চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ

চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ


আজকে আপনাদের সাথে চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের বিভিন্ন সমস্যা থাকে। মানুষের যেসব সমস্যায় প্রায়শই ভুগতে দেখা যায় তার মধ্যে চুলে পড়ে যাওয়ার সমস্যাটি একটি অন্যতম বড় সমস্যা। 


তবে আজকে আপনাদের চুল পড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলবো না, বরং আজ আপনাদের সাথে চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ নিয়ে আলোচনা করবো। এছাড়াও শেষে আপনাদের চুল পড়ে যাওয়া সমস্যা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিবো। আশা করছি আর্টিকেলটা আপনার চুল পড়ে যাওয়া সমস্যাটি অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম হবে। সুতরাং মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটা পড়বেন।


অন্য পোস্টঃমসুর ডাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 


চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ


চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রে আমরা একেকজন একেক উপায় মানার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে অনেকে আবার নানান ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকি। তবে যেমন তেমন ওষুধ সেবন করাটা অনেক সময় আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে উপযুক্ত ওষুধ সেবন করতে হবে। 


আপনাকে মাথায় রাখতে হবে চুল পড়া সমস্যার একটি বড় কারণ হচ্ছে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। হ্যাঁ! আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে যে ওষুধ খেয়ে থাকি, এসব ওষুধের ভালো দিক থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আমরা দেখতে পাই। আর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কোননা কোনোভাবে আপনার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। 


সুতরাং যেকোনো ওষুধ, সেটা হতে পারে আপনার চুল পড়ে যাওয়া রোধের জন্য বা অন্যান্য কারণে, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ কারোর পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করবেন। এক্ষেত্রে আপনার জন্য সবথেকে বেশি ভালো হয়, আপনি আপনার এলাকায় বা গ্রামে/শহরের কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর কাছে যাবেন প্রথমত। এরপর আপনার সমস্যার বিষয়ে ডাক্তারকে পুরোটা বুঝিয়ে বলার পর ডাক্তার আপনাকে যে ধরনের ওষুধ দিবে আপনি সেটাই ফলো করুন।এছাড়া অনলাইন থেকে যে কারো পরামর্শ নিয়ে কোনো ওষুধ হুট করে খেয়ে ফেলবেন না, এতে বিপরীত হতে পারে। 


তো আমি আশা করবো চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ কীওয়ার্ড লিখে দ্বিতীয়বার আপনি আর অনলাইনে সার্চ করবেন না।


এই পর্যায়ে আপনাদের সাথে চুল পড়ে যাওয়া সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু টিপস শেয়ার করবো। নিচের পয়েন্ট গুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন, আশা করছি আপনার সমস্যা থেকে দ্রুতই আপনি বেরিয়ে আসতে পারবেন।


চুল পড়া বন্ধ করার উপায়


১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন


আমাদের নিত্যদিনের খাদ্যাভ্যাসের ফলেও আমাদের চুল পরে যাওয়ার সমস্যাটি ঘটে। সুতরাং আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু এমন খাবার যুক্ত করতে পারেন যেগুলো কিনা চুলের স্বাস্থের জন্য বেশ উপকারী, তবে আপনার চুলের গোড়া অনেকাংশে মজবুত হবে। 


যেমন ধরুন ডিম, মাংস, মাছ, বাদাম ইত্যাদি। এই ধরনের খাবার গুলোতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যা আপনার চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে তুলে এবং হেয়ার ফল এর অভিশাপ থেকে আপনাকে দূরে রাখে।


তবে মাছ, মাংস না হলেও চেষ্টা করবেন সকাল থেকে রাতের খাবারে বেশিরভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের। এতে খুব দ্রুত আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে থাকবেন।



২.চুল নিয়মিত পরিষ্কার রাখা


"পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে পরে চুল যায়না কখনো পড়ে"। কবিতার সাথে এই লাইনটি যদি আপনি মনে রাখতে পারেন তবে হেয়ার ফল সমস্যা অনেকটা দূরে থাকবে আপনার থেকে। 


অর্থাৎ প্রতিদিন আপনার চুলগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন। অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত অপরিচ্ছন্নতার কারণেও হেয়ার ফল দেখা যায়।



৩. শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন


সপ্তাহে অন্তত একদিন চেষ্টা করুন কোনো ভালো শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে। এতে আপনার চুল ঘন এবং কালো হওয়ার সাথে সাথেই আপনি চুল পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।


বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার পাওয়া যায়। আপনি আপনার পছন্দের একটি কিনে ব্যাবহার করতে পারবেন। তবে শ্যাম্পু ব্যবহারের একদিন পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যাবহার করবেন।



৪. ক্ষতিকর ওষুধ এড়িয়ে যাওয়া


কিছু ওষুধ এমন থাকে যেগুলো আপনার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। সুতরাং আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে কোন ওষুধ আপনি খাচ্ছেন, এবং তার জন্য আপনার চুলের উপরে কোন ধরনের প্রভাব পড়ছে। অতঃপর আপনাকে এসে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে। কেননা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও অনেক ক্ষেত্রে ত্বক এবং চুলের ক্ষতি হয়। 



৫. হেয়ার ড্রায়ার এর সঠিক ব্যবহার করুন


হেয়ার ড্রায়ার সাধারণত আমরা সকলে চুল শুকাতে ব্যবহার করে থাকি। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, যদি আপনি না জানেন কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে হেয়ার ড্রায়ার এর ব্যাবহার করতে হয় তাহলে কিন্তু আপনার চুলের মারাত্মক ক্ষতি হবে। এমনকি হেয়ার ফল এর সমস্যাও আপনার দেখা দিবে।


আর তাই হেয়ার ড্রায়ার এর সঠিক ব্যবহার শিখে নিন এবং সঠিকভাবে ব্যাবহার করুন। ইন্টারনেটে সার্চ করেও আপনি এই বিষয়ে জেনে নিজে পারবেন।



৬. ভেজা অবস্থায় চুল না আঁচড়ানো


আমরা অনেকে আছি যারা গোসল বা স্নান শেষ করে এসে মাত্র ভেজা চুল আঁচড়ানো শুরু করে দেই। এরে আমাদের চুল ভেজার ফলে চুলের গোড়া অনেকটা নরম হয় এবং চুল আঁচড়ানোর ফলে চুল পড়ে যায়। আর তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকবেন।


এছাড়াও কখনো হাত দিয়ে জোরে নিজের চুল টানবেন না। গোসলের পর একটি নরম কাপড় দিয়ে চুল মুছে ফেলুন। 


অন্য পোস্টঃতিন দিনে ফর্সা হয়ে ওঠার উপায় 


শেষ উক্তি


আজকে আপনাদের সাথে চুল পড়া করার ঔষধ এর ব্যাপারে কথা বলেছি। আশা করছি আপনারা পুরো বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে জানাবেন।


2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post