পাতলা চুল ঘন করার উপায়

 জেনে নিন পাতলা  চুল ঘন করার  উপায়


পাতলা চুল ঘন করার উপায়ঃ
সাধারনত চুল আমাদের শরীরের সব থেকে মূল্যবান একটি সম্পদ। আমাদের চেহারা যত সুন্দর হোক না কেন এবং আমাদের ফিটনেস যতই ভালো হোক না কেন আমাদের মাথায় যদি চুল না থাকে তাহলে কিন্তু আপনার চেহারাটা কেমন বেমানান লাগে। 


সাধারণত চুলকে আমাদের শরীরের অপরিহার্য অংশ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ের চুল পড়া বা মাথায় টাক পড়ে যাওয়া এই সমস্যার সম্মুখীন প্রায় অনেকেই হচছেন।তাই আমাদের এই সমস্যাটা আস্তে আস্তে  অনেক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।<health tips>


অন্য পোস্টঃএক মাসে চুল ঘন করার উপায় 


সাধারণত আজকে আমি আপনাদেরকে এই বিষয় নিয়ে কিছু বলবো। যার মাধ্যমে আপনারা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ বা মুক্তি পেতে পারেন এবং আপনারা যদি সঠিক উপায় এসব দিক নির্দেশনা গুলো অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আশা করি আপনারা আপনাদের মাথার  চুলকে আগের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।তাই অবশ্যই আপনাদের এই পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে হলে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। 


চুল পড়া কি?


সাধারণত চুলপড়া আমাদের শরীরের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। চুল পড়তে পারে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কেননা চুলেরও জীবন আছে। অন্য সব জীবনের যেমন মৃত্যু আছে তেমনি চুলেরও মৃত্যু হয়। সাধারণত একটি চুল গড়ে ৮ থেকে ১০ বছর বেঁচে থাকে।


সাধারণত আগে যেসব চুল পড়ে যায় সেসব চুলের অকাল মৃত্যু হয়ে থাকে সঠিক পুষ্টির অভাবে এবং সঠিক পরিচর্যা না পাওয়ার কারণে।সাধারণত আমাদের প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টি চুল পড়া স্বাভাবিক একটি চক্র কিন্তু চুলপড়া তখনই উদ্যোগের হয়ে দাঁড়ায় যখন আমাদের চুল অধিকহারে পড়তে থাকে এবং সেই অনুপাতে আর চুল না গজায়। 


কিছু না কিছু চুল পড়ে থাকে অবশ্যই হারে আবার নতুন চুল গজায় কিন্তু যখন ফুটতে থাকবে আর নতুন চুল গজাবে না তখন একপর্যায়ে আপনার মাথায় টাক পড়ে যায়। সাধারণত তখনই চিন্তার কারণ হয়ে যায় এই চুল পড়া।


অন্য পোস্টঃমাত্র 15 দিনে চিকন হওয়ার উপায় 


চুল পড়ার কারণ 


সাধারণত বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে চুল পড়ার কারণ টা এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণ জানা যায়নি। তবে প্রমাণিত যে সব কারণে চুল পড়ে তাদের মধ্যে হরমোনের সমস্যাই বেশি চুল পড়ে থাকে। সাধারণত অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন এর কারণে চুল পড়ে থাকে এবং এটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।


 আর অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোন এর মধ্যে যেমন টেষ্টোরন, অ্যান্ড্রোস্ট্রেনডিয়ন, ডিএইচটি হরমোন গুলির মধ্যে বৃহত্তম মূলক ভাবে দেখা যায়। আর এই কারণে সাধারণত ছেলেদের এই হরমোনের কারণে বেশি চুল পড়ে থাকে। আর এই হরমোন গুলি হেয়ার ফলিকল  উপর কাজ করে এবং চুল পড়া বাড়িয়ে তোলে।



তাছাড়া আরেকটি কারণ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেটি হল চুল পড়া আপনার বংশগত হতে পারে। আর সে ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক পরিবারে তাদের বংশগত এই সমস্যা বা চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে।যদিও চুল পড়া কোনো রোগ নয় তবুও থাইরয়েডের সমস্যা অ্যানিমিয়া রোগ অনেকদিন ধরে দুশ্চিন্তায় ভূগোলে আপনার চুল পড়ে যেতে পারে।


