স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম | স্ট্যাম্প লেখার প্রয়োজনীয় ৪ টি নমুনা

স্ট্যাম্প হলো আইনী দলিল বা চুক্তিনামা। দৈনন্দিন জীবনে নানা জটিল চুক্তিতে অঙ্গীকারনামা ব্যবহার হয়ে আসছে এই স্ট্যাম্প বহুযুগ আগে থেকেই। আপনার অর্থ সম্পদ সহ যেকোনো চুক্তির সিকিউরিটি নিরাপত্তার জন্য বা যেকোনো বিষয়ের টাকা লেনদেনের জন্য বা জমি কেনা বেচা, সম্পদ বন্ধক সহ নানা চুক্তি ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প বা চুক্তিপত্র লেখার বিকল্প নেই।
 
স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম
স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম

অন্যথায় বিপক্ষ লোক থেকে মামলা মোকদ্দমা সহ যে কোন সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন।বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প পাওয়া যায় বাজারে।  ৫, ২০, ৫০, ১০০ থেকে প্রায় ৫০০,২০০০ সহ বিভিন্ন দামের স্ট্যাম্প পাওয়া যায় বাজারে। বিভিন্ন দাম অনুযায়ী একেকটার কাজ একেক রকম।শুধু বিষয়বস্তু ভিন্ন। 


যেমনটা আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত, এবং জমি বিক্রি বা বন্ধক সম্পর্কিত স্ট্যাম্পের মূল বিষয় কিন্তু এক নয়। এক্ষেত্রে দুইটাই সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। এক্ষেত্রে বিষয়বস্তু লেখার উপর নজর রাখা অত্যাবশ্যক।মূলত প্রতিটি অঙ্গীকারনামার মধ্যেই তার মূল্য লেখা থাকেঃ

  • একটি দলিলের মাঝ বরাবর রঙ করা স্থানে লেখা থাকে “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। আর বাকি পুরো পৃষ্ঠায় থাকা “ভার্টিক্যাল মার্জিন” এর উপর বরাবর লেখাটি থাকবে।
  • আপনি কোন কাজে অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করছেন সে অনুযায়ী সেই মূল্যের অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে।
  • মাঝখানে থাকবে টাকার কয়েনের মত দেখতে দু’পাশে ধানের শীষ এবং মাঝে শাপলা আঁকা লোগোর ছবি। কয়েনের ডানে এবং বামে স্ট্যাম্পের মূল্য লেখা থাকবে।
  • এবারে আসুন রঙিন চার কোণা বক্সের নিচে এখানে কয়েনের নিচ বরাবর স্ট্যাম্পের টাকার মান উল্লেখ করতে হবে। এই কাজটা করতে হবে স্ট্যাম্পের প্রথম পৃষ্ঠার মার্জিনের শুরুতে।তারপর চুক্তিনামার মূল বিষয়বস্তু লিখতে হবে স্পষ্টভাবে।

এই স্ট্যাম্প যেমন খুবই জরুরি, তেমনি স্ট্যাম্পের সঠিক ব্যবহার জানাও অত্যন্ত জরুরি। তাই স্ট্যাম্প করার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে কোন কাজে কত টাকা মূল্যের স্ট্যাম্প লিখতে হবে।


অন্য পোস্টঃ ডিভোর্স পেপার লেখার নিয়ম


স্ট্যাম্প লেখার নমুনা | স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম


নিম্নে সঠিকভাবে উদাহরণ স্বরুপ  স্ট্যাম্প লেখার একটা নমুনা দিলাম। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি যেকোনো স্ট্যাম্প সহজেই লিখতে পারবেন,, ধার দেওয়া টাকার স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম ও নমুনাঃ


১ম পক্ষঃ

নামঃ- সাদ্দাম হোসেন

পিতাঃ- মোঃ আবদুল মতিন

মাতাঃ- খাদিজা বেগম

পোঃ- কেরামত নগর

থানাঃ- কমলগঞ্জ

জেলাঃ- মৌলভীবাজার

পেশাঃ- ব্যবসা

ধর্মঃ- ইসলাম

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী


২য় পক্ষঃ

নামঃ- রহিম মিয়া

পিতাঃ-খালিক মিয়া

মাতাঃ- আমেনা বেগম

পোঃ- কেরামতনগর

থানাঃ- কমলগঞ্জ

জেলাঃ- মৌলভীবাজার

পেশাঃ-ব্যবসা

ধর্মঃ- ইসলাম

জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী


পরিচয়পত্রের পর লিখতে হবে,


পাতা নং০২

*আমি মোঃসাদ্দাম হোসেন (১ম পক্ষ) সমস্ত সাক্ষীগনের উপস্থিতিতে মোঃরহিম মিয়া (২য় পক্ষ) কে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আজ ০৫-০২-২০২৩ ইং তারিখে নগদ ১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা হাওলাত দিতেছি। আমি শপথ পূর্বক ঘোষণা দিতেছি যে, উক্ত টাকা আমি সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে, কারো বিনা প্ররোচনায় গ্রহীতা রহিম মিয়াকে কে চুক্তি অনুযায়ী ০৬-০২-২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় দিয়ে সজ্ঞানে হাওলাত প্রদান করলাম।


