ডিজিটাল মার্কেটিং কি?What Is Digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?What Is Digital marketing


আসসালামুআলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে করবেন।


বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল যুগ। আর ডিজিটাল যুগে এসে আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এর বিষয়ে অবগত না থাকেন তাহলে বলতে হবে আপনি অনেকটা পিছনে পরে রয়েছেন।


আর আপনি যদি যেকোনো পণ্য নিয়ে ব্যবসা করছেন বা করবেন বলে ভাবছেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য Digital Marketing সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা বেশ লাভজনক হবে।


Digital Marketing হলো এমন একটি অনলাইন মার্কেটিং প্রসেস যার দ্বারা আপনি আপনার কাঙ্খিত ব্যবসা কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।


একটা সময় ছিল আগে, যখন আমরা আমাদের ব্যবসার পণ্য বা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতাম। 


এছাড়া এই প্রক্রিয়াতে প্রচার এর পিছনে আমাদের ব্যয়ের দিকটাও বেশি ছিল।


কিন্তু এইভাবে প্রচার করেও অনেক সময় টার্গেট পণ্যের কাস্টমার পেতে হিমশিম খেতে হতো।


তবে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রসেসটি এতটাই লাভজনক যে, এখানে কম খরচে আপনি যেকোনো দেশে খুব সহজে আপনার কাঙ্খিত পণ্য প্রচার করতে পারেন।


এছাড়াও এইভাবে প্রচার করে আপনি সহজেই কাস্টমার পেয়ে যেতে পারেন।


আর পুরনো মার্কেটিং প্রক্রিয়া এখনকার সময়ে আর নেই বললেই চলে। 


তাই এখন আপনার যেকোনো প্রডাক্ট (Product), অফলাইন ব্যবসা (Offline Business) বা অনলাইন ব্যাবসা/সার্ভিস (Online Business/Service) ইত্যাদি প্রচার করতে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।


তাই আজকের আর্টিকেল দ্বারা আমরা জানার চেষ্টা করবো Digital Marketing বিষয়টা মূলত কি? কিভাবে এটি করতে হয়, এটির নানান প্রকার ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।


প্রথমে বলে রাখি, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানার আগে আমাদের মার্কেটিং বিষয়টা চিনতে হবে। তাহলে মার্কেটিং বিষয়টা মূলত কি।


মার্কেটিং কি?(What is Marketing?)


মার্কেটিং শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ পণ্য বাজারজাতকরণ। পণ্য বা সেবা সমূহকে গ্রাহকের নিকট বিক্রয় করার প্রক্রিয়াকেই মার্কেটিং বলে।


তবে মার্কেটিং এর জনক ফিলিপ কটলার এটির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট বাজার চাহিদা পূরণের জন্য বিজ্ঞান, শিল্পকলা এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে পণ্য প্রদান করাকে মার্কেটিং বলে।


আরো সহজ ভাবে বললে, marketing হচ্ছে এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে নানান উপায়ে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তার সম্ভাব্য গ্রাহকদের আগ্রহী করে তোলার মাধ্যমে সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটির বিক্রি বা সেল বাড়াতে পারেন।


একটি ব্যাবসায়ের মূল হাতিয়ার হিসেবে মার্কেটিং কে ধরা হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, Marketing মূলত কি।

তাহলে,


ডিজিটাল মার্কেটিং কি?(What is Digital Marketing?)


ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে, ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অনলাইন/ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার বিক্রয় কাজ পরিচালনা করা।


তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সাধারণ মার্কেটিং প্রক্রিয়া এবং ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি।


Digital Marketing মানেই হচ্ছে যেকোনো ডিজিটাল মিডিয়া কিংবা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনলাইনের দ্বারা মার্কেটিং এর কাজ পরিচালনা করা।


বর্তমানের সকল কোম্পানি তাদের কাঙ্খিত পণ্য বা সেবা টার্গেট ভোক্তা বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়ে Digital Marketing এর শরণাপন্ন হচ্ছে।


আর বর্তমানে প্রতিযোগিতা মূলক বিজনেস প্লাটফর্মে যদি আপনি নিজের বিজনেসকে এগিয়ে নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই Digital Marketing জানতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেটা জানলে আপনার মার্কেটিং করাটা আরো সহজ হয়ে যাবে। 


ডিজিটাল মার্কেটিং কত ধরনের হয়?


