অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন ২০২২

 

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন পরিষেবার জন্য আমাদের নিত্যদিনের কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করতে পারি এবং মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারি। আমাদের মধ্যে এমন অনেক লোক আছে যারা সময়ের কারণে বা বিভিন্ন অসুবিধার কারণে সরকারি বা বেসরকারি অফিসগুলোতে যেতে চান না। তারা চান এই কাজগুলো সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে করতে।


আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র আমাদের কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সকলেই জানি। অনেকে আইডি কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সরাসরি সরকারি অফিসগুলোতে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে চান। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন এটা কিভাবে করবো।এই বিষয়েই আজকের পোষ্টে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হবেঃ-


অনলাইন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন

অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করার আগে চলুন আমরা জেনে নিই নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব সেই সম্পর্কে। এই উপায়টা সম্পর্কে জানতে পারলে আপনারা খুব সহজেই আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।


নতুন আইডি কার্ড কিভাবে দেখব 

সাধারণত যারা জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করেছেন ইতিমধ্যে তারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের আইডি কার্ড দেখতে পারবেন।আমরা যখন প্রথম ভোটার হতে চেয়েছিলাম তখন আমাদের একটি কাগজের ফরম দেওয়া হয়েছিল এবং সেখান থেকে নিচের একটি অংশ বা ভোটার স্লিপ আমাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। 


এই ভোটার স্লিপে  আপনারা আট ডিজিটের একটি নাম্বার দেখতে পারবেন আর এই নাম্বারটি কে সাধারনত ভোটার আইডি কার্ড সার্চ করার ফরম বলা হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনার যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড থেকে থাকে সেখানে আপনারা এ নাম্বারটি পেয়ে যাবেন।এই নাম্বার টি ব্যবহার করে অনেকে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারেন। 

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন



আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্রের সংশোধন ফরম ডাউনলোড করবো কিভাবে 

অনলাইন থেকে বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ডাউনলোড করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এখন যে কেউ চাইলে এই কাজটি করতে পারেন। অনেকের আইডি কার্ডে মা-বাবার নাম ভুল, নিজের জন্ম তারিখ ভুল আরো অনেক ধরনের ভুল দেখে থাকেন। তারা চাইলে এই ভুলগুলো খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে বর্তমানে সংশোধন করতে পারবেন। কেননা এনআইডি কার্ড সংশোধন না করলে যেকোনো কাজে আপনার সমস্যা হতে পারে কেননা এনআইডি কার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।


আরো দেখুন 

➡️ভোটার নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

➡️স্মার্ট কার্ড চেক করার নিয়ম


কিভাবে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবো 

কিভাবে নিজের নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবো এই নিয়ে বেশিরভাগ মানুষই প্রশ্ন করে থাকেন।আপনার কাছে যদি ভোটার slip থেকে থাকে তাহলে ওই slip এর মাধ্যমে খুব সহজেই নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে।

আপনাদেরকে এই জন্য সরাসরি এই https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ওয়েবসাইটটিতে চলে যেতে হবে।

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন


এবং এই ছবিতে উল্লেখ করা স্থানগুলোতে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করে খুব সহজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবেন।এই পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে আইডি কার্ড দেখা অনেকটা সহজ।


নতুন ভোটারদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে 

যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে আমাদের নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে। আপনি যদি একজন নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য যোগ্য ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি ফরম পূরণ করতে হবে এবং সে ফরমটি জমা দিতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি ভোটার স্লিপ দেওয়া হবে এবং পরবর্তীতে সরকার থেকে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে নতুন ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আপনি কবে পাবেন।

তবে যারা জরুরী ভিত্তিতে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে চান তারা চাইলে সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু ফি দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।


মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র কি বের করা সম্ভব 

মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বের করা যায় কিনা এই নিয়ে অনেকে বলে থাকেন।যারা জানেন যে মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বের করা যায় তাদের এই ধারণাটা একদমই ভুল।মোবাইল এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বের করার সঠিক কোন পদ্ধতির নেই।কারো যদি মোবাইল নাম্বার দেওয়া থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার বলতে পারেন। 


ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন/ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যা যা লাগে 

অনেকে ভোটার আইডি কার্ডে কোন ভুল হলে সংশোধন করতে চান। তাই তাদের জন্য অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য কি কি লাগে সেটা জানা উচিত।ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-


➡️ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে(নাম,জন্মতারিখ, পিতা মাতার নাম)

➡️ঠিকানা পরিবর্তন(অস্থায়ী এবং স্থায়ী ঠিকানা)

➡️ভোটার এলাকা পরিবর্তন(যে এলাকায় থেকে ভোটার হয়েছেন)

