মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার সেরা ২০ উপায়

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার সেরা ২০ উপায়


মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় কিভাবে করা যায় এই প্রশ্নটা অনলাইনে প্রায় অনেকেই করে থাকেন। এখন যারা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে থাকেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায় কিনা। 


বর্তমান সময়ে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করা সম্ভব হচ্ছে। মোবাইল ব্যবহার করে অনেকে অনলাইন থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে চলেছে। আজকের পোস্টের মাধ্যমে যারা মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


তার জন্য অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে হবে। না হলে করোনা কোন বিষয় সম্পর্কে আপনাদের বুঝতে অসুবিধা হতে পারে।তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য কি কি লাগবে?



মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য যা যা লাগবে( mobile diye taka income)

আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে সেটি করতে পারেন।তবে স্মার্টফোনের সাথে আপনার ইন্টারনেট কানেকশন এরর দরকার হবে তা না হলে আপনি কোনোভাবেই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই দুইটি জিনিস থাকলেই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা সম্ভব।



মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কত টাকা আয় করা যায় (how to earn money by mobile in bangladesh)

যারা স্মার্ট ফোন ব্যাবহার করে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করতে চান তারা চাইলে বর্তমানে সেটা করতে পারেন। কেননা ইন্টারনেটের এই যুগে এখন যে কেউ ঘরে বসেই আউটসোর্সিং করতে পারছেন। যদি কেউ মোবাইলের মাধ্যমে আউটসোর্সিং করতে চান বা অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি কোন ধরনের কাজ করছেন সেটা আগে দেখতে হবে।


আপনি যদি কোন অ্যাপ এ কাজ করে থাকেন অর্থাৎ আর্নিং অ্যাপে তাহলে মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন। যদি ব্লগিং করেন তাহলে আপনারা মাসে ন্যূনতম ১০০০ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। ইউটিউব এর ক্ষেত্রেও আয়ের পরিমাণটা কমবেশি হতে পারে।


যদি নিজেকে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনি মাসে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন। তাছাড়া এর কমবেশি হতে পারে। অর্থাৎ আপনি এই ক্ষেত্রে কত টাকা আয় করবেন সেটা আপনার কাজের বিষয় এবং আপনি সেই কাজে কতটুকু দক্ষ তার ওপর অনেকটা নির্ভর করে।



মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার সেরা ২০ টি উপায়(mobile online income)

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে আয় করার অসংখ্য উপায় রয়েছে আপনারা চাইলে এই সকল উপায়গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ইন্টারনেটে সার্চ করলে এমন অসংখ্য উপায় পেয়ে যাবেন। তবে এরমধ্যে আমার বেশ কয়েকটি উপায়ে খুবই বিশ্বস্ত মনে হয়েছে যে উপায় গুলো সম্পর্কে এবার আমি আপনাদের সাথে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করবোঃ-


১.নিজের জন্য ব্লগ তৈরি করে আয় 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে অসংখ্য মানুষ ব্লগিং করে ভালো পরিমাণে অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। তার আগে ব্লগ কি সেই সম্পর্কে যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের নিচের পোস্টটি পড়ে আসুন। 


ব্লগ কি এবং ব্লগ বানিয়ে কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন


আশা করি পোস্টটি পড়া হয়ে গেলে ব্লগ কি আপনারা সেই সম্পর্কে আপনারা জেনে গিয়েছেন।আপনি নিজের নামে যদি একটি ব্লগ তৈরী করতে পারেন এবং যদি সেই ব্লগে টুকটাক লেখালেখি করতে পারেন তাহলে কিছু দিনের মধ্যে আপনার ব্লগে ভিজিটর আসা শুরু করবে।


অর্থাৎ আপনার ব্লগ টির জনপ্রিয়তা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং পরিচিতি তৈরি হবে ।আস্তে আস্তে যখন ব্লগটি বড় হয়ে যাবে তখন আপনি নিচের মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে ব্লগ থেকে আয় করা শুরু করতে পারেন। ব্লগ থেকে আয় করার কিছু মাধ্যম হলোঃ-