ডিজিটাল মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে হয়তো মোটামুটি ধারণা পেয়ে গেছেন। এমনিতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট কোনো ধাপ নেই। তবে এর ধরন, মিডিয়া এবং কনটেন্ট ভেদে ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।

তবে অনলাইন প্লাটফর্মে কয়েকটি লাভজনক ডিজিটাল মার্কেটিং প্রক্রিয়া রয়েছে। যার দ্বারা আপনি আপনার ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে পারেন।


এমন কয়েকটি লাভজনক ধাপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করাহলোDigital Marketing এর লাভজনক ১০ টি মাধ্যমঃ


এমনিতে Digital Marketing এর অনেকগুলো মাধ্যম আছে যার দ্বারা আমরা আমাদের পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করতে পারি, তবে জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া গুলো সম্পর্কে আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি।


১.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (Social Media Marketing)


ডিজিটাল মার্কেটিং কি এই সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গেছেন হয়ত এতক্ষণে। বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই নানান সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমের সাথে যুক্ত রয়েছি। জনপ্রিয় কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হচ্ছে Facebook, YouTube, Twitter, Instagram, Tumblr, Google +, Pinterest, Snapchat, LinkedIn আরো ইত্যাদি।


এই সকল সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কস (Social Networks) ও বলা হয়।


আর এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কস এর দ্বারা যেকোনো পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করাকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।


অর্থাৎ এসকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে আমরা আমাদের পণ্যের প্রচারণার কাজ চালাতে পারি, যেটিকে বলা হয় Social Media Marketing.


আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।


সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেসবুক এবং ইউটিউব। 


অন্যান্য প্লাটফর্ম এর মাধ্যমেও মার্কেটিং করা যায়, তবে এই দুটি বেশি জনপ্রিয়।


Social Media Marketing এজন্যই জনপ্রিয় কারণ এখানে আপনি যে Products কিংবা Service নিয়ে কাজ করেন না কেনো, আপনার টার্গেট গ্রুপ আপনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন।


এছাড়া Social Media দ্বারা আপনি আপনার কাস্টমারদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন। কাস্টমার আপনার পণ্য সম্পর্কে আপনাকে ফিডব্যাক দিতে পারবে সহজে, বিভিন্ন QNA করতে পারবেন আপনি। কাস্টমার কি চায় সেটিও জেনে নিতে পারবেন।


এবং এর ফলে আপনার বিজনেস অনেক তাড়াতাড়ি  সফল হতে শুরু করবে। আর এই কারণে আজ social media marketing এতটা জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং সিস্টেম হয়ে উঠেছে।


২.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)


আপনি যখন গুগলে কোনো কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করেন তখন নিশ্চই দেখতে পান যে প্রথম পাতায় ১০টি রেজাল্ট আপনাকে দেখানো হলো। আর এইভাবেই একের পর এক রেজাল্ট দেখানো হয়।


কখনো কি ভেবে দেখেছেন? কেনো প্রথম রেজাল্টটিকে প্রথমে এবং ১০ নম্বর রেজাল্টকে ১০ নম্বরে দেখানো হচ্ছে? হ্যাঁ, এইটাই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ।


অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল কিংবা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে পারেন।


আর আপনার ওয়েবসাইট প্রথম পাতায় থাকা মানে অবশ্যই তাতে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আপনি পেয়ে যাবেন।


তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন, মূলত একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ রেজাল্টের সর্বপ্রথম পাতায় দেখানো এবং বেশি পরিমাণে ট্রাফিক নিজের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে এসইও এর প্রয়োজন হয়।


মানুষ যখন কোনো প্রোডাক্ট বা সেবা সার্চ ইঞ্জিনে লিখে সার্চ করে তখন সে বেশিরভাগ সময় প্রথম পাতায় দেখানো রেজাল্টে ক্লিক করছে।


আর তাই এসইও দ্বারা আপনি আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে পারলে আপনার কাঙ্খিত পণ্য বা সেবা এর প্রচার বেশ ভালোমতো করতে পারবেন আপনি।


৩. সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (Search Engine Marketing)


একটু আগে আমরা জেনেছি Search Engine Optimization এর বিষয়ে। মূলত একটি ওয়েবসাইট Search Engine এর প্রথম পাতায় আনতে বা ওয়েবসাইটের রেঙ্ক বাড়াতে এসইও এর প্রয়োজন হয়।


আর এইভাবেই মূলত কাজ করে সার্চ ইঞ্জিন। বেশ কয়েকটি স্টেপ এর মধ্যে দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন আমাদের মাঝে বিভিন্ন রেজাল্ট দেখিয়ে থাকে। তারমানে, আমরা সার্চ ইঞ্জিন বিষয়টা বুঝতে পারলাম।


তাহলে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বিষয়টা কি? সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এমন এক টেকনিক যার মাধ্যমে আপনি কিছু টাকা পে করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পাতায় আনতে পারেন।


উদাহরণ স্বরূপ, অনেক সময় আপনি সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে দেখবেন প্রথম ২/৩ টি ওয়েবসাইট থাকে, যেগুলোর প্রথমে Ad লিখা রয়েছে। এটি হচ্ছে পেইড বিজ্ঞাপন।


বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির মালিক তাদের পণ্য বা সেবা প্রচারণার জন্য বা বিক্রি করার জন্য সার্চ ইঞ্জিনে কিছু টাকা দিয়ে পেইড বিজ্ঞাপন বা এড এর  দ্বারা সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় তাদের ওয়েবসাইটকে আনতে পারছে। যার ফলে তাদের সাইটে যথেষ্ট পরিমাণ ট্রাফিক তারা পাচ্ছে।


৪.ইমেইল মার্কেটিং (Email Marketing)


ইমেইল মার্কেটিং হলো এমন একটি টেকনিক যেখানে কোম্পানি মার্কেটিং সিস্টেমে তার টার্গেট কাস্টমারদের ইমেইল জোগাড় করে এবং বিভিন্ন সময় তাদের নানান প্রচারণামূলক ইমেইল পাঠায়।


এই প্রক্রিয়াতে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার বাড়িতে বসেই করতে পারবেন এবং আপনার টার্গেটে ড কাস্টমারও বাড়িতে বসেই পেয়ে যাবেন।


তবে এখনও অনেকে বুঝতে অসুবিধা হতে পারে, কিভাবে করে ইমেইল মার্কেটিং।


ধরুন একটি কোম্পানি রয়েছে যাদের যেকোনো পণ্য বা সার্ভিস আছে। এখন তারা তাদের পণ্য বা সার্ভিস অনেক মানুষের কাছে প্রচার করতে চায়, যার জন্য তারা ইমেইল মার্কেটিং বেছে নিয়েছে।


এখন তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে তাদের টার্গেট কাস্টমার এর ইমেইল সংগ্রহ করা। আর এর জন্য কোম্পানি বিভিন্ন অফার দিতে পারে।


উদাহরণ স্বরূপ আমরা যখন কোনো ইকমার্স সাইটে যায় তখন দেখি বিভিন্ন কুপন অফার রয়েছে।


এইধরনের যেকোনো অফার কোম্পানি একটি সাইটে দিতে পারে, আর এই অফার নিতে হলে আপনাকে আপনার ইমেইল সাবমিট করতে হবে।


