহু আগায্যু লিল বাসারি ওয়া আহসানু লিল ফারজি ওমান লাম ইয়াস তাত্বি ফা আলাইহি বিস সাওম। আইয়্যুহাশ শাবাব,বারাকাল্লাহু লাকা, ওয়া বারাকা আলাইকা ওয়াজামাআ বাইনাকুমা ফি খাইর।



পরিশেষে: মূলত বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী মুখ্য। যারা একসঙ্গে ঘর সংসার করবে। তাই সঠিক পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের পরবর্তীতে ইসলামী শরীয়ত মতে সহিহ ও শুদ্ধভাবে দোয়া খুতবা পড়ার মাধ্যমে বিয়ে করাটাই হচ্ছে বৈধ ও বরকতময় বিয়ে। তো সুপ্রিয় দর্শকবৃন্দ, বিবাহ পড়ানোর নিয়ম সম্পর্কে যদি আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থেকে থাকে কমেন্ট করে জানান। আজ এ পর্যন্তই পরবর্তীতে আবারও নতুন কোন আলোচনায় আপনাদের সাথে দেখা হবে কথা হবে। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post