কম দামে ভালো গেমিং মোবাইল ফোনঃআমরা যারা মোবাইলে গেম খেলে থাকি তারা অনেকেই চান যে কম দামে ভালো গেমিং ফোন নিতে।কেননা আপনি যে মোবাইলে গেম খেলছেন সেই মোবাইলটির প্রসেসর যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি কখনোই গেম খেলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না।
আমরা এর জন্য অনেকেই কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকি।যারা কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটা হতে পারে খুবই উপকারী।তাহলে চলুন দেরী না করে জেনে নেওয়া যাক সেরা সাতটি কম দামে ভালো গেমিং ফোন সম্পর্কেঃ
কম দামে ভালো ৭ টি গেমিং ফোন
যারা গেম খেলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আমি কম দামের সেরা পাঁচটি গেমিং মোবাইল সম্পর্কে এবার বলবো।সাধারণত এই ফোনগুলো গেম খেলার জন্য খুবই উপযুক্ত। নিচে আমি আপনাদেরকে বর্তমান সময়ের সেরা কয়েকটি গেমিং ফোন সম্পর্কে বিস্তারিত বলবোঃ
Realme C25
বর্তমান সময়ে যারা গেম খেলতে খুবই ভালোবাসেন তাদের জন্য সেরা একটি গেমিং ফোন হচ্ছে এটি।এই ফোনটির বিশেষত্ব হচ্ছে আপনারা এটি খুবই অল্প দামে পাবেন তাছাড়া যারা গেম খেলে থাকেন তাদের কাছে এই ফোনটি অসাধারণ।
Realme C25 এই স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে সাইজ হচ্ছে সাড়ে ছয় ইঞ্চি। আপনারা এই স্মার্টফোনটিতে পাবেন ১২৮ জিবি ফোন স্টোরেজ সুবিধা এবং ৬ জিবি র্যাম। তাছাড়া আপনারা এই স্মার্টফোনটিতে ৮ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা পাবেন।
Realme C25 স্মার্টফোনটির আপনারা পাচ্ছেন ৬ হাজার এম্পিয়ার এর ব্যাটারি যা সাধারণত যারা গেম খেলে থাকেন তাদের জন্য অসাধারণ।তাছাড়া গেম খেলতে খেলতে যদি চার্জ শেষ হয়ে যায় তারা পাচ্ছেন ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য ফাস্ট চার্জিং সমৃদ্ধ চার্জার যেটি ফাস্ট চার্জ তুলতে সক্ষম।
তাই যারা কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকেন তাদের জন্য এই ফোনটি হচ্ছে অসাধারণ একটি ফোন। আপনারা এই ফোনটি মার্কেটে ১৫,৯৯০ টাকায় পেয়ে যাবেন।১৫০০০ টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন কিনতে চাইলে এই ফোনটি কিনতে পারেন।
অন্য পোস্টঃঅরিজিনাল আইফোন চেনার উপায়
Techno spark7 pro
আপনার যদি কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকেন তাহলে আপনাদের জন্য এই ফোনটি হতে পারে সেরা একটি ফোন। আপনারা এই ফোনটি খুবই স্বল্প দামে পেয়ে যাবেন এবং এর সার্ভিস অনেক ভালো। আপনারা এই ফোনটিতে পাচ্ছেন আকর্ষণীয় সাড়ে ছয় ইঞ্চি ডিসপ্লে। ১৬ মেগাপিক্সেল এর
ব্যাক ও ৮মেগাপিক্সেলের সেল্ফি ক্যামেরা রয়েছে ফোনটিতে।আপনি এই স্মার্টফোনটিতে ৬ জিবি র্যাম এবং ৬৪ জিবি ফোন স্টোরেজের সুবিধা। তাছাড়া আপনারা এই স্মার্টফোনটির অতি শক্তিশালী ব্যাটারি পাচ্ছেন। ব্যাটারির রেজুলেশন হচ্ছে ছয় হাজার এম্পিয়ার।
টেকনো স্পার্ক ৭ pro এই স্মার্টফোনটিতে আপনারা পাচ্ছেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর সুবিধা।তাই আপনি যদি কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই ফোনটি হতে পারে কারণ একটি ফোন।20 হাজার টাকার মধ্যে সেরা গেমিং ফোন গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
Xiaomi Redmi 9
যারা গেম খেলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি খুবই আকর্ষণীয়। তারা এই স্মার্টফোনের মাধ্যমে চাইলে খুব সাবলীলভাবে গেম খেলতে পারবেন কোন ধরনের কোন সমস্যা ছাড়াই।
এই স্মার্টফোনটি আকর্ষণীয় সব ফিচার সমৃদ্ধ। আপনারা এই স্মার্টফোনটিতে পাচ্ছেন ৬.৫৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং পাচ্ছেন ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
তাছাড়া এই ফোনটির নাম র্যাম হচ্ছে ৮ জিবি এবং ফোন স্টোরেজ হচ্ছে ৬৪ জিবি। .আপনারা এই ফোনটির মাধ্যমে খুব সাবলীলভাবে কোন ধরনের হ্যাং ছাড়াই গেম খেলতে পারবেন।
যারা গেম খেলতে পছন্দ করে থাকেন তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি খুবই জনপ্রিয়। তাই আপনি যদি কম দামে ভালো গেমিং ফোন খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই ফোনটি হতে পারে সেরা একটি ফোন।আপনারা এই স্মার্টফোনটি বাজারে পাবেন ১৪,৯৯৯ টাকায়।
অন্য পোস্টঃভালো মোবাইল চার্জার চেনার সহজ উপায়
Xiaomi poco M3