➡️গুগল এডসেন্স 

➡️অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

➡️স্পন্সর কনটেন্ট 

➡️নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি 


ব্লগে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিজিটর থাকবে তখন আপনারা চাইলে এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে ব্লগ থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন।



২.ইউটিউব এ নিজের চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে আয়

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার আরেকটি সেরা উপায় হচ্ছে ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল তৈরি করে সেখান থেকে আয়।ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনাকে একটি ইউটিউব এ চ্যানেল খোলার অনুমতি দিবে।


আপনাকে শুধুমাত্র ইউটিউব চ্যানেলটিকে বড় করতে হবে অর্থাৎ সেখানে নিয়মিত ভালো ভালো ভিডিও ছাড়ার মাধ্যমে সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে এবং পরবর্তীতে চ্যানেলটিকে মনিটাইজ করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যদি মনিটাইজ হয়ে যায় তাহলে ইউটিউব চ্যানেলের গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখে ইনকাম করতে পারবেন।


তাছাড়া ইউটিউব থেকে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ, এবং নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করেও ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটিকে আপনি বড় করতে পারেন। 


আর যা সাধারণত অনেকে মোবাইলের মাধ্যমেই এখন করে  আসছে। অর্থাৎ মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল চালিয়ে অনেকে অনলাইন থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।



৩.ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম 

বর্তমানে অনেকের মোবাইল ব্যবহার করে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে। এইজন্য আপনাকে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে এবং সেই পেজে নিয়মিত ভাল ভাল কনটেন্ট আপলোড করতে হবে যাতে আপনার ইউজারদের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্যতা পায়।



ইউজাররা যদি আপনার কনটেন্ট পছন্দ করে থাকেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনার ফেসবুক পেজ টি তে ফলো হয়ে আপনার পেজের সাথে যুক্ত থাকবে । এইভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থাৎ বেশকিছু ফলোয়ার হলে আপনি ফেসবুক পেজ মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করার শর্তাবলী দেওয়া হলো:-


➡️আপনার ফেসবুক পেজ টিতে ফলোয়ারের সংখ্যা ১০  হাজারের বেশি হতে হবে 


➡️ফেসবুক পেজটির ভিডিও গুলোতে গত ৬০ দিনে ৩০,০০০ ভিউ থাকতে হবে। ভিডিওগুলোর দৈর্ঘ্য অবশ্যই তিন মিনিটের বেশি হতে হবে এবং প্রত্যেককে এক মিনিটের বেশি করে ভিডিও দেখতে হবে। 


তাছাড়া আপনারা ফেসবুক পেজ থেকে আরো অনেক উপায় আয় করতে পারেন।যেমন-ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বিক্রি করে, এফিলিয়েট মার্কেটিং করে, পেইড রিভিউ লিখে, আরো কিছু উপায় রয়েছে। 


তবে আপনি যে পদ্ধতিতেই ফেসবুক পেজ থেকে আয় করতে চান না কেন অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজ টিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলোয়ার থাকা লাগবে।তাহলেই আপনি ফেসবুক পেজ থেকে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন।



৪.মোবাইলে ছবি তুলে বিক্রি 

আপনার মোবাইলটি যদি একটু ভালো মানের হয়ে থাকে তাহলে আপনি প্রাকৃতিক নানা দেশের ছবি তুলে আপনার মোবাইলে ধারন করতে পারেন। আপনি যদি ভালো ভালো ছবি তুলতে পারেন তাহলে এখান থেকেই আপনার আয় করার সম্ভাবনা টা থেকে যাবে। 


আপনার মোবাইলের মাধ্যমে তোলা ফটোগ্রাফি আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারবেন এবং সেখান থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।অনলাইনে অনেকে তাদের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কিছু সাইট থেকে ছবি কিনে থাকে।আর এই ক্ষেত্রে তারাই হবে আপনার ক্রেতা।অনলাইনে ছবি বিক্রি করার জন্য সেরা কয়েকটি ওয়েবসাইটের নাম নিচে দেওয়া হলোঃ-


১.Snapwire

২.Clashot

৩.Foam

৪.Dreamstime

৫.Agora images


এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা ছবি বিক্রি করে ভালো পরিমাণে অর্থ খুব সহজেই উপার্জন করে নিতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। 