পাতা নং ০৩

আমি শপথ পূর্বক নিম্নরুপ ঘোষনা করিতেছি যে-

১. আমি রহিম মিয়া( ২য় পক্ষ) সম্পূর্ণ সুস্থ মস্তিষ্কে, কারো কোন প্রকার প্ররোচনা ছাড়া সজ্ঞানে অঙ্গিকার করিতেছি যে,সাদ্দাম হোসেন ( ১ম পক্ষ) এর নিকট হইতে আমার ব্যবসায়িক প্রয়োজন বসতঃ জরুরি টাকা আবশ্যক হওয়ায় ১,০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা নগদ হাওলাদ হিসাবে সুস্থ মস্তিষ্কের পাঁচজন স্বাক্ষীগণের সম্মুখে একযোগে গ্রহন করিলাম।


পাতা নং ০৪


২. আমি (২য় পক্ষ) অঙ্গিকার করিতেছি যে, উক্ত হাওলাদকৃত টাকা আগামী ০১/১১/২০২২ইং তারিখে পরিশোধ করিব। এবং ১ম পক্ষের নিকট হইতে আমার সম্পাদনকৃত অঙ্গিকারনামা ১টি ১০০/- ও ১ টি ৫০/- টাকার নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প ২টি ফিরাইয়া নিয়া আসিব।


আমি (২য় পক্ষ) যদি সঠিক সময়ে ১ম পক্ষের টাকা ফেরত বা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হই, তাহলে ১ পক্ষ আমার উপর যে কোন আইণগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারিবে। ইহাতে আমার কোন প্রকার আপত্তি বা বাধা থাকিবে না।


পাতা নং ৫

উপরোক্ত বিবরণ সমূহ আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য জানিয়া পড়িয়া শুনিয়া আমার কথামত লেখা হওয়ায়, স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

গ্রহীতার সাক্ষরঃ- মোঃ আবদুল মান্নান। 


স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর।

১ম সাক্ষীঃ-*****

২য় সাক্ষীঃ-*****

৩য় সাক্ষীঃ-*****

 হলফকারীর স্বাক্ষরঃ-******


শেষে বলি,স্ট্যাম্প ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন। স্ট্যাম্পের দলিলটি ভালোভাবে পড়ে বুঝেশুনে সাক্ষর করবেন,নাহলে কোনো না কোনো ভাবে প্রতারিত হবার সম্ভাবনা থেকে যায়।


অন্য পোস্টঃ অভিযোগ পত্র লেখার নিয়ম


বিয়ের স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম?


এই স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বর-কনে শুধুমাত্র ঘোষণা করেন যে তারা বৈধভাবে বিবাহিত। প্রথমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিবাহ সম্পন্ন করতে হবে।শুধুমাত্র পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে ছাড়াই এই হলফনামা সম্পন্ন করা উচিত নয়।


    ,,, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,, 


       ,,,,,,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ,,,,, 


    বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কার্যালয় সুনামগঞ্জ  ৷ 


***বিবাহের হলফনামা (কোর্ট ম্যারেজ)


১ম পক্ষঃ

মোঃ বাশার আহমেদ, 

পিতাঃআমিন হোসেন, 

মাতাঃআয়েশা বেগম, 

জন্ম তারিখ- ০৩/১১/১৯৯৬ ইং,

 জাতীয় পরিচয়পত্র- ******, 

ধর্ম : ইসলাম, 

পেশা: চাকুরী, 

জাতীয়তা: বাংলাদেশী, 

ঠিকানাঃ- গ্রামঃকামদ পুর, উপজেলাঃসুনামগন্জ সদর, জেলাঃসুনামগন্জ।


২য় পক্ষঃ

সানজিদা আক্তার,

পিতা: করিম মিয়া,

মাতাঃহোসনা বেগম, 

জন্ম তারিখ- ০৯/০৫/২০০০ ইং,

জাতীয় পরিচয়পত্র- *******, 

ধর্ম : ইসলাম,

পেশা: ছাত্রী, 

জাতীয়তা: বাংলাদেশী,

ঠিকানাঃ- গ্রামঃকামদপুর, উপজেলাঃসুনামগন্জ সদর, 

জেলাঃসুনামগন্জ ।


১. আমরা উভয় পক্ষ ধর্মত্ব প্রতিজ্ঞাপূর্বক অত্র হলফনামা দ্বারা ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা জন্ম সূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা ৷ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আইনের প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীলও আস্থা ভাজন৷