ফলে আপনার মত যতজন ঐ অফার নিতে তাদের ইমেইল সাবমিট করবে, ততজনের মেইল কোম্পানির কাছে চলে যাবে।


এখন যেকোনো একটা সময়ে কোম্পানি সেই সব ইমেইলে কোম্পানির কাঙ্খিত পণ্য বা সেবার প্রচারণা মূলক প্রফেশনাল একটি মেইল লিখে পাঠিয়ে দিবে।


এই প্রক্রিয়াতে কোম্পানি সহজেই তাদের পন্ন ও সেবার জন্য টার্গেট অডিয়েন্স পেয়ে যায়। আর এই ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য অনেক ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।


৫.এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)


এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক বড় একটি অধ্যায়, তাই এটির পুরো বিশ্লেষণ দিতে গেলে অনেক গুলো বিষয় বলতে হবে। তবে আমি সংক্ষেপে একটা ধারণা আপনাদের দিচ্ছি।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি মার্কেটিং সিস্টেম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। এই প্রক্রিয়ায় আপনি অন্য কোনো ব্যক্তি বা যেকোনো কোম্পানির কাছ থেকে প্রোডাক্ট সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইট বা পেজে এনে সেটিকে প্রমোট বা প্রচার করবেন।


কেউ যদি আপনার প্রমোট করা লিংক বা ব্যানার দ্বারা ক্লিক করে উক্ত প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি সেটির বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন।


Affiliate Marketing এর সাথে মূলত তিনটি বিষয় জড়িত, যেমন;


Advertiser


Affiliate Networks


Publisher



বিভিন্ন Advertiser রা কোন সময় কোন প্রোডাক্ট এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেটি প্রথমত বাছাই করেন। এরপর তারা সেই প্রোডাক্টগুলি বিভিন্ন Affiliate Networks এর মধ্যে সাবমিট করে।


এখন Publisher এর কাজ হলো, সেই Affiliate Networks থেকে প্রোডাক্ট লিংক নিয়ে তার নিজের ওয়েবসাইট বা পেজ দ্বারা প্রমোট করা। আর এর জন্য Publisher এর প্রথম কাজ হচ্ছে তার ওয়েবসাইট বা পেজে ট্রাফিক জেনারেট করা।


এখন Publisher এর ওয়েবসাইট বা পেজে আসা ট্রাফিক থেকে যদি কেউ ঐ প্রোডাক্ট এর লিংকে ক্লিক করে গিয়ে প্রোডাক্ট ক্রয় করে, তাহলে এর বিনিময়ে নির্দিষ্ট কমিশন Publisher পেয়ে যাবেন। এটাই হচ্ছে পুরো এফিলিয়েট প্রক্রিয়া।


৬. কনটেন্ট মার্কেটিং (Content marketing)


Content বলতে আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স, ই-বুক, ছবি ইত্যাদিকে বুঝে থাকি।


আমরা যখন অনলাইনে কোনো ধরনের কনটেন্ট নিয়ে মার্কেটিং করি তখন সেটিকে Content Marketing বলে। এখন Content হতে পারে যেকোনো কিছু।


Digital Marketing এর যেকোনো Marketing প্রক্রিয়াতেই আপনার Content এর প্রয়োজন হবে।


এখন ধরুন, একটি কোম্পানি তাদের নির্দিষ্ট product কিংবা Service এর প্রচার করতে চায়। এটির জন্য তাদের প্রয়োজন টার্গেট কাস্টমার, অর্থাৎ যারা তার product এবং Service এর সাথে জড়িত রয়েছে।


এখন কোম্পানিটি তার সেই Products কাস্টমারদের কাছে কিভাবে প্রচার করবে সেটি প্রথমে তাকে নির্ধারণ করতে হবে। 


নির্ধারণ করা হয়ে গেলে কোম্পানির তার products এর বিষয়ে সুন্দর একটি Content লিখতে হবে। আগেই বলেছি Content যেকোনো প্রকার হয়ে পারে।