৫.অনলাইনে কোচিং করে 

বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে উপার্জন করার সেরা একটি উপায় হচ্ছে অনলাইনে কোচিং করানো। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের ওপর দক্ষ হয়ে থাকেন। যেমন ইংরেজি ভালো পারেন, গণিত ভালো পারেন, অথবা ফ্রিল্যান্সিং কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার ভালো নলেজ আছে, যেকোনো বিষয়ে যদি আপনি সঠিক স্কিল সম্পূর্ণ একজন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এটাকে টার্গেট করতে পারেন।


আপনাকে এই ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজ অথবা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে কিছু ছাত্র ছাত্রী ঠিক করতে হবে এবং একটি কোচিং সেন্টার চালু করতে হবে।আপনি যদি তাদের ভাল সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে আপনি যখন আবার অন্য কোন কোর্স করাবেন তারা আবার আপনার কোর্সটি তে ভর্তি হবে।


তাছাড়া অনলাইনে কোচিং সেন্টারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি এখানে অগণিত ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাস করাতে পারবেন।অনলাইনের মাধ্যমে টিউশনি করানোর মাধ্যমে অনেকে লক্ষাধিক টাকারও বেশি ইনকাম করে থাকেন।তাই ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার জন্য একটি কোচিং সেন্টার চালু করতে পারেন।



৬.মেসো অ্যাপে পণ্য বিক্রি করে 

মেসো অ্যাপ এ আপনারা পণ্য বিক্রি করে বর্তমানে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপে অসংখ্য প্রডাক্ট রয়েছে যেই প্রোডাক্টগুলো আপনাকে রিসেলিং করার জন্য দেওয়া হবে।


অর্থাৎ আপনি তাদের এখান থেকে কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ফেসবুক পেজ ওয়েবসাইট অথবা অন্যান্য যে কোন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করে দিবেন। তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি হয়ে গেলে লাভের একটি অংশ আপনাকে তারা দিবে।


এভাবে আপনারা যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন মেসো অ্যাপ থেকে ততো বেশি ইনকাম আপনারা করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকে মেসো অ্যাপ থেকে প্রডাক্ট রিসেলিং করে মাসে লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম করছে।এই অ্যাপের  সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যারা প্রোডাক্ট রিসেলিং করে থাকে তাদের ভালো কমিশন দিয়ে থাকে। যারা ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে  টাকা আয় করতে চান তাদের জন্য এটি কার্যকারী উপায়।



৭.ফেসবুক গ্রুপে কোর্স বিক্রি করে আয় 

বর্তমানে অনেকে ফেসবুক গ্রুপ থেকে বিভিন্ন রকম কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো টাকা আয় করে থাকেন। আপনাকে এই ক্ষেত্রে প্রথমে ফেসবুকে একটি পাবলিক গ্রুপ তৈরি করতে হবে।


আপনি যে রিলেটেড গ্রুপ তৈরি করবেন সেই সম্পর্কিত কিছু কনটেন্ট আপনার তৈরি করতে হবে এবং নিয়মিত পোস্ট করতে যেতে হবে। নিয়মিত পোস্ট করার সাথে সাথে অবশ্যই ফেসবুক গ্রুপে মেম্বার ইনভাইট করার কাজটি আপনাকে প্রতিনিয়ত করে যেতে হবে।


তারপরে আপনার গ্রুপটিতে যখন অসংখ্য মেম্বার হয়ে যাবে তখন আপনি চাইলে এই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কোর্স করিয়ে সেখান থেকে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করে নিতে পারেন। ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে কোর্স করানো অনেক সহজতর এবং এখান থেকে খুব সহজেই অর্থ আয় করা সম্ভব। 



৮.পিটিসি ওয়েবসাইট থেকে আয় 

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য পিটিসি ওয়েবসাইট গুলো খুবই কার্যকরী। অনলাইনে এমন অসংখ্য পিটিসি ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু কাজ করার জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করবে। এই ওয়েবসাইটগুলোতে বিজ্ঞাপন দেখা,ক্যাপচা পুরন করা, ইমেইল পড়া, আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে তারা অর্থ প্রদান করে থাকে।


