নতুন ব্যবসা আইডিয়া - New Business Idea 2022

নতুন ব্যবসা আইডিয়া - New Business Idea 2022


আজকের আর্টিকেলে আমরা ১২ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানবো, যেগুলো বরাবরের মতোই বেশ লাভজনক।


ব্যবসা পেশাটি অনান্য সব পেশার তুলনায় বেশ জনপ্রিয, সম্মানীয় একইসাথে লাভজনক, যদি আপনি এটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন। যেকোনো বিজনেস পরিচালনা করার পূর্বে আপনাকে প্রথমে উদ্যোগ নিতে হবে। 


একজন নতুন উদ্যোক্তা স্বাভাবিকভাবে বুঝে উঠতে সক্ষম হয়না কিভাবে ব্যবসা শুরু করা উচিত এবং কোন ব্যবসাটি করা উচিত। যার ফলে তারা আর সামনের দিকে এগোতে পারে না। 


তবে ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই প্রতিযোগিতা, বাজার চাহিদা, বিনিয়োগ, স্থান সহ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে লিখিত ধারণা রাখতে হবে। ব্যবসা টপিক খুঁজে নিতে যে দুটি বিষয় বেশি গুরুত্বপুর্ণ সেগুলো হচ্ছে বাজার চাহিদা এবং প্রতিযোগিতা।


একটি ব্যবসার টপিক নির্ধারণ করতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার আশেপাশের বাজারে সেই পণ্য চাহিদা কেমন, প্রতিযোগিতা কেমন এসকল বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।


যাইহোক, আজকের আর্টিকেলে আমরা নতুন ১০ টি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানবো, যেগুলো আপনারা নতুন বছরের শুরুতেই ছোট ছোট শহর বা গ্রামে পরিচালনা করতে পারেন। বড় শহরগুলোতে বিজনেস শুরু না করে ছোট ছোট শহরগুলোতে বিজনেস শুরু করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ শহরের ব্যবসায়িক বাজারে তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগিতা বেশি।


অনেক কথা বলে ফেললাম শুরুতে, তাহলে চলুন এবার লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলো সম্পর্কে জেনে নেই বিস্তারিত।



১০ টি লাভজনক নতুন ব্যবসা আইডিয়াঃ


এই ১০ টি বিজনেস আইডিয়া থেকে আপনারা ধারণা নিতে পারেন, যে নতুন বছরে কোন বিজনেস করাটা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। উল্লেখিত বিজনেস আইডিয়া গুলো থেকে একটি আইডিয়া বেছে নিয়ে আপনি বিজনেস আরম্ভ করতে পারেন। তবে অবশ্যই বিজনেস শুরু করার পূর্বে বাজারে সেই পণ্যের চাহিদা কেমন সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। 


১. অনলাইন এবং অফলাইন ফার্মেসি ব্যবসা


বর্তমান দিনগুলোতে মানুষের রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভবনা বাড়ছে, একইসাথে ঔষধের চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঔষুধের চাহিদা বাড়া ছাড়া কমার কোনো সম্ভবনা নেই। এ থেকে বলা যেতে পারে ভবিষ্যতের দিনগুলোতেও ঔষধের বিজনেস চলতে থাকবে, এমনকি বর্তমানের চেয়েও বেশি চাহিদা বাড়তে থাকবে এই ব্যবসায়ের।


প্রচলিত সব ব্যবসার মধ্যে ঔষধের ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য সেরা ইনকাম মাধ্যম। তবে কিছুটা ভিন্নতা আনতে পারলে এ ব্যবসাতে তুলনামূলক বেশি আয় করা সম্ভব।


প্রথমত, আপনি একটি ছোট শহর বা গ্রামে একটি ঔষধের দোকান দিন। পরবর্তীতে আপনি আপনার ব্যবসাটি অনলাইনেও স্থানন্তর করুন। অর্থাৎ আপনি যে গ্রামে বা শহরে থাকেন সেখানের লোকেরা চাইলে আপনার থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ঔষুধ অর্ডার করতে পারবে। এবং আপনি তাদের সেই অর্ডার নিয়ে সেটি তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিবেন।


এই প্রক্রিয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবসার প্রসার ঘটানো সম্ভব। অনলাইন বা ই কমার্স প্রক্রিয়ায় ফার্মেসির বিজনেস আপনার বেশ লাভজনক হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় কাস্টমার পেতে আপনার মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করতে হবে।