তাছাড়া আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে কোন ঔষধ সেবন করেন এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও আপনার চুল পড়ে যেতে পারে। আবার যেসব মেডিসিনের ৫০০ পত্রিকার কারণে চুল পড়ে থাকে সেসব মেডিসিন যদি আপনি পরবর্তিতে বন্ধ করে দেন তাহলে চুলপড়া আপনা আপনি কমে যায় ।<চুল পড়ার কারন>


সাধারণত আবার দেখা যায় সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার না খেলে চুল পড়ার হার অনেক কমে যায়। আবার টাইটেল প্রোটিনের অভাব হলে এবং কিছু কিছু বিড়ালের চোখ ভিটামিনের ঘাটতি চুল পড়া বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ।


চুলপড়া যে সমস্যাটা চুল কিন্তু সবার এক রকম ভাবে পড়ে না কারো মাথার কিছু অংশে  চুল পড়তে থাকে  আবার কারো মাথার চুল আস্তে আস্তে কমে যেতে থাকে। আবার কারো দেখা যায় যে মাথার সামনের অংশের চুল একদম নেই পিছনের দিকে চুল রয়েছে।সাধারণত চুল পড়ার সমস্যা টা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে। 


অন্য পোস্টঃএলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় 


আমি আপনাদের আগেও বললাম যদি আপনার চুল পড়ার কারণ টা আপনি জানতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই আপনার চুল পড়া রোধ করতে পারবেন। আপনার যদি সাধারণত পুষ্টির অভাবে চুল পড়তে থাকে তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় দিকে নজর দেয়া জরুরী।


 কেননা আপনার শরীরের সাথে চুল সম্পৃক্ত আপনার শরীর যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে না তখন সে চুল কেউ সঠিক পুষ্টি দিতে পারে না সেই কারণে চুল বেশি পড়তে থাকে। তাই আপনার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে এবং তার সাথে কিছু ভিটামিন এবং মিনারেলস আপনাকে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।


সাধারণত মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন কার্যকলাপ সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে জিংক এবং আয়রন।সেজন্য আপনাকে জিজ্ঞাস আয়রন সমৃদ্ধ খাবার পরিমাণ মত খেতে হবে যেমন মটরশুঁটি,বাদাম,কলিজা, মাংস, দুধে প্রয়োজনীয় লিংক এবং আয়রন পাবেন।


 তাই এর জন্য আপনাকে অবশ্যই এই খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আর সেইসাথে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে কেননা শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে সব থেকে বেশি চুল পড়ে। 


অন্য পোস্টঃ 7 দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম 


চুল অনেক পাতলা হয়ে গেছে


আপনি প্রতিকার পাওয়ার আগেই যদি আপনার চুল অনেক  পাতলা হয়ে যায়  তাহলে আপনি সে ক্ষেত্রে কি করবেন। কিছু কিছু মানুষ আছেন সাধারণত যাদের মাথার চুল আগাগোড়াই পাতলা হয়। আবার এদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাদের চুল একসময় কাল এবং ঘন ছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের চুল পড়ার কারণে তাদের চুল পাতলা হতে শুরু করেছে এবং কিছুতেই আর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। 


আপনার যদি এই সমস্যাটা হয় তাহলে আপনাকে আগে আপনার কোন সমস্যা আছে কিনা সেটা জানতে হবে তাহলে আপনি আপনার চুল পড়ে যাওয়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারবেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমস্যা আমি  নিচে উল্লেখ করলামঃ



হরমোনের ভারসাম্যহীনতা


সাধারণত চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য হরমোনের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রে অনেক মহিলার চুলের প্রকৃতি বদলে যায় তাদের গর্ভ অবস্থায়। আর পুরুষদের সমস্যাটা ঠিক একই রকম পুরুষদেরও যদি টেস্টরন হরমোন বেশি বা কম হয়ে থাকে তাহলে তাদের চুল পড়তে পারে এবং নারীদের এন্ড্রোজেন হরমোনের অভাবে চুল পড়তে পারে। আর চুল পড়তে থাকলে একসময় চুল পাতলা হবেই।