➡️ছবিতে কোন ধরনের ছবি সমস্যা হলে ছবি পরিবর্তন

➡️ভোটার আইডি কার্ড রিপৃন্ট বা অস্পষ্ট হলে



তথ্য বা ছবি পরিবর্তনে সংশোধনের নিয়ম  

আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে এনআইডির ছবি বা অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে নিচের নিয়ম গুলো অবশ্যই আপনার জানা উচিত।যেমনঃ-


১.অনলাইনের মাধ্যমে এনআইডির তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশের এনআইডি পোর্টাল ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 


২.রেজিস্ট্রেশন  করা হয়ে গেলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সেখানে আবার লগইন করতে হবে।লগইন করার পর এখানে একটি ওয়েব পেজ দেখা যাবে।


৩.তারপরে প্রোফাইল ট্যাবে ক্লিক করতে হবে এবং প্রোফাইল ট্যাবে ক্লিক করার পর এখানে সকল ব্যক্তিগত তথ্য(নাম,  জন্ম তারিখ, জন্মস্থান পিতা মাতার নাম,) দেখতে পারবেন।


৪.আপনারা এখান থেকে চাইলে তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন। 


৫.জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য পরিবর্তনের জন্য যে সাহায্যের প্রয়োজন হবে তা জানার জন্য এডিট বাটনে ক্লিক করুন।এখান থেকে প্রদত্ত ফি বা চার্জ খুব সহজেই দেখা যাবে।


৬.আবার এখান থেকে আপনি বহাল বাটনে ক্লিক করার পর এডিট প্রফাইল পেজ এ নিয়ে যাওয়া হবে এবং তারপর এমন দেখতে পারবেন। 


এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য ফ্রি কিভাবে প্রদান করবেন 

১.আপনারা এডিট মোডে প্রোফাইল পেজে আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য এখানে দেখতে পারবেন। সেখানে প্রতিটা তথ্যের পর একটি বক্স দেখতে পারবেন। তারপরে উক্ত  বক্স সমূহের ক্লিক করলে ঠিক মার্ক যুক্ত হবে। সেই সাথে ঠিক মার্ক যুক্ত বক্সের তথ্য এডিট করুন।


২.এই পেজ থেকে আপনি আপনার এনআইডির প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য খুব সহজেই পরিবর্তন করতে পারবেন।


৩.প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য পরিবর্তন করা হয়ে গেলে উপরের ডান দিকে থাকা পরবর্তী বাটনে ক্লিক করতে হবে। 


অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার নিয়ম 

➡️প্রথমে সরাসরি ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার http://www.nvsp এই ওয়েবসাইটটিতে চলে যেতে হবে এবং লগইন করতে হবে।

➡️তারপরে রেজিস্ট্রেশন ফর নিউ ভোটার এই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। 

➡️এবার ৬ একটি ফরম ওপেন হবে এবং এটি আপনাকে সুন্দর করে ফিলাপ করতে হবে।আপনার ভাষা সিলেক্ট করে ফরমটি সুন্দরভাবে ফিলাপ করে ফেলতে হবে। ফরমটি ফিলাপ করার সময় অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা তা নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

➡️তারপরে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।

➡️তারপরে সবকিছু ভালো করে দেখে নিয়ে সাবমিট করতে হবে।

সব তথ্য যদি সঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে খুব সহজেই অর্থাৎ এক মাস যেতে না যেতেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি 

বিভিন্ন সময়ে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি বের করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।আপনারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি খুব সহজেই বের করতে পারেন।আর এটিকে সাধারণত অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড বের করা বলা হয়ে থাকে।


ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় 

ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ হারিয়ে গেলে অনেকে ভেঙে পড়ে থাকেন। ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ হারিয়ে গেলে আপনার নিকটস্থ থানায় গিয়ে একটি সাধারন জিডি করবেন। তারপরে সরকারকর্তৃক আপনার মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে এবং এভাবে আপনি আপনার ভোটার স্লিপ টি ফেরত পেতে পারেন।


স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম 

অনলাইন থেকে আপনার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন বা স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড এর জন্য আপনাকে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে। তারপরে লগইন করার পর আপনাকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করতে হবে। 


ক্লিক করার পর আপনি এখানে ভোটার আইডি কার্ডের সফটকপি ও পিডিএফ ডাউনলোড কপি পেয়ে যাবেন।এভাবে আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ড খুব সহজেই অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।



আমাদের শেষ কথা 

আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে আপনারা কিভাবে অনলাইন থেকে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করবেন এবং স্মার্ট কার্ড সংশোধন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। তার পরেও যদি আপনাদের কোন ধরনের বিষয় বুঝতে অসুবিধা হয়ে থাকে আমাদেরকে সরাসরি কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post