২. ফিক্সড দামে কাপড়ের ব্যবসা


সময়ের সাথে সাথে গ্রাহকদের পণ্য কেনার প্রক্রিয়ায় এসেছে বহু ভিন্নতা। বর্তমান বিক্রেতা এবং গ্রাহকরা বেশ আধুনিক হয়েছে। বিক্রেতারা যেমন ভিন্ন প্রক্রিয়া বা কৌশলে বিজনেস পরিচালনা করছে ঠিক তেমনি গ্রাহকরাও ভিন্নভাবে কেনাকাটা করে থাকছে।


গ্রাহকদের এমনই একটি ভিন্নতার দিক হচ্ছে ফিক্সড দামে পণ্য ক্রয়। বর্তমানে এমন অনেক শপ আছে যারা ফিক্সড দামে বিভিন্ন কাপড় বিক্রি করে থাকে। মজার ব্যাপার হলো গ্রাহকরা এই ধরনের শপগুলোতে বেশ ভিড় করে থাকে। এ থেকে বলা যেতে পারে এখন বেশিরভাগ গ্রাহক ফিক্সড দামে পণ্য কিনে থাকে, দরদাম এর ঝামেলায় যেতে গ্রাহকরা তেমন পছন্দ করেন না।


সুতরাং আপনার শহর কিংবা গ্রামে আপনিও একদামে কাপড় বিক্রি ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। এই বিজনেসে পণ্যের নির্দিষ্ট দাম থাকবে যেটি দরদাম করার সুযোগ থাকবে না। কিন্তু এই বিজনেসে পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে ক্ষেত্রে একজন বিক্রেতাকে বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। 


যদি আপনি গ্রাহকদের বুঝাতে পারেন যে, আপনার দোকানে ফিক্সড দামে সল্প মূল্যে পণ্য পাওয়া যায় তাহলে কাস্টমার অবশ্যই আপনার থেকে পণ্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে।


তবে বেশিরভাগ দোকানে একজন ফিক্সড দামে পণ্য বিক্রি প্রক্রিয়া প্রচলিত নেই, যেটা আপনার জন্য বড় সুযোগ হতে পারে।


৩. দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান


দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লায়েন্ট বা ছাত্রছাত্রীদের সাধারণত বিভিন্ন স্কিল শেখানো হয়ে থাকে। প্রশ্ন আসতে পারে এর দ্বারা কিভাবে ব্যবসা করা যেতে পারে?


উদাহরণস্বরূপ, আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বিষয়ে দক্ষ, অর্থাৎ আপনি জানেন কিভাবে এসইও করতে হয় এবং কিভাবে গুগলে রেঙ্ক করতে হয়। তবে সবাই কিন্তু এসইও বিষয়ে পারদর্শী নয়। আর আপনি নিশ্চই জানেন বর্তমান বাজারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের চাহিদা কতটা।


এক্ষেত্রে আপনি একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেখানে আপনার ক্লায়েন্টদের (যারা শিখতে চায়) এসইও বিষয়ে কোর্স বা ক্লাস করাতে পারেন। কোর্স শেষ হলে আপনি তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারেন।


এতে তাদেরও কিছু শেখা হলো পাশাপাশি আপনার কিছু ইনকাম হলো। একটি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লায়েন্টদের শিখিয়ে ভালো অংকের টাকা আয় করা সম্ভব।


বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলগুলোতে এধরনের কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকে না, যার ফলে এটি আপনার জন্য উপযুক্ত স্থান হতে পারে যেখানে আপনি আপনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।


এই ব্যবসা থেকে আপনার সুনাম অর্জন হওয়ার পাশাপাশি ভালো ইনকাম সোর্স তৈরি হবে।



৪. ইলেক্ট্রিক সামগ্রীর ব্যবসা ও সেবা


লাভজনক ব্যবসায়িক আইডিয়াগুলোর মাঝে একটি হচ্ছে বৈদ্যুতিক পণ্যসামগ্রীর ব্যবসা এবং বৈদ্যুতিক সেবা প্রদানের ব্যবসা।


আপনি চাইলে আপনার শহর বা গ্রামে একটি ইলেকট্রিক দোকান দিয়ে সেখানে বিভিন্ন ইলেকট্রিক পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারেন। যদি প্রশ্ন করেন এ ব্যবসাতে লাভ কেমন, তবে বলতে পারি এটি সম্পূর্ণ পণ্য বিক্রির উপর নির্ভর।


তবে পণ্য বিক্রি করতে পারলে এ ব্যবসা থেকে তুলনামূলক বেশি আয় করতে পারবেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বৈদ্যুতিক পণ্যসামগ্রীর বিজনেসের সাথে জড়িত। 