আপনার শ্যাম্পু বা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট এর রাসায়নিক পদার্থ


সাধারণত প্যারাবেন, সোডিয়াম লরেট, বাম সেলস এর মত কেমিকাল সালাম বেশিরভাগ কেশচর্চার পদার্থ তৈরি করতে পারে না বা তৈরি হয় না। আর সাধারনত এইগুলো আপনার চুলের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিন দিন। 


তাই আপনাকে এসব কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করে আপনাকে প্রাকৃতিক শ্যাম্পু  ব্যবহার করার দিকে বেশি নজর দিতে হবে তাহলে এভাবে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও মাথার চুল পড়াও অনেক কম হবে। তাই আমি আপনাদেরকে বলবো আপনারা যত দ্রুত সম্ভব পারেন প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারের দিকে জোর দিন।


থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা


সাধারণত আপনার যদি থাইরয়েডের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কেননা থাইরয়েড হরমোন আপনার শরীরের এনার্জি লেভেল এবং এবং কলা কোষের বিভাজনের হার নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 


সাধারণত আপনার থাইরয়েড এর পরিমান যদি ঠিকমত না থাকে তাহলে আপনার কোন কাজ না করে নিজেকে ক্লান্ত লাগবে আপনার ওজন অকারণে বাড়তে বা কমতে থাকবে বদলে যাবে আপনার চুলে প্রকৃতি এবং স্বাস্থ্যও।তাই আপনার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া  যদি আপনাকে রোধ করতে হয় এবং চুল পড়া যদি আপনাকে রোধ করতে হয় তাহলে আপনার অবশ্যই আপনার থাইরয়েড লেভেল টা চেক করা দরকার।<স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস>


বিষণ্নতা বা স্ট্রেস এর কারণে


সাধারণত আপনি যদি স্ট্রেসকে মানসিক চাপ বলে ছোট করেন তাহলে কিন্তু আপনার ভুল হবে কারণ স্ট্রেস এর ফলে আপনার নানা শারীরিক সমস্যা হতে পারে। যার মধ্যে সাধারণত ওজন বাড়াবার কুমার চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটে ইত্যাদি সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



সুষম খাদ্যাভ্যাসঃসাধারণত মানুষের সুস্থ থাকার জন্য যে পুষ্টিগুণ গুলোর প্রয়োজন রয়েছে সেগুলো যথাযথ মাত্রায় আছে কিনা আপনার খাবারে আপনাকে সেসব বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে কেননা আপনি যদি শরীরকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার বা মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার না দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চুলের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে। 


সাধারণত আপনার চুলের স্বাস্থ্য যদি ঠিকঠাক রাখতে হয় তাহলে  আপনাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি,ই সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে এবং এর কোন ঘাটতি হচ্ছে কিনা আপনাকে সেই বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে। 


চুল ঘন করার উপায় 


সাধারণত আমাদের চুল দিনের-পর-দিন পাতলা হয়ে যাওয়া এটি খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া আর এটা সাধারণত আমাদের সবার জন্য একটি বেদনাদায়ক বা কষ্ট করে একটি ব্যাপার। আর চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা, পুষ্টির ঘাটতি, এলার্জি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং ঠিকমতো চুলের যত্ন যদি না নেন তাহলে আপনার চুল প্রচুর পরিমাণে পড়ে এক সময় চুল পাতলা হতে শুরু করে।


 সাধারণত আমি আপনাদেরকে প্রাকৃতিক পাঁচটি উপাদানের কথা বলব যেসব উপাদান গুলো আপনি ব্যবহার করে আপনি আপনার চুল পড়া কমাতে পারবেন আপনি যদি চুল পড়া কমাতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চুল ঘন হতে শুরু করবে। তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক যে পাঁচটি উপাদান ব্যবহার করে আপনি আপনার চুলকে ঘন করতে পারবেনঃ