আমরা উভয় পক্ষ বর্তমানে প্রাপ্ত বয়স্ক অর্থাৎ সাবালক ও সাবালিকা৷ আমরা নিজেদের ভালো মন্দ বুঝার যথেষ্ঠ জ্ঞান বুদ্ধি অর্জন করিয়াছি৷ আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ একে অপরকে ভালোভাবে চিনি ও জানি ৷ 


২. আমরা উভয়ের নৈতিক গুনাবলি পর্যালোচনা করিয়া দীর্ঘ দিন কথা-বার্তা ও আচার ব্যবহারে একে অপরের প্রতি গভীরভাবে মুগ্ধ হইয়া ভালোবাসার পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হই ৷ তাই নিজের মঙ্গলার্থে উভয়ের ভালোবাসাকে স্থায়ী করণের লক্ষ্যে একে অপরকে বিবাহের প্রস্তাব করি, তাহাতে কারো কোন আপত্তি না থাকায় আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছি।


৩. এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে উভয়ে সম্মত হইয়া মুসলিম ইসলামিক শরীয়া মোতাবেক উভয় পক্ষের তিনজন স্বাক্ষীর উপস্থিতে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে ৭,০০,০০০/- (সাত লক্ষ) টাকা দেন মোহর ধার্য করিয়া একে অপরকে স্বামী স্ত্রী হিসাবে  কবুল বলিয়া বিবাহ রেজিস্ট্রি করিয়াছি।


৪. অদ্য মাননীয় নোটারী পাবলিক কার্যালয় সুনামগন্জ বরাবরে অত্র বিবাহের হলফনামা সম্পাদন করিলাম।আমরা ঘোষণা করিতেছি যে, অদ্য হইতে আমরা স্বামী স্ত্রী হিসাবে পরিচিত হইয়া আজীবন একে অপরের সুখে দুঃখে চির সাথী হয়ে থাকিব ।


সাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানা :****

ইতি তাং:******

হলফকারীগনের সাক্ষর

১.*****

২.*****

হলফকারীদ্বয় অত্র বিবাহের হলফনামায় তাহাদের নিজ নিজ নাম                                                              সাক্ষর করিলে আমি তাহাদের সনাক্ত করিলাম।


অন্য পোস্টঃ ভোক্তা অধিকার অভিযোগ করার নিয়ম



মির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম


    ,,,, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,,,


        **জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্র**


১ম পক্ষ:জমির মালিক।

নাম:

পিতা:

ঠিকানা:

জাতীয়তা- বাংলাদেশী

ধর্ম- ইসলাম, 

পেশা- ব্যবসা


২য় পক্ষ: জমির বন্ধক গ্রহীতা। 

নাম:

পিতার নাম:

ঠিকানা :

জাতীয়তা: বাংলাদেশী

ধর্ম: ইসলাম

পেশা: ব্যবসায়ী


পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার নাম স্মরণ করিয়া অত্র বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিতেছি। যেহেতু প্রথম পক্ষ নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। প্রথম পক্ষের নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হইলে দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ২ দাগে ১২.৫ (সারে বারো) কাঠা জমি বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করিয়া নিম্নে তফসিল বর্ণিত ১২.৫ (সারে বারো) কাঠা জমি বন্ধক নিতে রাজী ও সম্মত হইয়াছেন। যেহেতু উভয় পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হইলাম।


শর্তাবলি,, 


পাতা-০১

০১। ১ম পক্ষ/ বন্ধক দাতা,২য় পক্ষ /বন্ধক গ্রহিতার নিকট হইতে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ফসলি খালি জমিখানা বন্ধক রাখিয়া এককালীন নগদ ৩৮,০০০.০০ (আটত্রিশ হাজার) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় বুঝিয়া নিয়াছেন।


০২।যেহেতু, অত্র বন্ধকী জমিখানা ফসলী জমী, দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহিতা নিজেই ফসলাদী রোপন করিয়া তাহা ভোগ করিবেন অথবা অন্য কাহারো মাধ্যমে ফসলাদি লাগাইয়া ভোগ করিতে পারিবেন।