প্রতিযোগিতা কম এমন স্থানে সঠিকভাবে শুরু করতে পারলে এটি আপনার জন্য সেরা আয়ের উৎস হবে। পাশাপাশি আপনি ইলেকট্রিক সেবা (Electrical Service) প্রদান করতে পারেন। 


গ্রামের দিকে লোডশেডিং অনেক বড় একটি সমস্যা। গ্রামাঞ্চলে প্রতিনিয়ত মানুষ বিদ্যুৎ এর নানান সমস্যায় পড়ে থাকে, সে অনুযায়ী কোনো দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান থাকে না। এক্ষেত্রে দোকানের পাশাপাশি আপনি ইলেকট্রিক সেবা প্রদান করেও উপার্জন করতে পারেন। যদি আপনি ইলেকট্রিক কাজে দক্ষ হোন তবে আপনার জন্য অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন বিভিন্ন কোম্পানিতে একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে যোগ দেওয়া, নিজের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।


৫. ফাস্টফুড বিজনেস


সময়ের সাথে মানুষের রুচিতেও এসেছে বিভিন্ন পরিবর্তন। এখন মানুষ বিভিন্ন ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে থাকে।


এই ব্যবসাটি শুরু করার পূর্বে সঠিক স্থান নির্বাচন করাটা অনেকাংশে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনি বড় রাস্তার মোড়, শপিং মলের পাশে, স্কুল কলেজ এর পাশে কোনো ছোট দোকান ভাড়া নেওয়ার মাধ্যমে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।


উল্লেখিত স্থানগুলোতে জনসমাগম থাকে যার ফলে আশা করা যায় আপনার দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমার আপনার দোকানে ফাস্টফুড খেতে আসতে পারে।


আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে এই বিজনেসে আপনাকে অবশ্যই লোকসমাগম বেশি এমন জায়গা বেছে নিতে হবে। একইসাথে ফাস্টফুডের আইটেমে আনতে পারেন ভিন্নতা।


সাধারণত বার্গার, পিজ্জা, কাবাব ইত্যাদি খাবারগুলো ফাস্টফুডের অন্তর্গত। আপনি এসব খাবারের পাশাপশি আনকমন খাবারের আইটেম তৈরি করতে পারেন যেগুলো আগে কেউ খায়নি। এতে গ্রাহকের আগ্রহ সৃষ্টি হবে সে খাবারটি একবারের জন্য খেয়ে দেখার জন্য। পাশপাশি সম্ভব হলে অনলাইনের মাধ্যমে ফাস্টফুড সেল এর ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন ফাস্টফুড বিজনেস অনেক জনপ্রিয়।



৬. বিবাহ বা বিভিন্ন ইভেন্টে ফটোগ্রাফি


ছবি তুলতে আমরা সবাই পছন্দ করি। যদি ফটোগ্রাফি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে এটিকে ঘিরে আপনি একটি প্রফেশন গড়তে পারেন।


পেশাগত দিক থেকে ফটোগ্রাফি আপনার জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। এটি মূলত একটি সেবামূলক বিজনেস। আর এই ব্যবসাতে খরচের পরিমান খুব একটা বেশি নয়। প্রথমত আপনি বিভিন্ন ইভেন্টে ফ্রীতে কাজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব বা তাদের আত্মীয় স্বজনদের বিয়েতে ফ্রীতে ফটোগ্রাফি করে দিতে পারেন।


এখন প্রশ্ন আসবে, কেন আপনি শুরুতে ফ্রীতে কাজ করবেন? প্রথমত, এতে তারা আপনার দক্ষতা সম্পর্কে অবগত হবে, দ্বিতীয়ত আপনার ফটোগ্রাফির বিষয়টি জানাজানি হবে। অর্থাৎ বলতে পারেন এটা এক প্রকার মার্কেটিং বা প্রচার প্রক্রিয়া। এতে আপনি তাড়াতাড়ি কাজ পাবেন।


ফটোগ্রাফি বিজনেসকে আরো বেশি লাভজনক করতে আপনি অনলাইনে এটিকে স্থানান্তর করুন। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল প্লাটফর্মে আপনার কাজের সেম্পল শেয়ার করতে পারবেন। এতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা সকলে আপনার কাজ দেখে ভালো লাগলে আপনাকে কাজ দিতে পারে।


অনলাইন ফটোগ্রাফি বিজনেস কতটা লাভজনক সেটি আপনারা ফেসবুকে চিত্রগল্প, ছবিয়াল, AR Photography ইত্যাদি পেজগুলো ঘুরে দেখলেই বুঝতে পারবেন।