১.অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী 


অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী

সাধারণত আপনারা চুলের যত্নে অ্যালোভেরার নাম এর আগেও শুনেছেন আর আপনারা এটাও জানেন যে চুলের যত্নে অ্যালোভেরা কতটা কার্যকারী। আপনি আপনার পাতলা চুল ঘন করতে পারেন খুব সহজেই অ্যালোভেরার কার্যকারী বা সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে। আর এর জন্য আপনাকে অ্যালোভেরার একটি পাতা সংগ্রহ করতে হবে এবং এই পাতা থেকে আপনার রসটা বের করে নিতে হবে। 


সাধারণত এই রস্টা আপনার যে অংশের চুল পাতলা সেখানে মসৃণভাবে পেস্ট  করে দিতে হবে। আপনার এই রসটা আপনার মাথার স্কাল্পে খুব ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তারপর কিছুটা সময় এইভাবে রেখে দিতে হবে এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে পড়ে আপনার চুল ধুয়ে নিতে হবে।


 আর এইভাবে আপনি এটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত এলোভেরা চুলের মৃতকোষ কে মেরামত করে চুলের বৃদ্ধি এবং গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও এটি আপনার চুলকে সুন্দর এবং ভলিউম  এনে দেয়।<সাস্থ টিপস)



ডিম


ডিম


আপনারা হয়তো ডিমের নাম শুনে অনেকটা অবাক হবেন যে ডিম দিয়ে আবার চুল ঘন করা যায় কিন্তু এটা সাধারণত ১০০ শতাংশ  কার্যকারী একটি উপায়। কেননা ডিমে থাকা প্রোটিন এবং জিংক আপনার চুলকে মজবুত করতে সাহায্য করে থাকে এবং যার মাধ্যমে নতুন চুল গজিয়ে থাকে। প্রথমে আপনাকে একটি বাটিতে একটি ডিম ভেঙ্গে নিতে হবে এবার এর সাথে যোগ করতে হবে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল। 


আর এরপর এই দুটি উপকরণ আপনাকে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সুন্দরভাবে মেসেজ করতে হবে। এবার আপনাকে কিছু একটা দিয়ে আপনার মাথা ঢেকে রাখতে হবে এবং এটি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিতে হবে। 


আপনি সাধারণত এই প্যাকটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন আর এতেই আপনি কার্যকারী ফল পেয়ে যাবেন। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং সালফারের যা সাধারণত চুলকে ভেতর থেকে মজবুত করে থাকে এবং চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চুলকে করে তোলে আর ঝলমলে এবং সিল্কি। আর অলিভ অয়েল ডিমের সাথে থাকলে সেটি চুল ঘন এবং সিল্কি করতে আরো বেশি কার্যকারী হবে।< বাংলা স্বাস্থ্য টিপস>




৩.আমলকি 

আমলকি



সাধারণত চুলের যত্নে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে আমলকি। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে থাকে। আপনাকে এক টেবিল-চামচ আমলকি গুড়া সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে এবং তারপর এটি চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে 30 থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। 


তারপর আপনাকে চুলের শ্যাম্পু করে নিতে হবে এবং নরমাল পানি দিয়ে আপনার চুল ধুয়ে নিতে হবে। আপনি এই আমলকির প্যাকটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন আপনার চুলে। সাধারণত আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা সাধারণত নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। আপনি আমলকি বেটে রস করে সরাসরি আপনার মাথার চুলে লাগাতে পারেন বা আপনি আমলকির তেলও ব্যবহার করতে পারেন। 


অন্য পোস্টঃরাতারাতি ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় 


আমাদের শেষকথা


যে কয়টি উপায় উপরে উল্লেখ করা রয়েছে প্রত্যেকটি উপায় দারুন কার্যকারী মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য। তিনটি উপাদানই চুল পড়া রোধ করে চুল ঘন করতে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনি সর্বোত্তম রেজাল্ট পেতে উপরের তিনটি উপাদানের মধ্যে যেকোনো দুটি উপাদান নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তাহলে খুব দ্রুত আপনার পাতলা চুল ঘন হতে শুরু করবে।

Akash

প্রযুক্তির খবর, শিক্ষা ও ইন্সুরেন্স, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইনে আয় সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post