আপনার কাছে যদি একটি স্মার্টফোন থাকে এবং আপনি যদি পার্টটাইমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করতে পারেন।অনেকে এই সকল পিটিসি ওয়েব সাইটগুলোতে কাজ করে মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও ইনকাম করে থাকেন।নিচে সেরা কয়েকটি পিটিসি ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ করা হলোঃ-


১.Paidverts

২.Ojooo

৩.Sclert clicks

৪.Neobox


আপনারা চাইলে এই ওয়েবসাইটগুলোতে পার্টটাইম কাজ করে অনলাইন থেকে ভালো অর্থ কামিয়ে নিতে পারেন। পিটিসি সাইটগুলোর মধ্যে এগুলো বেশ জনপ্রিয়।



৯.ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে আয় 

বর্তমানে আপনারা চাইলে ইন্সটাগ্রাম এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট তৈরী করতে হবে এবং সেটিতে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করতে হবে।


এমন ধরনের কনটেন্ট আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এ আপলোড করতে হবে যাতে ইউজাররা সেখানে নতুন কিছু উপায়। অর্থাৎ ইউজাররা যদি আপনার কনটেন্ট ভালো কিছু পায় তাহলে এর নিয়মিত আপনার কনটেন্ট দেখবে এবং আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্টটি ফলো করে রাখবে।


আস্তে আস্তে যখন আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এ অসংখ্য ফলোয়ার হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার এই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ব্যবহার করে স্পন্সর কনটেন্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।


তাছাড়া নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর মাধ্যমে সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রি করেও এখান থেকে ভালো অর্থ আয় করা সম্ভব। বর্তমানে এমন অনেক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর রয়েছে যারা শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে মাসে ১ লক্ষ টাকার বেশি আয় করে থাকেন।


 

১০.ইনভেস্টমেন্ট  ওয়েবসাইট থেকে আয় 

সাধারণত আমরা ব্যাংকে কোন টাকা রাখলে সেটার সুদ মূলধন পাই এটা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।ব্যাংক আপনাকে তখনই সুদ দেবে যখন আপনি ব্যাংকে ভালো পরিমাণে মূলধন রাখবেন।


বর্তমানে অনলাইনেও এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি সামান্য পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করে একসময় তার দুই থেকে তিনগুণ টাকা লাভ করতে পারবেন।


অনলাইন থেকে সুধ মূলধন পাওয়ার বিখ্যাত ওয়েবসাইট গুলো হলো-coinfarm,forsage.এই ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি চাইলে ইনভেস্টমেন্ট করে সেখান থেকে ভালো অর্থ লাভ করতে পারেন।


১১.অনলাইন আর্নিং অ্যাপ থেকে ইনকাম 

বর্তমানে অনলাইনে অসংখ্য অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে কাজ করার মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে।আপনি গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে অনলাইন আর্নিং অ্যাপ লিখে সার্চ করলে সেখানে অসংখ্য এক পেয়ে যাবেন যে অ্যাপ গুলো তে কাজ করে আপনি পার্টটাইমে ভালো ইনকাম করতে পারেন।


এই সকল অ্যাপ গুলোতে আপনি যদি তাদের শর্তাদি অনুযায়ী কাজ করতে পারেন পারেন তাহলে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার না।আপনারা এই সকল কাজগুলো ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন। 


বর্তমানে অনেক ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী পর্যন্ত পার্ট  টাইমে এই অনলাইন আর্নিং অ্যাপ গুলোতে কাজ করছে।মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য এগুলো দারুণ পদ্ধতি। 



১২.ফাইবার থেকে আয়

সাধারণত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইবার নামটি খুব পরিচিত একটি নাম।এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।


এটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ইন্টারন্যাশনাল মারকেট প্লেস।ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন কাজ করে ফাইবার থেকে অনেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে। 


তাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের যেকোনো বিষয় সম্পর্কে যদি আপনি সঠিক দক্ষতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে ফাইবার থেকে কাজ করার মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।