যারা স্বল্প বাজেটে গেমিং ফোন কিনতে চান তাদের জন্য এই ফোনটি হতে পারে খুবই ভালো একটি ফোন। আপনারা এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার মাধ্যমে মিডিয়াম সেটিং এর সব ধরনের জনপ্রিয় গেমস খুব সহজেই খেলতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই।
সাধারণত এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ips lcd ৬.৫ ইঞ্চি ফুল এইচডি ওয়াটার ড্রপ ডিসপ্লে এবং এর ডিসপ্লে রেজুলেশন হচ্ছে ১০৮০ গুন ২৩৪০। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে snapdragon 662 11nm প্রসেসর। তাছাড়া এখানে গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে adreno ৬১০।তাই আপনার বাজেট যদি লো হয়ে থাকে তাহলে স্বল্পমূল্যে এই ভালো গেমিং ফোনটি কিনতে পারেন। আপনি আকর্ষণীয় এই ফোনটি বাজারে পেয়ে যাবেন ১৫ হাজার টাকার মধ্যেই।
Samsung Galaxy m02s
স্যামসাং ব্র্যান্ডের গেমিং ফোন গুলোর মধ্যে এই ফোনটি খুবই ভালো। স্বল্প বাজেটের গেমিং ফোনের মধ্যে এই ফোনটি স্যামসাংয়ের অসাধারণ একটি ফোন।
স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চি এইচডি প্লাস ডিসপ্লে এবং এতে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪৫০ প্রসেসর যা মূলত অসাধারণ।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এম২এস স্মার্টফোনটির র্যাম হচ্ছে ৪ জিবি এবং এতে রয়েছে ৬৪ জিবি ফোন স্টোরেজ এর সুবিধা। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটিতে ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল এর ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ এবং ৫ মেগাপিক্সেল এর অসাধারণ সেলফি ক্যামেরা।তাছাড়া আপনারা এই স্মার্টফোনটিতে শক্তিশালী ৫০০০ মিলি এম্পিয়ার এর ব্যাটারি পাচ্ছেন।
আপনারা এই স্মার্টফোনটি বাজার থেকে কিনতে পারবেন ১২,২৯৯ টাকায় যা সাধারণত অল্প বাজেটের গেমিং স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে অনেকটা ভালো। তাই আপনি যদি স্বল্প টাকার মধ্যে গেমিং ফোন কিনতে চান তাহলে এই ফোনটি কে আপনি টার্গেট করতে পারেন।১২ হাজার টাকার মধ্যে ভালো গেমিং ফোন নিতে চাইলে এটি কিনতে পারেন।
অন্য পোস্টঃ৫ হাজার টাকার মধ্যে সেরা পাঁচটি মোবাইল
Realme C15
সাধারণত বড় ব্যাটারি এবং ফাস্ট চার্জিং সামর্থের কারণে এবং এতে থাকা স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর এর জন্য এই ফোনটি আমার কাছে অনেক আকর্ষণীয় লাগে। কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৪৬০ প্রসেসর দ্বারা চালিত এই স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ৬০০০ মিলি এম্পিয়ারের শক্তিশালী বিশাল ব্যাটারি।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনেক লম্বা সময় ধরে গেম খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে। তাদের জন্য এই শক্তিশালী ব্যাটারির স্মার্টফোনটি হতে পারে খুবই কার্যকরী।তাছাড়া এই স্মার্টফোনটি অন্যান্য ফিচার এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে ছয় ইঞ্চি ডিসপ্লে, ১৩ মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।
অসাধারণ এই স্মার্টফোনটির র্যাম হচ্ছে ৪জিবি এবং এর ফোন মেমোরি হচ্ছে ৬৪ জিবি।তাই আপনার বাজেট যদি ১৫ হাজারের নিচে হয়ে থাকে তাহলে আপনি কমদামে এই ভালো গেমিং ফোনটি কিনতে পারেন। আপনি এই আকর্ষনীয় স্মার্টফোনটি বাজারে পাবেন ১২,৯৯০ টাকায়।১৩ হাজার টাকার ভালো গেমিং ফোনের মধ্যে একটি খুবই ভালো ফোন।
আমাদের শেষকথা
কম দামে ভালো গেমিং ফোন কিনতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ফোন গুলি হতে পারে খুবই কার্যকরী।আপনারা এই ফোনগুলোতে খুব স্বাচ্ছন্দ্যে আপনার পছন্দের গেমগুলো খেলতে পারবেন।উপরে যে স্মার্টফোনগুলোর কথা বলা হয়েছে আপনারা চাইলে এই স্মার্টফোনগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই মিডিয়াম ভার্সনের যে কোন গেম কোন যে কোন গেম কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই খেলতে পারবেন। গেমিং ফোন বাংলাদেশে এগুলো খুবই দারুণ ফোন।
তাছাড়া আকর্ষণীয় সব ফিচারতো এই স্মার্টফোনগুলোতে রয়েছেই।আপনারা চাইলে এই স্মার্টফোন গুলোর মধ্য থেকে যে কোন একটি স্মার্টফোন বা গেমিং ফোন কিনে নিতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দে খেলতে পারেন যেকোনো ধরনের গেম।