মনোহারী দোকান কি | মনোহারী ব্যবসা করার নিয়ম

বর্তমান সময়ের সাথে সাথে অনেক ধরনের ব্যবসার সৃষ্টি হয়েছে। তার মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মনোহারী ব্যবসাও। বর্তমানে গ্রামে অথবা শহরের মনোহারী ব্যবসা আপনি যেখানে করুন না কেন ইতিহাসে সবচেয়ে লাভজনক একটি ব্যবসা।

মনোহারী দোকান
মনোহারী দোকান

মনোহারী ব্যবসার সবচেয়ে বড় যে সুবিধাটি সেটি হলো আপনি খুবই অল্প খরচে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে বলবো মনোহর এর ব্যবসা কি এবং কিভাবে করবেন।

মনোহারী দোকান কি?

যে দোকানে কাগজ-কলম, খেলনা, কাচের চুড়ি, প্রসাধন সামগ্রী ও শৌখিন জিনিস প্রভৃতি খুচরা পণ্য বিক্রয় করা হয় তাকে মনোহারী দোকান বলে।

মনোহারী ব্যবসা কি?

মনোহারী ব্যবসা হল মূলত বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস এর ব্যবসা যেমন কানের দুল, গলার হার, খোপা, চিরুনি, আরো নানা ধরনের উপকরণ নিয়ে যায় ব্যবসা করা হয়ে থাকে তাকেই বলা হয়ে থাকে মনোহারী ব্যবসা।

বর্তমানে মনোহর এর ব্যবসা খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি। তাছাড়া মনোহারী ব্যবসাতে আপনি অল্প পুঁজি ইনভেস্ট করার মাধ্যমে খুবই ভালভাবে লাভ করতে পারবেন যা অন্যান্য ব্যবসায় করতে পারবেন না।

মনোহারী ব্যবসা কিভাবে করে?

আপনি চাইলে মনোহারী ব্যবসা বিভিন্নভাবে করতে পারেন। আপনি সরাসরি মনোহারী ব্যবসা দোকান দিয়ে করতে পারেন বা কোন ফেরিয়ালা হিসাবে আপনি গ্রামে গ্রামে মনোহারী ব্যবসা করতে পারেন। বর্তমানে দেখবেন ঢাকা শহরে বা অন্যান্য স্থানে সারা বাংলাদেশে প্রচুর ফেরিয়ালা মনোহারীর ব্যবসা করে থাকে।


আপনি যদি এইভাবে করতে না চান তাহলে সরাসরি দোকান দিয়ে মনোহরীর এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি দোকান দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনার বেশ কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে দোকানের পেছনে এবং দোকানে ভালো সব মাল তুলতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি প্রথম ক্ষেত্রে ফেরিয়ালা হিসাবে মনোহারী ব্যবসা করতে পারেন তাহলে আপনি এই ক্ষেত্রে আরো বেশি লাভবান হবেন। তাই আপনারা চাইলে এই মনোহর এর ব্যবসা দুই ভাবে শুরু করতে পারেন যা আপনাদের জন্য খুবই দারুণ একটি সুবিধা।

মনোহারী ব্যবসায় লাভ কেমন?

মনোহারী ব্যবসায় কেমন লাভ হবে এটা সাধারণত আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে সক্ষম হন তাহলে আপনি এই মনোহারী ব্যবসা করার মাধ্যমে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আপনি এইটা আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি দোকান দেওয়ার মাধ্যমে মনোহরীর এর ব্যবসা করতে চান নাকি ফেরিওয়ালা হিসেবে মনোহারী ব্যবসা করতে চান। আপনি যদি দোকান দেওয়ার মাধ্যমে করতে চান তাহলে আপনার এই ক্ষেত্রে 30 থেকে 40 হাজার টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এই ব্যবসা করার জন্য। 

আর আপনি লাভ নিজে থেকেই দেখতে পারবেন কিছুদিন পর যে এই ব্যবসার মাধ্যমে আপনার কেমন লাভ হচ্ছে। আর আপনি যদি ফেরিওয়ালা হিসাবে এই ব্যবসাটি করতে চান তাহলে আপনাকে এই ক্ষেত্রে 5 থেকে 7 হাজার টাকার মাল তুলতে হতে পারে আপনার ফেরিতে এবং আপনি এখান থেকে অনায়াসেই দিন 500 থেকে 700 টাকা লাভ করতে পারবেন। 

যা সাধারণত অন্যান্য ব্যবসায়ী আপনি এত সহজে এত পরিমাণে লাভ করতে পারবেন না। বর্তমানে অনেকে মনোহারী ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন কেননা এটি যত দিন যাচ্ছে তত লাভজনক একটি ব্যবসা পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হচ্ছে মানুষের কাছে। তাই আপনিও এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন খুবই দ্রুত।

আমাদের শেষ কথা

বর্তমানের সময় যত যাচ্ছে তত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন ব্যবসা পদ্ধতি। আর  মানুষ যেন এখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসার পেছনে বেশি ছুটছে। কেননা ব্যবসাকে বলা হয়ে থাকে একটি স্বাধীন পেশা। আপনি এখানে নিজের ইচ্ছামত যা কিছু তাই করতে পারবেন যা আপনি চাকরির মাধ্যমে করতে পারবেন না।

তাই অনেকেই চাকরি ছেড়ে ব্যবসাতে মনোনিবেশ করেছেন এমন নজির বর্তমানে রয়েছে। আর মনোহারী ব্যবসা যদি করতে চান তাহলে অবশ্যই ব্যবসা সম্পর্কে জিনিসের দাম সম্পর্কে আগে খুঁটিনাটি জেনে নিয়ে তারপরে এই ব্যবসায় লাগা উচিত। তাহলে আপনি এই ব্যবসার মাধ্যমে লাভবান হতে পারবেন।

আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post