১৩.রিসেলিং ব্যবসা করে টাকা ইনকাম 

সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসার মধ্যে রিসেলিং ব্যবসাকে ধরা হয়ে থাকে।রিসেলিং ব্যবসায় আপনি বাজার রেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খুব সহজেই ভালো টাকা লাভ করতে পারবেন।


আপনি চাইলে রিসেলিং ব্যবসাটি অনলাইনে করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে আপনারা একটি দোকান খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের লিস্ট করে রাখতে পারেন।


আপনার পন্য দেখে যখন গ্রাহকরা পছন্দ করবে তখন আপনার কাছে তারা অর্ডার করবে তখন তাদের কাছে কম দামে প্রোডাক্ট বিক্রি করে ভালো লাভ করতে পারবেন।এভাবে আপনারা যত বেশী প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন আপনাদের লাভের পরিমাণ টা ঠিক ততটাই বেশি বৃদ্ধি পাবে।আর এই ব্যবসাটি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে করা সম্ভব।



১৪.ড্রাইভিং করার মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

আমাদের দেশে বর্তমানে অনেক অনলাইন রাইড সার্ভিস চালু হয়েছে।আপনার কাছে যদি রাইড শেয়ারিং করার জন্য কোন ধরনের যানবাহন বা কোন স্মার্টফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে আয় করা শুরু করতে পারেন।


আপনারা পাঠাও, উবার এর মত অনলাইন রাইট সার্ভিস গুলোতে কাজ করে পার টাইমে ভালো টাকা আয় করতে পারেন শুধুমাত্র মোবাইল ব্যবহার করে।আপনি চাইলে এখানে ড্রাইভিং করার মাধ্যমেই ভালো টাকা আয় করে নিতে পারেন। বর্তমানে উবার এবং পাঠাও এই দুটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপের মাধ্যমেও তাদের গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে। 



১৫.ক্যাপচা টাইপিং করে আয় 

অনলাইন থেকে আয় করার যত সহজ উপায় রয়েছে তার মধ্যে ক্যাপচা টাইপিং করে আয় করা টা অনেক সহজ একটি উপায়। অনলাইনে এমন অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনারা ক্যাপচা টাইপিং করে আয় করতে পারবেন। 


ক্যাপচা টাইপিং কাজ গুলো খুব সহজেই নিজের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করা সম্ভব। ক্যাপচা টাইপিং এর কাজগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় দিয়ে করতে পারেন তাহলে অনায়াসেই এখান থেকে মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।ক্যাপচা টাইপিং করার জন্য অনলাইনে যে সকল ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ওয়েব সাইট এর নাম নিচে দেওয়া হলোঃ-


➡️Megatypers

➡️2captcha

➡️Protypers

➡️Captchtypers


আপনারা চাইলে এই সকল ওয়েবসাইটগুলোতে ক্যাপচা পূরণ করার মাধ্যমে পার্টটাইম ভালো টাকা আয় করতে পারেন। 



১৬.কনটেন্ট রাইটিং করে টাকা আয় 

বর্তমান সময়ে অনলাইনে হাজার হাজার ব্লগ, ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিউজ সাইট রয়েছে যাদের প্রতিনিয়ত রাইটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তারা কোন না কোন রাইটার দের কে দিয়ে তাদের এই ওয়েবসাইটগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং করিয়ে থাকে।


আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন তাহলে নিজের মোবাইল ব্যবহার করে কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজটি শিখতে পারেন এবং কনটেন্ট রাইটিং করলে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমানে আপনি মোবাইলে ভয়েজ কিবোর্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই দ্রুততার সাথে আর্টিকেল  লিখতে পারবেন।


আপনি যখন কনটেন্ট রাইটিংয়ের কাজটি প্রপারলি শিখে যাবেন তখন কনটেন্ট রাইটিং এর সাথে জড়িত ফেসবুক গ্রুপ, বা সরাসরি ওয়েবসাইট মালিকদেরকে ইমেইল করার মাধ্যমে আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে বলতে পারেন এবং কাজ শুরু করতে পারেন।মোবাইল দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য এটিও দারুন উপায়।