আর এই প্রক্রিয়ায় কাস্টমার Product টি কেনার আগে সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবে উক্ত কনটেন্ট এর মাধ্যমে। এটি হচ্ছে মূলত কনটেন্ট মার্কেটিং। সোজা কথায় content বানিয়ে প্রচারণা/মার্কেটিং এর কাজ চালানোর একটি প্রক্রিয়া।


৭. ভিডিও মার্কেটিং (Video Marketing)


অনলাইনের ভিডিও প্লাটফর্ম গুলোতে একটি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন Video Marketing এর চাহিদা কেমন। যারা কম পুঁজিতে তাদের বিজনেস বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা Digital Marketing এর প্রক্রিয়া হচ্ছে ভিডিও মার্কেটিং।


Video Marketing এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে যেকোনো কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত একটি ভিডিও বানিয়ে সেটিকে অনেক মানুষের কাছে প্রচার বা মার্কেটিং করতে পারে।


বাংলাদেশের ক্ষেত্রে YouTube, Facebook, Instagram এবং LinkedIn সবথেকে বেশি কাজে দিবে Vedio Marketing করার ক্ষেত্রে।


এই মার্কেটিং প্রক্রিয়াতে কাস্টমার শুধু মাত্র একটি ভিডিওর দ্বারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে দেখতে এবং জন্য পারবে।


ভিডিও মার্কেটিং আপনার টার্গেট কাস্টমারকে আপনার পণ্য কিনার জন্য আগ্রহী করে তুলবে। এই কারণে অনেক লাভজনক এটি।


৮. মোবাইল মার্কেটিং (Mobile Marketing)


Mobile Marketing এমন একটি মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেটি মোবাইল ফোন দ্বারা করা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়াতে আমরা আমাদের যেকোনো Products কিংবা Service এর প্রচার বা মার্কেটিং মোবাইল এর মাধ্যমে করে থাকি।


Digital Marketing এর আরো একটি কার্যকরী ধাপ হচ্ছে এই Mobile Marketing, আর এর অনেক উদাহরণ আমরা প্রতিনিয়ত পেয়ে থাকি।


যেমন, আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট থেকে থার্ড পার্টি কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করবেন, তখন দেখতে পারবেন তাতে কোনো বিজ্ঞাপন বা এড দেখানো হচ্ছে।


অথবা Play Store থেকে ডাউনলোড করা অনেক অ্যাপেও আমরা নানা ধরনের এড দেখে থাকি অনেক সময়।


বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজনেস এর মার্কেটিং করার জন্য এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকি। যার ফলে আমরা আমাদের মোবাইলে তাদের সেই বিজ্ঞাপন দেখে থাকি।


এটিও একটি লাভজনক মার্কেটিং কৌশল। বর্তমান সময়ে প্রায় সবার কাছেই একটি স্মার্ট ফোন আছে। তাই আপনি চাইলে তেমন কোনো কষ্ট ছাড়া শুধুমাত্র আপনার মোবাইল এর মাধ্যমে Mobile Marketing করে আপনার বিজনেস এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।


৯. ব্লগ/ওয়েবসাইট দ্বারা মার্কেটিং (Blog/Website Marketing)


আমরা যাঁরা অনলাইনে কাজ করি তারা সবাই ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সাথে পরিচিত। বিজনেস এর মার্কেটিং করার জন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইট বেশ লাভজনক।


আজকাল এর দিনে মানুষ যেকোনো কিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সার্চ করছে। আর তাই যদি একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট বানিয়ে সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করানো যায় তাহলে বলা যায় বেশ ভালো পরিমাণে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।


এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে, ব্লগ বা ওয়েবসাইট মার্কেটিং বিষয়টা মূলত কি।

আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিনে কিছু লিখে সার্চ করছেন তখন আপনি প্রথম থেকে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের রেজাল্ট দেখতে পারবেন।


