পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয়

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয়


আমরা অনেকেই অনেক সময় বাজেট কম থাকার কারণে পুরাতন ল্যাপটপ কিনে থাকি। আবার আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা পরিচিতদের নতুন ল্যাপটপটি হয়তো বিক্রি করে দিচ্ছেন যার কারণে ল্যাপটপটি কিনছেন। যখন কারো কাছ থেকে পুরাতন ল্যাপটপ কিনবেন তখন অবশ্যই কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা জরুরী। কেননা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যদি এই বিষয়গুলো নজরদারি না করেন তাহলে আপনার ল্যাপটপটি কিনে ভোগান্তির শিকার হতে পারেন।



আজকের পোস্টে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কি বা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি কি দেখে কিনবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এই বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই পোস্টটি বিস্তারিত ও মনোযোগ সহকারে পড়বেন।




অন্য পোস্টঃ ল্যাপটপে বাংলা লেখার নিয়ম 

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় 


আপনার যে পরিমাণ বাজেট রয়েছে সেই বাজেটে যদি নতুন ল্যাপটপ কিনতে না পারেন তাহলে পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে পারেন। তবে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন তাহলে খুবই ভালো হবে:-



ল্যাপটপের স্কিন দেখে নিতে হবে 


ল্যাপটপের স্কিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস কেননা ল্যাপটপ চালানো অবস্থায় বেশিরভাগ সময়ই স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ল্যাপটপের স্কিন যদি কোন ভাবে ভেঙে যায় তাহলে সেটা সারাতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে দেখে নেবেন স্কিনে কোন সমস্যা রয়েছে কিনা যদি কোন গুরুতর  সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ল্যাপটপটি এড়িয়ে চলুন। 



কিবোর্ড ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে 


কিবোর্ড ল্যাপটপের খুবই জরুরী একটি অংশ তাই ল্যাপটপের কিবোর্ডটি কি অবস্থায় রয়েছে সেটি অবশ্যই কেনার আগে দেখে নিতে হবে।কিবোর্ডের দাম অনেক বেশি না হলেও কিবোর্ডের সব বাটন ঠিকঠাক মতো কাজ করছে কিনা সেটা দেখতে হবে। দু একটা বাটন ঠিকভাবে কাজ না করলে তেমন সমস্যা হয় না কিন্তু বেশিরভাগ বাটনের যদি সমস্যা করে তাহলে কিবোর্ড পাল্টাতে হবে। আর যদি জরুরী কিবোর্ড এর বাটনগুলোতে সমস্যা থাকে তাহলে সেটা এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। 



ল্যাপটপের ব্যাটারিটি কেমন দেখে নিতে হবে 


পুরাতন ল্যাপটপ গুলোর ব্যাটারি অনেক দুর্বল হয়ে থাকে। তাই ল্যাপটপটি কেনার আগে জেনে নিতে হবে যে পাওয়ার কড ছাড়া ব্যাটারীতে কতক্ষণ পর্যন্ত চার্জ থাকে। যদি পাওয়ার কড ছাড়া ল্যাপটপ তেমন ব্যবহার করা না লাগে তাহলে নতুন ব্যাটারি না কিনলেও হবে। কেননা এই ক্ষেত্রে ল্যাপটপের সাথে কড দিয়েই কাজ চালানো যাবে। কিন্তু যদি ল্যাপটপটি portable   হিসাবে ব্যবহার করা লাগে তাহলে আগে অবশ্যই ব্যাটারির অবস্থা জেনে নিন এবং খরচ কেমন পড়তে পারে ঠিক করতে সেটা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। 



ব্যাটারির চার্জার বা পাওয়ার এডাপটার ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে 


ব্যাটারি ঠিক আছে কিনা জানার আগে ব্যাটারির চার্জার বা পাওয়ার এডাপটার ঠিক আছে কিনা সেটা জানতে হবে। কেননা ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেটা কে রিচার্জ করতে হয় আর এর জন্য অবশ্যই এডাপ্টর বা চার্জারের প্রয়োজন হবে। কিছু কিছু ল্যাপটপ রয়েছে যাদের চার্জার ইউনিভার্সাল হয় না, তাই আপনি যে ল্যাপটপটি কিনতে চাচ্ছেন তার এডাপ্টার বা ব্যাটারি কি রকম বা সেটা পরবর্তীতে কিনে ব্যবহার করতে পারবেন কিনা জেনে নিতে হবে। 



অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা আছে কিনা দেখতে হবে 


ল্যাপটপ চালাতে গেলে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম দরকার হয়ে থাকে।তাছাড়া বিভিন্ন সফটওয়্যার দরকার হয় সেই সিস্টেমটি চালাতে গেলে।তাই আপনি যে ল্যাপটপটি কিনবেন সেটাতে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা আছে কিনা সেটা দেখে নিতে হবে। যদি না থাকে তাহলে যে ল্যাপটপটি বিক্রি করছে তার কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে যে অরজিনাল ডিস্ক আছে কিনা, যদি না থাকে তাহলে আলাদা আলাদা করে ইন্সটেককলেশন ডিস্ক কেনা লাগতে পারে। 



হার্ড ড্রাইভের সাইজ দেখে নিতে হবে 



যদি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বপ্রথম তার হার্ড ড্রাইভের সাইজ দেখে নিতে হবে।কেননা আপনার যদি অনেক ডাটা স্টোর করা লাগে এবং হার্ড ড্রাইভে যদি জায়গা না থাকে তাহলে আবার নতুন করে একটি হারড ড্রাইভ কেনা লাগতে পারে। তাই বেশি জায়গার হার্ড ড্রাইভ  সহ ল্যাপটপ কিনলেই আপনার জন্য ভালো হবে। 




অন্য পোস্টঃ নতুন ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার নিয়ম
 

মেমোরি ও প্রসেসর দেখে নিতে হবে 


মেমোরিতে জায়গা কম থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপটপ অনেক স্লো হয়ে যায়। তাই সর্বপ্রথম পুরাতন ল্যাপটপ নিয়ে একটি মেমোরি কিনে ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই প্রসেসরটি দেখে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি ফাস্ট প্রসেসরের ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে দেখে নিবেন যে ল্যাপটপটি কিনছেন সেটা কোন প্রসেসরের। 


স্পিকার চেক করতে হবে 


ল্যাপটপের স্পিকারটি ঠিক আছে কিনা সেটা দেখা খুবই জরুরী। কেননা আমাদের অনেকেরই গান শুনতে বা নতুন কোন মুভি দেখতে স্পিকারের প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে স্পিকারের আওয়াজ স্পষ্ট থাকে না বা ফাটা থাকে তাই সেটা আগেই দেখে নিতে হবে। তাছাড়া হেডফোনের পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট ও অন্যান্য পোর্ট গুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা সেটাও দেখে নিতে হবে। 



তাছাড়া আরো কিছু জরুরী জিনিস আছে যেমন ল্যাপটপটি ডিজাইন আপনার পছন্দ হয়েছে কিনা,ল্যাপটপটি কি ব্র্যান্ডের এসব কিছু দেখে নিতে পারেন। 




শেষ কথা, আশা করি ইতিমধ্যে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় কি বা পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে কি করবেন এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে গিয়েছেন। তারপরেও যদি এই নিয়ে কোন ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আপনার মূল্যবান প্রশ্নটির খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর প্রদান করার চেষ্টা করা হবে। 

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post