জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম


যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন তারা অনেকেই কিভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় খাতায় লিখবেন এই নিয়ে চিন্তায় আছেন।অর্থাৎ তারা জানতে চান কিভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখলে বেশি নাম্বার পাবো বা লেখার নিয়ম সম্পর্কে।যদি আপনার প্রশ্ন এটা হয়ে থাকে তাহলে সঠিক পোস্টে এসেছেন।কেননা আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় খাতা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ


অন্য পোস্টঃপরীক্ষার খাতায় মার্জিন টানার নিয়ম 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম


জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতায় বা অনার্স পরীক্ষার খাতায় লেখার কিছু কৌশল রয়েছে যে ট্রিক্স গুলো অবলম্বন করে খুব সহজেই সুন্দরভাবে লেখা উপস্থাপন করা যায়।নিচে পয়েন্ট আকারে এই বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো:-



কালো ও নীল কলম ব্যবহার করতে হবে এবং মার্জিন করতে হবে 


অনেকে খাতায় বিভিন্ন কালারের কলম ব্যবহার করে থাকেন। এটা কখনোই করা উচিত নয়। পরীক্ষার খাতায় কালো ও নীল কলম ব্যবহার করা যেতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে লেখাটা সাবলীল ভাবে অন্যের কাছে বোধগম্ভ হবে। পরীক্ষার রুমে যখন খাতা পেয়ে যাবেন তখন রেজিস্ট্রেশন নাম্বার সহ অন্যান্য তথ্যাদি পূরণ করে সুন্দরভাবে মার্জিন করে ফেলতে হবে। অনেকে মার্জিন করতে গিয়ে বক্স স্কেলিং করে থাকে এর ফলে জায়গা কমে যেতে পারে । তাই এক্ষেত্রে আপনারা উপরে এবং পাশে এক ইঞ্চি করে রেখে দাগ দিয়ে মার্জিন করে ফেলতে পারেন। এই স্কেলিং নীল কালি দিয়ে অথবা পেন্সিল দিয়ে করা যেতে পারে।



লুজ শিট নাম্বার পূরণ করে ফেলতে হবে 


পরীক্ষার রুমে যখন লুজ শিট নিবেন সাথে সাথেই তার নাম্বারটি মূল খাতার যথাস্থানে পূরণ করে ফেলতে হবে। কেননা প্রথমে পূরণ না করলে পরে মনে নাও থাকতে পারে। লুজ শিট নাম্বার প্রথমে দিয়ে দিলে খাতা গুছানোর সময় অনেক সহজেই সেটা ঠিক করা যায়। 



লেখা স্পষ্ট করে লিখতে হবে এবং দ্রুতগতিতে লিখতে হবে 


পরীক্ষার রুমে যখন খাতা পেয়ে যাবেন তখন অবশ্যই লেখা শুরু করার পর লেখা স্পষ্ট করে লিখতে হবে। এমন অনেকেই আছেন যারা সুন্দর করে ধীরে ধীরে লিখেন। যারা ধীরে লিখেন তারা কখনোই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। তাই অবশ্যই খাতা পাওয়ার পর লেখার গতি বাড়াতে হবে। 


পয়েন্টগুলা হাইলাইট করে দিতে হবে ও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে 


লেখার মাঝে পয়েন্ট গুলো হাইলাইট করে দিলে লেখাটি অনেক সুন্দর দেখা যায়। তাছাড়া এর মাধ্যমে আপনার পরীক্ষার খাতা যে দেখবে তার চোখে সহজেই পড়বে। তাছাড়া সকল সময় চেষ্টা করতে হবে পরীক্ষার খাতায় সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। সকল প্রশ্নের উত্তর যদি মোটামুটি ভাবে দিতে পারেন তাহলে এখানে বেশি নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি কোন প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকে তাহলেও সেই সম্পর্কে বেসিক কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে বেশি নাম্বার পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। 



প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে ও মার্জিনের বাইরে লেখা যাবে না 


সকল সময় চেষ্টা করতে হবে প্রশ্নের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে লেখা।এতে করে পরীক্ষক খুব সহজেই বুঝতে পারবে এবং আপনার নাম্বার পাওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকবে। তাছাড়া সকল সময় চেষ্টা করতে হবে মার্জিন এর বাইরে যেন লেখা না যায়। প্রশ্নের নাম্বার সহ কোন কিছুই মার্জিনের বাইরে রাখবেন না। অনেকেই সাধারণত এই ভুলটা করে থাকেন।



অতিরিক্ত পৃষ্ঠা ভরাট করা যাবে না ও খাতায় কাটাকাটি করা যাবে না 


অনেকে আজেবাজে লিখে অতিরিক্ত পৃষ্ঠা ভরাট করে থাকেন। তাই কখনো এই কাজটা করা যাবে না। আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য যতোটুকু দরকার ততটুকুই লিখতে হবে। যারা দুর্বল ছাত্র-ছাত্রী রয়েছেন তারা এ কাজটি করলে করতে পারে। তাছাড়া অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছেন যারা খাতায় অনেক বেশি পরিমাণে কাটাকাটি করে থাকে। এই দিকটা থেকে আপনাদেরকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। খাতায় অতিরিক্ত কাটাকাটি থাকলে পরীক্ষক বিরক্ত হয়ে যেতে পারে এবং আপনার নাম্বার কেটে নিতে পারে। তাই সকল সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে খাতায় কাটাকাটি কম হয়।




নাম্বার অনুযায়ী পৃষ্টা লিখতে হবে ও প্রশ্ন সংক্ষেপ করতে হবে 


অনেকে প্রশ্নের উত্তর অনেক বেশি পরিমাণে লিখে থাকেন যা কখনোই করা উচিত নয়। ৫ নম্বর একটি প্রশ্নের উত্তর সর্বোচ্চ তিন পৃষ্ঠা হতে পারে এর চেয়ে বেশি কখনো করবেন না। তাছাড়া কোন প্রশ্নের যখন উত্তর দিবেন তখন অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রশ্নটির উত্তর যেন সংক্ষেপে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে উত্তরটি যদি সঠিক এবং ভালো তথ্যবহুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই সম্পূর্ণ নাম্বার পাবেন। 



প্রশ্ন অনুযায়ী সময় ঠিক করে নিতে হবে ও রিভাইস দিতে হবে


প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কত সময় ব্যয় করবেন সেটা প্রথম থেকেই সেট করে নিতে হবে। যদি এটা না করেন তাহলে কোনভাবেই প্রশ্ন শেষ করতে পারবেন না। তাছাড়া লেখা শেষ হয়ে গেলে সুন্দরভাবে রিভাইস দিতে হবে। কোন জায়গায় ভুল করেছেন কিনা সেটা দেখতে হবে এবং বানানে কোন সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করে ফেলতে হবে। পরীক্ষার শেষে রিভাইস দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এর মাধ্যমে আপনার পরীক্ষাটি সঠিক হবে। 




শেষ কথা, আশা করি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার খাতার লেখার নিয়ম বা কিভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখবেন এই বিষয়ে আজকের পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ। 


Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post