১৭.Ysense থেকে আয়

Ysense সাধারণত একটি পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে সার্ভে পূরণ করার জন্য টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করে অনেকে বেশ লাভবান হন কেননা এখানে প্রতিটি সার্ভে পূরণ করার জন্য ভালো অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে।


এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিটি সার্ভে পূরণ করার জন্য 0.50 থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে।আপনারা এই ওয়েবসাইটটিতে সম্পূর্ণ ফ্রীতে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।


তাছাড়া এই ওয়েবসাইটটিতে রেফার করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব।ওয়েবসাইটটি খুবই পুরনো এবং বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট যার কারণে এর ইউজার সংখ্যাও অনেক। তাই যদি মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করতে চান তাহলে এই ওয়েবসাইটটিতে কাজ করতে পারেন। 



১৮.লিংক শর্ট করে টাকা আয় 

অনলাইনে অনেক লিংক শর্ট  ওয়েবসাইট রয়েছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে সাধারণত লিঙ্ক করার মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে।এই জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে এই সকল ওয়েবসাইটগুলোতে একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। 


অনলাইনের জনপ্রিয় কিছু লিংক Short ওয়েবসাইটের নাম হলোঃ--shortest,Adfly,linkshirnk.net। 


আপনারা এই ওয়েবসাইট গুলো থেকে link short করার part টাইমে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।Link short করে টাকা আয় করার জন্য এই ওয়েবসাইট গুলো খুবই বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট। 



১৯.Inbox Dollar থেকে আয়

অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি খুবই জনপ্রিয়। এই ওয়েবসাইটটিতে সাধারণত ভিডিও দেখে, ইমেইল পড়ে, এবং ক্যাপচা পুরন করার মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে। 


যদি এই ওয়েবসাইট থেকে ভালো ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় এই ওয়েবসাইটটিতে যেতে পারেন। আপনারা যদি এই ওয়েবসাইটটির নতুন গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম রেজিস্টারে ৫ ডলার বোনাস পেয়ে যাবেন।ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি হতে পারে আপনাদের জন্য দারুণ একটি ওয়েবসাইট।



২০.Swagbucks থেকে আয়

Swagbucks ওয়েবসাইটে সাধারনত ছোট ছোট কিছু কাজ করার মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা দিয়ে থাকে। এই ওয়েবসাইটটিতে সাধারণত ক্যাপচা পূরণ করে গেম খেলে, ভিডিও দেখে, ইমেইল পড়ে অনলাইন জরিপ করে, আরো অনেক উপায়ে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। 


আপনারা এই ওয়েবসাইটটিতে যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি পয়েন্ট আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে। পরবর্তীতে এখানে আপনারা উপহার কার্ড ব্যবহার করে পেপালের মাধ্যমে খুব সহজেই পেমেন্ট নিতে পারবেন। ঘরে বসে মোবাইলে টাকা ইনকাম করার জন্য এই ওয়েবসাইটটি খুবই কার্যকরী। 


আমাদের শেষ কথা 

বর্তমানে আমরা অনলাইনে প্রায় দিনের অনেকটা সময় কাটিয়ে থাকি।হয়তো কেউ ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে থাকেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে থাকেন যে যার মতো বাজে সময় নষ্ট করে থাকেন। কিন্তু আপনারা যদি এই সময়টা এই সকল ওয়েব সাইটগুলোতে কাজ করে থাকেন তাহলে পার্টটাইমে এখান থেকে ভালো টাকা আয় করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য এই উপায় গুলো খুবই বিশ্বস্ত।এই উপায়গুলো অবলম্বন করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। 


আরো দেখুন



Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

2 Comments

  1. অনলাইনে ইনকাম করার উপায় বর্তমানে আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা নাম হল বেকার সমস্যা| বেশিরভাগ ছাত্রই সাধারণত বেকার থাকেন| তাই ছাত্র বয়সে অনলাইনে ইনকামের উপায় খুঁজে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না\ প্রতিটি মানুষ চাইলেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারে | অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় আমরা অনেকেই জানিনা | তাই আজকে আমরা জানবো অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় বাকি টাকা দেয় কিভাবে ইনকাম করা যায় ইত্যাদি



    অনলাইনে ইনকাম করার উপায়

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post