নানান কোম্পানি তাদের বিজনেস এর জন্য এই ধরনের ব্লগ বা ওয়েবসাইট কে বেছে নিয়েছেন।


আর এই ব্লগ বা ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক করার ফলে সেগুলোতে প্রচুর ট্রাফিক বা ভিজিটর আসছে।


যার ফলে কোম্পানিগুলো তাদের টার্গেট অডিয়েন্স পেয়ে যায় সহজে। কোম্পানিগুলো তাদের মার্কেটিং এর সর্থে নানান কনটেন্ট পাবলিশ করে থেকে এই ধরনের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে।


১০. ইনবাউন্ড মার্কেটিং (Inbound Marketing)


Inbound Marketing এর বিষয়ে হয়তো অনেকে  পরিচিত নন। Digital Marketing এর একটি অন্যতম Marketing Process হচ্ছে Inbound Marketing. তবে অন্য মার্কেটিং তুলনায় এটি একটু জটিল হলেও এই মার্কেটিং দ্বারা আপনি সহজে আপনার বিজনেস এর জন্য টার্গেট কাস্টমার বা ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।


তাহলে ইনবাউন্ড মার্কেটিং বিষয়টা মূলত কি?


Inbound Marketing এর ক্ষেত্রে কাস্টমার আপনার কাছে যাবে Product কিনতে। এটির জন্য আপনাকে তেমন কোনো মার্কেটিংয়ের মধ্যে যাওয়ার দরকার নেই। ইনবাউন্ড এর ক্ষেত্রে "People Come to you for" অর্থাৎ লোকেরা আপনার কাছে কিনতে আসে।


ধরুন আপনার একটি YouTube channel রয়েছে কিংবা একটি Facebook page রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার বিজনেস সম্পর্কিত অনেক পোস্ট বা ভিডিও ইত্যাদি আপলোড করেন।


এখন কাস্টমার উক্ত ভিডিও/পোস্ট দেখে আপনার কাছে গেলো সরাসরি ওই product কিনতে। এটাই হচ্ছে ইনবাউন্ড মার্কেটিং।


আরেকটু ভালোভাবে বলতে গেলে, আপনার একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে, এখন আপনি আপনার রেস্টুরেন্ট এর খাবার related যেকোনো কনটেন্ট বানিয়ে সেটি আপনার YouTube channel অথবা Facebook page এ আপলোড করলেন।


কাস্টমার আপনার সেই কনটেন্ট দেখে আপনার রেস্টুরেন্টে গেলো খেতে। তাহলে ভেবে দেখুন, আপনার সেই কনটেন্ট এর দ্বারা আপনার বিজনেস এর জন্য আপনার একটি কাস্টমার হলো। এই পুরো প্রসেসটি মূলত ইনবাউন্ড মার্কেটিং।


ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় (ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?)


যদি আপনার একটি বিজনেস বা কোম্পানি রয়েছে তাহলে Digital Marketing শিখে নেওয়াটা আপনার জন্য লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।


ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত ব্যবসায় কে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন।


অফলাইন বিজনেসগুলোর দিকে বর্তমানে তাকালে দেখা যায় বেশ খারাপ অবস্থা, কিন্তু এর ঠিক উল্টো চিত্র লক্ষ করা যায় অনলাইন বিজনেস এর দিকে তাকালে।


তাহলে কিভাবে শিখবেন ডিজিটাল মার্কেটিং? ডিজিটাল মার্কেটিং শুধু মাত্র একটি অধ্যায় এমনটা ভাবল আপনি ভুল করবেন। বরং এটা বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বই, যার ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায় রয়েছে।


স্টেপ বাই স্টেপ আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল শিখতে হবে। তবে নিচে আমি আপনাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি কিভাবে স্টেপ বাই স্টেপ Digital Marketing শিখবেন।


