ব্যান্ডউইথ কাকে বলে | ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে

ব্যান্ডউইথ কি এই সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। ব্যান্ডউইথ হলো একটি মাপকাঠি যা সাধারণত নির্দিষ্ট সময়কালে ডাটা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 
ব্যান্ডউইথ
ব্যান্ডউইথ

এটাকে ইন্টারনেট কানেকশনের প্রদর্শক হিসেবে ধরলেও ভুল হবে না। ব্যান্ডউইথ বন্টন করে প্রদান করা হয়। কারণ এটা করলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যান্ড উইথ উপলব্ধ থাকবে। 

নিম্নে ব্যান্ডউইথ কি ও ব্যান্ডউইথ বলতে কি বোঝানো হয় এই বিষয়ে আরো সুস্পষ্ট ধারণা তুলে ধরা হয়েছেঃ

ব্যান্ডউইথ কি ?  

ব্যান্ড উইথ হলো একটি নেটওয়ার্ক কানেকশন যা ডাটা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত সর্বোচ্চ তথ্য পাঠানোর গতি বা ধারণক্ষমতা। এটা মাপে হেটজ ও বিটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়ে থাকে। 

যখন আমরা মোবাইলের মাধ্যমে গান শুনে থাকি তখন সেটা হয়ে যায় এক ধরনের ডাটা। আবার মোবাইলে যদি কেউ ভিডিও গান দেখে থাকে সেটাও এক ধরনের ডাটা। 

মোবাইলের গান ও ভিডিও এগুলো হচ্ছে এক ধরনের ডিজিটাল ডাটা যা আমরা চাইলে কম্পিউটার ল্যাপটপ ও মোবাইল সহ অন্যান্য ডিভাইসে জমা করে রাখতে পারি। আবার এটা চাইলে কেউ এনালগ ডিভাইসেও রাখতে পারে।

অর্থাৎ প্রতিটা ডাটা যেকোনো ডিভাইসে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দখল করে থাকে। এখন সেই ডাটা যদি অন্য কোন ডিভাইসে আমরা পাঠাতে চাই তাহলে ডাটাটা অনেকগুলো অংশে ভাগ হয়ে যায়। 

প্রতিটা ভাগ হওয়া অংশ একটা নির্দিষ্ট সময় নিয়ে থাকে অন্য ডিভাইসে যাওয়ার জন্য। ডাটার এই ভাগকৃত অংশকে বলা হয়ে থাকে ব্যান্ড উইথ। 

 ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে?

ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে এটা অনেকেরই জানা নাই। ব্যান্ডউইথ কাজ করতে হলে সম্প্রতি ডিজাইন করা নেটওয়ার্ক সিস্টেমকে ব্যবহার করা হয়। নেটওয়ার্ক প্রটোকল ব্যবহার করে একটি নেটওয়ার্ক সিস্টেমে ডাটা পাঠানো হয় ইউনিটের মাধ্যমে। 

সাধারণত ডাটা একটি ডিজিটাল রূপে তালিকায় রয়েছে যা একটি বাইনারি সিকুয়েন্স হিসাবে প্রতিনিয়ত প্রেরণ করা হয় বা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ব্যান্ডউইথ হলো ডাটা পাঠানোর একটি মাত্রা যা নেটওয়ার্ক সংযোগের সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে।

একটি network সংযোগ যা কিছু হতে পারে। এক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক সংযোগ ইন্টারনেট কানেকশনও হতে পারে। কেননা যখন আপনি ওয়েব পেজ লোড করতে চান বা ভিডিও সরাসরি স্ট্রিমিং করতে চান তখন আপনার ডিভাইস ও সার্ভারের মধ্যে ডাটা পাঠানো হয়ে থাকে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে। 

তারপরে আপনার ইন্টারনেট সংযোগের ব্যান্ডউইতে পর্যায়ক্রমে এই ডাটা পাঠানো হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে সার্ভার থেকে ডিভাইসের মধ্যে প্রতিস্থাপিত হয়। ব্যান্ডউইথ যদি এই ক্ষেত্রে উচ্চ হয়ে থাকে তাহলে একবারে বেশি ডাটা পাঠানো যায় যার ফলে গতি ও কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। 

ব্যান্ডউইথ কত প্রকার ও কি কি? 

ব্যান্ডউইথ কি ও কিভাবে কাজ করে এটা সম্পর্কে জানা হয়ে গেলে এবার জানতে হবে ব্র্যান্ডউইথ কত প্রকার ও কি কি। নিম্নে ব্যান্ডউইথ কত প্রকার তা তুলে ধরা হয়েছেঃ

১. ন্যারো ব্যান্ডউইথ

ন্যারো ব্যান্ডউইথ সাধারণত অত্যন্ত সংকুচিত ব্যান্ড উইথ প্রদান করে থাকে এবং প্রতি সেকেন্ডে মাত্র কিছু কিলোবিট পরিমাণের ডাটা পাঠাতে সক্ষম হয়ে থাকে। এটি প্রাকৃতিক দূরত্ব প্রচুর প্রদানকারী যেমন রেডিও কমিউনিকেশন ও ওয়ান ডায়ালাভ কানেকশনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

২. ব্রডব্যান্ড

ব্রড ব্যান্ড ব্যান্ডউইথ সাধারণত উচ্চগতি ও প্রতি সেকেন্ডে বেশি ডাটা পাঠাতে অনেক কার্যকারী। এটা ফাইবার অফটিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ব্যান্ডউইথ করে থাকে।

৩. ওয়াইড ব্যান্ড

হোয়াইট ব্যান্ড ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি প্রশস্ত হয়ে থাকে এবং একটি প্রতি সেকেন্ডে অনেক বেশি ডাটা পাঠাতে সক্ষম। তাছাড়া এটি বাহিরে বিশাল ব্যান্ডউইথ প্রদান করতে সক্ষম ও ক্যাবল ইন্টারনেট, ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক ও স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয়।

শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে ব্যান্ডউইথ কি ও ব্যান্ডউইথ কিভাবে কাজ করে এই বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই নির্বিঘ্নে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post