পাতা-২

০৩। যতদিন পর্যন্ত ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে টাকা ফেরত না দিতে পারিবে ততদিন পর্যন্ত দ্বিতীয় পক্ষ ভোগ দখল করিবে। ইহাতে ১ম পক্ষ কোন ওজর আপত্তি করিতে পারিবেন না।


০৪। ১ম পক্ষ যখন জমি বন্ধক বাবদ ৩৮,০০০.০০ (আটত্রিশ হাজার) টাকা দ্বিতীয় পক্ষের নিকট ফেরত দিবে, ২য় পক্ষ বন্ধকী জমির দখল প্রথম পক্ষের নিকট ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।


০৫। প্রথম পক্ষ জমি বন্ধক থাকাবস্থায় কোনও কাহারও কাছে বন্ধকী জমি হস্তান্তর করিতে পরিবেন না। যদি হস্তান্ত করে দ্বিতীয় পক্ষ আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে পারিবে।


০৪। আল্লাহ না করুন অত্র চুক্তিপত্র সম্পাদনের পর প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা মৃত্যু বরণ করিলে তাহার স্থলবর্তী ও পরবর্তী বৈধ ওয়ারিশান প্রথম পক্ষ/ বন্ধক দাতা বলিয়া গণ্য হইয়া উক্ত বন্ধকের সম্পূর্ণ টাকা ওয়ারিশগণই দ্বিতীয় পক্ষ বন্ধক গ্রহিতাকে ফেরত প্রদান করিতে বাধ্য দিবেন।


০৫। তদরূপ ২য় পক্ষ/ বন্ধক গ্রহিতার মৃত্যু হইলে তাহার ওয়ারিশ উক্ত টাকা বুঝিয়া পাইয়া উক্ত জমিটি প্রথম পক্ষ/বন্ধক দাতাকে ফেরত বুঝাইয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন।


০৬। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অত্র জমিটি বন্ধকীর বিষয়ে প্রথম পক্ষ /বন্ধক দাতার পরিবার বা তাহার ওয়ারিশগণ কোন প্রকার ওজর আপত্তি করিতে পারিবে না। করিলে তাহা সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।


(পাতা-৩)

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে সরল মনে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ফসলী জমির বন্ধকীনামা দলিল পাঠ করিয়া উপস্থিত স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় নিজ নাম সহি সম্পাদকন করিয়া দিলাম।

 ইতি, তাং-


বন্ধকী নামা দলিলের তফসিল পরিচয়ঃ


জেলা-****, 

থানা- *****

জমির দাগ নং*****


জমির দাগ নং জমির পরিমাণ

১।

২।



স্বাক্ষীগণের নাম ও স্বাক্ষর


১।


২।


৩।


১ম পক্ষ/ দলিল দাতার স্বাক্ষর

********


২য় পক্ষ দলিল গ্রহিতার স্বাক্ষর

********


আশা করি উপরে দেখানো মতে জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রটির মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনে আরেকটি এরকম চুক্তিপত্র দলিল তৈরি করতে পারবেন।



চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম?


চুক্তিপত্র মূলত একটি লিখিত ব্যবস্থা যেখানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির সম্মতিতে কোন বিষয়ে আরোপিত শর্তে উভয়পক্ষ দায়বদ্ধ থাকেন।এবং চুক্তির জন্য উভয়পক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত শর্তবলীর লিপিকেই চুক্তিপত্র হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়ে থাকে।



        চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম


টাকা লেনদেনের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম নমুনা

অংশীদারী চুক্তিপত্র দলিল


    ,,, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,,,


অত্র চুক্তি নামা দলিল অদ্য ০৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে নিম্ন লিখিত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে সম্পাদিত হইল।


১ম পক্ষ:

নাম:

জন্ম তারিখ:

পিতা-

মাতা

ঠিকানা-

জাতীয়তা- বাংলাদেশী, 

ধর্ম- ইসলাম, 

পেশা- ব্যবসা।


২য় পক্ষ:

নাম: মোহনলাল রায়

জন্ম তারিখ -

পিতা-

মাতা-

ঠিকানা-

জাতীয়তা- বাংলাদেশী,

ধর্ম- হিন্দু

পেশা- ব্যবসা


পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তা’আলার নামে শুরু করছি।অত্র অংশীদারী চুক্তিপত্র দলিলের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করিতেছি। যেহেতু আমরা সকল পক্ষগণ পরস্পর পরস্পরকে দীর্ঘ দিন যাবত চিনি ও জানি। এমতাবস্থায় আমরা সকল পক্ষগণ একত্রে ব্যবসা পরিচালনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করায় আমরা উপরোক্ত পক্ষদ্বয় একমত হইয়া আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ জটিলতা নিরসনকল্পে অদ্য হাজিরান মজলিশে স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় এই মর্মে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিম্ন লিখিত শর্তাবলীর উপর আস্থা রাখিয়া ভবিষ্যৎ জটিলতা নিরসনকল্পে আমরা ১ম ও ২য় পক্ষদ্বয় অত্র ব্যবসায়িক চুক্তিপত্র দলিলে আবদ্ধ হইলাম।


শর্তাবলীঃ


১.অত্র দলিল সহি সম্পাদনার তারিখ হইতে অত্র অংশীদারী ব্যবসার মেয়াদ শুরু হইবে এবং আইনানুগ রুপে অবসান না হওয়া পর্যন্ত অত্র ব্যবসা চলিবে।


২. ব্যবসার মূল অফিস ঢাকা শহরের অবস্থিত থাকিবে, যাহার ঠিকানাঃ-১০৩ সূত্রাপুর, জেলা-ঢাকা এবং অন্যান্য স্থানে উভয় পক্ষের লিখিত অনুমোদন লইয়া শাখা অফিস খোলা যাইবে।


৩. (ক) ব্যবসার অংশীদারগণের পুঁজি ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা তন্মধ্যে ১ম পক্ষ ৬০% এবং ২য় পক্ষ ৪০% ভাগে বিয়োগ করিবে এবং অংশীদারদের মালিকানার অংশ ১ম পক্ষ ৬০% এবং ২য় পক্ষ ৪০% ভাগে থাকিবে।


৪. আর অংশীদারী ব্যবসার লাভ ক্ষতির অংশ ১ম পক্ষ ৬০% এবং ২য় পক্ষ ৪০% ভাগে বন্টন করা হইবে।


৫. প্রত্যেক মাসে অন্তর অন্তর অত্র ব্যবসার লাভ ক্ষতির হিসাব প্রস্তুুত করা হইবে অংশ ১ম পক্ষ ৬০% এবং ২য় পক্ষ ৪০% ভাগে হিস্যা পক্ষগণের উপর ন্যস্ত হইবে তবে প্রতি মাসে লাভের শতকরা অংশ ১ম পক্ষ ৬০% এবং ২য় পক্ষ ৪০% ভাগে অত্র ব্যবসা রির্জাভ ফান্ডে জমা থাকিবে।


৬.আনুপাতিক ভিত্তিতে উভয় পক্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত দায়দায়িত্ব পালন করিবে, তবে উভয় পক্ষের সর্বসম্মতিক্রমে জনাব মোঃ সামসুল হক ব্যবস্থাপনা অংশীদার হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন। তিনি সভায় সভাপতিত্ত্ব করবেন এবং তাঁর স্বাক্ষরে ব্যাংক বিসিকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চিঠিপত্র এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজে ব্যবস্থাপনা অংশীদার জনাব মোঃ সামসুল হক বিসিক ঢাকা  শিল্প নগরীতে প্লট ক্রয় বিক্রয়ের সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হলো এবং তাকে দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা দেয়া হইল।


৭. কেবলমাত্র উভয় পক্ষের সম্মতিতে এই চুক্তিনামা বাতিল বা ব্যবসা বন্ধ ঘোষনা করা যাইবে।


৮. ব্যবসা চলাকালিন সময়ে আল্লাহ না করুন যদি কোন পক্ষের কেউ মৃত্যুবরন করেন তাহা হইলে মৃত্যুব্যক্তির উত্তরাধিকারীগণ মৃত্যুবরনকারী অংশীদারের অংশ ভোগ করিবেন এবং ঐ অংশের অংশীদার হিসাবে গন্য হইবেন ও সকল প্রকার দায়দায়িত্ব পালন করিবেন।


অত্র দলিল কম্পোজকৃত এবং স্বাক্ষী (৩) জন বটে।


স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর ও ঠিকানাঃ


১।


২।


৩।


১ম পক্ষের স্বাক্ষর২

*******

২য় পক্ষের স্বাক্ষর

******


এই চুক্তিপত্রের লেখা নিয়ম দেখে যে কেউ যেকোনো ধরনের চুক্তিপত্র খুব সহজেই লিখতে পারবেন।


আশাকরি পোস্টটি পড়ে আপনারা স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম,বিয়ের স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম,জমির স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম,চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প লেখার নিয়ম এসব সম্বন্ধে  প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন।এই বিষয় সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে,তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাতে পারেন।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post