ধাপ- ১


প্রথমত আপনি নির্ধারণ করুন যে আপনি Digital marketing এর কোন প্রক্রিয়ায় মার্কেটিং করবেন আপনার বিজনেস এর জন্য।


আপনার বিজনেস এর জন্য আপনি search Engine Optimization Marketing করতে পারেন, অথবা Social Media Marketing করতে পারেন কিংবা আরো অন্যান্য।


শুরুতে নির্ধারণ করুন আপনি কোন মার্কেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর প্রচার করবেন। আমি ধরে নিলাম আপনি SEO কে বেছে নিয়েছেন।


এখন আপনি গুগলে সার্চ করতে পারেন What Is SEO? আপনি পড়ে জেনে নিলেন যে, Seo এমন একটি টেকনিক যার দ্বারা আমরা আমাদের ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কনটেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে পারি।


এরপর আপনি ধীরে ধীরে SEO এর প্রত্যেক প্রকার সম্পর্কে রিসার্চ করুন। Types Of SEO জেনে নেওয়ার পর সেই Types গুলো একে একে ইউটিউবে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন। ইউটিউবে SEO এর সম্পর্কে অসংখ্য ভিডিও আপনি পেয়ে যাবেন।



ধাপ ১- এর মাধ্যমে আমি আপনাদের এটা বুঝাতে চেয়েছি যে, ডিজিটাল মার্কেটিং সরাসরি চাইলে শিখতে পারবেন না।


আপনাকে আপনার বিজনেস অনুযায়ী ধীরে ধীরে এটিকে শিখে নিতে হবে। আপনি চাইলে ধাপ-১ এর এই মেথড ফলো করে ধীরে ধীরে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন।


ধাপ- ২


একটা সময় ছিল যখন যেকোনো কোর্স করতে হলে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়তো। কিন্তু বর্তমানে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে বাড়িয়ে বসেই যেকোনো কোর্স অনেক সহজে করে নিয়ে পারি।


তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাইলে চিন্তার কোনো কারণ নেই আপনি অনলাইন কোর্স দ্বারা শিখতে পারবেন কিন্তু কিভাবে?


১) বাংলা ভাষায় কোর্স করে শিখুনঃ বাংলাদেশে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স এর সাইট আছে যেখানে বাংলায় বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করা হয়ে থাকে।


এমন দুটি জনপ্রিয় সাইট হলো: ঘুড়ি লার্নিং এবং ব্রুহুব্রীহি। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে এখানে আপনি কোর্স পেয়ে যাবেন, যেগুলো বাড়িতে বসে থেকে করতে পারবেন।


২) ইংরেজি ভাষায় শিখুনঃ গুগলে সার্চ করলে এমন অনেক সাইট পাবেন যেখানে Digital Marketing course পাওয়া যায়। তবে এই ধরনের কোর্স যেহেতু ইংরেজিতে তাই এগুলো করতে হলে আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে।


দুই ধরনের কোর্স আপনি এই ধরনের সাইটে পাবেন। একটি ফ্রী কোর্স অন্যটি পেইড কোর্স। Udemy এর মত সাইট থেকে আপনি এই ধরনের কোর্স করতে পারবেন।


৩) Google Digital Marketing course: এখান থেকে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পাশাপাশি একটি সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।


তাছাড়া আমাদের আসে পাশে এমন অনেক ট্রেনিং সেন্টার বা ইনস্টিটিউট থেকে যেগুলোতে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কোর্স করানো হয় এবং সার্টিফিকেট ও প্রদান করা হয় আপনি চলে সেখান থেকেও শিখতে পারবেন।


ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন?(How to start digital marketing?)


ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শিখবেন সেটি নিয়ে আমি আপনাদের একটু আগেই বলেছি। তবে Digital Marketing এর শুরুটা কিভাবে করবেন এই নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বিশাল বড় একটি সেক্টর। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে হলে প্রথমত চিন্তা করতে হবে কোন মার্কেটিং নিয়ে আপনি শুরুতে কাজ করবেন। 


Email Marketing, Content marketing, SEO ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এক একটি ভাগ, শুরুতে যেকোনো একটি ধাপে কাজ শুরু করুন। একসাথে সব করতে গেলে সেটি আপনার জন্য সমস্যা হতে পারে।


ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত সময় লাগবে?


ডিজিটাল মার্কেটিং কী এই বিষয়টা সম্পর্কে যদি আপনি ভালভাবে জেনে যান তাহলে আপনার ক্ষেত্রে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।


যেকোনো মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেই মার্কেটিং রুলস বা পলিসি প্রতিনিয়ত আপডেট হয়। ফলে বলা যায় যে মার্কেটিং শেখার শেষ নেই।


আপনি যত বেশি শিখবেন তত বেশি জানবেন। কিন্তু আমার হিসেবে ভালোমতো ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে ৬ মাস থেকে ১ বছরের মতো সময় আপনার লাগতে পারে।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব/লাভ


১) Digital Marketing বর্তমান সময়ের সেরা মার্কেটিং প্রসেস। যেকোনো কোম্পানি, প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ড প্রমোশন এর জন্য এটি শক্তিশালী কৌশল।


২) আগের মার্কেটিং এর তুলনায় অনেক বেশি সহজ এবং ব্যয় এর পরিমাণও অনেক কম।


৩) বাড়িতে বসেই হাজার হাজার মানুষের কাছে নিজের পণ্য বা সেবার প্রচার করা যায়।


৪) খুব সহজে নিজের বিজনেস এর জন্য টার্গেট অডিয়েন্স বা ক্রেতা খুঁজে পাওয়া সম্ভব।


৫)ছোট বড় সকল পণ্য বা সেবা অধিক লোকের কাছে বিক্রি করা যায় সহজ মার্কেটিং এর দ্বারা।


এরকম আরো নানান সুবিধার জন্য আজ Digital Marketing জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।


ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?


বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল যুগ। আর বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে এসে বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইনে নির্ভর হয়ে উঠেছে।


অর্থাৎ বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইনের মাধ্যমে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কিছু বাড়িতে বসে কিনতে পারছেন। তাই বলা চলে সেদিন আর বেশি দূরে নেই যখন মানুষ পেয়ে হেঁটে গিয়ে কেনাকাটা বন্ধ করে দিবে।

আর বর্তমানের বিশ্ববাজার এবং ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। তাই Digital Marketing এর চাহিদাও অনেকাংশে বেড়ে যাচ্ছে।


তাই বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং কি আপনি যদি জানতে পারেন এবং শিখতে পারেন শিখলে আপনার বিজনেস এর ভবিষ্যৎ অনেকটা উজ্জ্বল হবে। আপনি সহজেই আপনার পণ্য না সেবা কাস্টমারের নিকট তুলে ধরতে পারবেন।


শেষ কথা


আমি আশা করছি আজকের আর্টিকেল দ্বারা আপনারা মোটামুটি বুঝে গিয়েছেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি সেই সম্পর্ক  বিষয়টা কি, কিভাবে এটি কাজ করে ইত্যাদি।


পরিশেষে একটা কথা বলবো, বর্তমান সময়ের প্রতিযোগিতামূলক এই মার্কেটপ্লেস তে যদি আপনি নিজের বিজনেসকে টিকিয়ে রাখতে এবং এগিয়ে নিতে চেয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাটা অনেকটাই প্রয়োজন।


এই ছিল আজকের আর্টিকেলটা, যদি আপনার কোনো প্রয়োজনে এসে থাকে তবে শেয়ার করে দিন আরো মানুষের কাছে। আল্লাহ হাফেজ


আরো দেখুন

ইমেইল মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে করবেন

জেনে নিন ইমেইল মার্কেটিং করার কয়েকটি সুবিধা

কনটেন্ট মার্কেটিং কি


Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post