৭. বেকারির ব্যবসা


বেকারির পণ্যসামগ্রী প্রায় সব জায়গাতে বিক্রি হয়ে থাকে। যদিও এই বিজনেস শুরু করাটা কিছুটা কঠিন কিন্তু লাভের পরিমাণটা বেশ ভালো।


বেকারি বিজনেস শুরুর পূর্বে মার্কেট রিসার্চ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সঠিক সরঞ্জাম, পর্যাপ্ত বাজেট জোগাড় করা উচিত। মূলত আপনি পাইকারি এবং খুচরা এই দুই প্রক্রিয়ায় এই বিজনেস শুরু করতে পারেন। 


৮. কফিশপ বিজনেস


কফিশপ বিজনেস এর বিষয়টা অনেকে স্কিপ করতে পারেন। কেননা বেশিরভাগ মানুষ ভাববে যে এই ব্যবসাটি নিচু মানের। যদি আপনিও এমন কিছু ভেবে থাকেন তাহলে বলা যায় আপনি একদম ভুল ভাবছেন।


আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন শহরের এমন অনেক ছোট ছোট কফিশপ রয়েছে যাদের দৈনিক আয়ের পরিমাণ ৪-৫ হাজার টাকা বা তার থেকেও বেশি। তবে কফিশপ বিজনেস এর ক্ষেত্রে অবশ্যই বুদ্ধিমত্তার সাথে একটি সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে হবে। 


কফি বিক্রির সাথে সাথে আপনি চা, ফাস্টফুড, বিস্কুট, পানি, নাস্তা ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। কম পুঁজির লাভজনক ব্যবসা এটি।


৯. কসমেটিকস ব্যবসা


কসমেটিকস সামগ্রীর চাহিদা সময়ের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে। আর তাই এসময় যদি আপনি কসমেটিকস বিজনেস শুরু করেন সেটি আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।


তবে কসমেটিকস ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে সঠিক প্ল্যান, মার্কেট রিসার্চ, সঠিক স্থান নির্ধারণ, পণ্য আইটেম বেছে নেওয়া সহ ইত্যাদি বিষয়ে ফোকাস করতে হবে।


যদি সবকিছু প্ল্যান করে এই বিজনেস শুরু করা যায় তাহলে এটি থেকে ভালো প্রফিট অর্জন করতে পারেন।


১০. লাইব্রেরী বা স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসায়


প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে শুরু করে শিক্ষাগত পর্যায় সবক্ষেত্রেই লাইব্রেরী বা স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিনিয়ত আমাদের সকলের লাইব্রেরী দোকানের পন্য কিনতে হয়ে থাকে।


এক্ষেত্রে ছোট শহর বা গ্রামে একটি লাইব্রেরির দোকান দেয়াটা আপনার জন্য লাভজনক আয়ের উৎস হয়ে উঠতে পারে। মাঝারি বা সল্প পুঁজিতে আপনি এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। সঠিক স্থান নির্বাচন, মার্কেট যাচাই এবং গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারলে স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসায় ভালো আয় করা সম্ভব।


সর্বশেষ


আজকে আমরা ১০ টি নতুন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানলাম। যদিও ২০২২ আসতে এখনও বেশ কিছুদিন বাকি রয়েছে, তবে এই কয়েকদিন ভেবে চিন্তে আপনি যেকোনো একটি বিজনেস আইডিয়া বেছে নিতে পারেন।


নিজের ইচ্ছেমত বিজনেস টপিক বেছে না নিয়ে আপনার আশেপাশের মার্কেট ও পণ্য রিসার্চ করে বিজনেস শুরু করাটা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


আরো একটি বিষয় বলতে চাই সেটি হলো, আর্টিকেল পড়ে, ভিডিও দেখে, বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জেনে আপনি বিজনেস করে লাখ টাকা আয় করবেন এটা ভাবলে আপনি ভুল করবেন। তবে সফল হতে হলে অবশ্যই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একইসাথে শুরু করতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে। 


বিজনেস শুরুর ক্ষেত্রে ঝুঁকি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে, অগ্রিম ঝুঁকি নিয়ে চিন্তা না করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়াটা সফল ব্যবসায়ী হতে চাইলে বেশ কাজে দেবে।


আর্টিকেলটা শেষ করছি আজ এইটুকুতে, ব্যবসা সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন অথবা আপনার মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। 


আরো দেখুন 




Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post